April 18, 2024, 12:49 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2021-10-25 06:35:24 BdST

দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এবার যৌতুকের মামলা


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো.সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে এবার যৌতুক দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী।

গত ২০ অক্টোবর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এ মামলা (নং-৫২) দায়ের হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১১(গ)/৩০সহ দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন জান্নাতুল কৌশরী (৩২)। মামলায় সালাহউদ্দিনের ছোট বোন শামিমা সুলতানাকেও আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে কৌশরী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সালাউদ্দিন ইমনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমার পরিবার বিবাদীর ঘর সাজানোর জন্য ২ লাখ টাকা দেয়। বিয়ের পর আমাদের সাংসারিক জীবন কিছুদিন ভালোই চলে। কিছুদিন যেতেই তার ছোট বোন শামিমা সুলতানার প্ররোচনায় সালাহউদ্দিন ফ্ল্যাট কেনার জন্য আমার পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। শারীরীক ও মানসিক নির্যাতনের প্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে আমি আমার পরিবার থেকে ২০ লাখ টাকা এনে দেই। কিছুদিন পর যৌতুক হিসেবে আরও ১ কোটি টাকা দাবি করে সালাহউদ্দিন ইমন। কিন্তু পরিবার থেকে ওই টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে সালাহউদ্দিন আমার ওপর আবারও শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে । সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় খিলগাঁওস্থ বর্তমান ঠিকানায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমার বড় মামা আবু হান্নান মো: মনোয়ার হোসেন এবং হুমায়রা ইসলাম নির্যাতনের সাক্ষী রয়েছেন।

এদিকে খিলগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো.নাজমুল হুদা মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমি একটি প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়েছি। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হলেও কিছুদিন পর জানতে পারি কৌশরীর একাধিক পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এসব সম্পর্ক ত্যাগ করার জন্য তাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি। শেষ পর্যন্ত আমি ব্যর্থ হই। তার অবৈধ সম্পর্কের বহু তথ্য-প্রমাণ আমার হাতে রয়েছে। এসব নিয়ে কথা বলতেই সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর তার মামা আমার ওপর চড়াও হন। আমাকে মারধরও করেন। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগী হলে ওরাই উল্টো মামলা করে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়। মামলা দায়েরের আগেই কৌশরীকে তালাক দিয়েছেন বলেও জানান সালাহউদ্দিন।

তবে মামলার বাদী জান্নাতুল কৌশরী বলেন, কোনো নারী সংসার ভাঙতে চায় না। ইমনের মানসিক ও শারীরীক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

তিনি বলেন, আমার আগেও ইমন একাধিক বিয়ে করেছে। আমি তার চতুর্থ স্ত্রী-এ কথা কারও কাছে বলতেও পারি না। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দিনাজপুরের সহজ-সরল সাধারণ মেয়ে। আমি চাই না ওর দ্বারা আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট হোক।

প্রসঙ্গত, উপ-পরিচালক মো.সালাহউদ্দিন দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান-তদন্ত শাখায় কর্মরত। পিকে হালদার, জি.কে শামীম, শহিদ ইসলাম পাপুল, সুধাংশু শেখর ভদ্র এবং ক্যাসিনোকাণ্ড সংশ্লিষ্ট আলোচিত বহু মামলার তিনি বাদী এবং তদন্ত কর্মকর্তা।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা