April 19, 2024, 7:51 pm


সামিউর রহমান লিপু

Published:
2020-05-22 03:48:14 BdST

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে দেওয়া হবে বেক্সিমকোর রেমডিসিভির


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত রেমডিসিভির ওষুধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সরকারি হাসপাতালের রোগীদের এ ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এজন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো টাকা নেবে না বেক্সিমকো।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজেদের উৎপাদিত এক হাজার রেমডিসিভির ইনজেকশন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান পাপন।

অনুষ্ঠানে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, রেমডিসিভিরের জরুরি ব্যবহারের জন্য আমেরিকায় অনুমতি দিয়েছে। অন্যান্য ওষুধের চেয়ে এ ওষুধের দাম কিছুটা বেশি। একজন রোগীর ৬টি থেকে ১১টি ইনজেকশন প্রয়োজন হয়। একটি ইনজেকশনের দাম যদি সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা হয়, তাহলে প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয় একজন রোগীর। যেহেতু বাংলাদেশ সরকার সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছে, তাই বেক্সিমকো থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে যত রোগী আছে তাদের যদি রেমডিসিভির প্রয়োজন হয়, তাহলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছ থেকে এজন্য টাকা নেব না। আমাদের যদি বলা হয় কোনো রোগীর এ ওষুধ প্রয়োজন তাহলে আমরা সেখানে পৌঁছে দেবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, রেমডিসিভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ। একই ধারায় বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরও এ ওষুধের ইমার্জেন্সি ইউজের অনুমতি দিয়েছে। বেক্সিমকো প্রথম কোম্পানি যে এ ওষুধটি এ অঞ্চলে উৎপাদন করেছে। এ ওষুধটি মুমূর্ষু রোগীদের দেওয়া হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা রোগীদের এ ওষুধ দিবে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড রোগীর জন্য এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি, এখনো এমন কোনো ওষুধও আসেনি যা খেলেই সুস্থ হয়ে যাবে। বেশ কিছু ওষুধ বাজারে আসছে রেমডিসিভির তেমন একটি ওষুধ। আমাদের ডাক্তাররা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকলে কিছু ওষুধ যুক্ত করেছে। আমরা আশা করি, এ ওষুধটিও প্রটোকলে যুক্ত হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, টেস্ট করা ও আইসোলেশনে থাকাই এখন সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আমরা চাই না করোনায় মৃত্যু হোক। তারপরও এ পর্যন্ত অনেক মৃত্যু হয়েছে। আমরা পিকে যাচ্ছি। সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করছে। ফেরি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু মানুষ মোটরসাইকেলে, রিকশায় করে জেলায় জেলায় যাচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, মায়েরা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে মার্কেটে যাচ্ছেন। আমি আহ্বান করব, আপনারা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে দোকানে ভিড় করবেন না। নিজে আক্রান্ত হবেন, বাচ্চারা আক্রান্ত হবে। তখন ঈদ আর আনন্দের থাকবে না; নিরানন্দের হবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা