March 28, 2024, 11:52 pm


SAM

Published:
2018-10-22 20:56:18 BdST

খুব শীঘ্রই দুদকের চার্জগঠনপৌনে ৩শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ ক্রিস্টাল গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে দুদকে র মামলা


এফটি বাংলা

বেসিক ব্যাংক থেকে নেয়া ২৭৫ কোটি টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিস্টাল গ্রুপের কর্ণধার মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদী হয়ে গতকাল চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ৪২০ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুটি মামলা করেন।

ফিশিং, শিপিং, স্টিল ও বিবিধ খাতে ক্রিস্টাল গ্রুপের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ক্রিস্টাল গ্রুপের কর্ণধার মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন এক সময়। তার স্ত্রী মাহজাবীন মোরশেদ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি (মহিলা আসন-৪৫)। ২০১৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী সময়ে এলসি খোলার নামে ও ঋণ হিসেবে বেসিক ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে তা পরিশোধ করা হয়নি। ক্রিস্টাল স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বেসিক ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ঋণ আবেদনটি করেছিলেন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। ঋণের ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমকে। এ মামলার অন্য আসামি বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজেদুর রহমান।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, শাখার নেতিবাচক মতামত সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুর ও ঋণ উত্তোলনপূর্বক মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত্ করা হয়েছে। মাত্র ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা মূল্যের জমি বন্ধক ও ১ কোটি টাকার এফডিআর লিয়েনে রেখে এ ঋণ নেয়া হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ সহায়ক জামানত ছাড়াই দেয়া এ ঋণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করায় সুদ-আসলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪ কোটি টাকার বেশি।

মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের স্ত্রী সংসদ সদস্য মাহজাবীন মোরশেদকে আসামি করা হয়েছে ১৪১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায়। আইজি নেভিগেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ওই ঋণ আবেদন করেছিলেন মাহজাবিন মোরশেদ। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন আইজি নেভিগেশন লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ মোজাফফর হোসেন ও বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম।

দুদক সুত্রে জানা গেছে খুব শীঘ্রই উক্ত মামলার চার্জগঠন করা হবে। এছাড়া আরও ৮ টি বযাঙ্ক অর্থলগ্নীকারি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের হাজার কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। উক্ত ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তা ও খতিয়ে দেখছে দুদক। মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবার ঋণ পরিশোধে আগ্রহ না দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করছে বলে জানা যায়।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা