April 16, 2024, 10:51 am


সামি

Published:
2020-02-12 03:36:23 BdST

চট্টগ্রাম সিটিতে আ. লীগের মেয়র প্রার্থী ছালাম?


এফটি বাংলা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে কাকে দেখা যাবে—সে প্রশ্নের উত্তর যেন কিছুতেই মিলছে না। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। এ কারণে নতুন প্রার্থী খুঁজছে আওয়ামী লীগ।

সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে এই পদে ভাবা হলেও তিনি এতে আগ্রহ দেখাননি। এমন অবস্থায় মেয়র পদে সবচেয়ে আগে যে নামটি আসছে, সেটি হচ্ছে আবদুচ ছালাম।

চট্টগ্রামে প্রচলিত একটা কথা হলো, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে যিনিই মনোনয়ন পান না কেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে আবদুচ ছালামের মেয়াদে করা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের তালিকা নিয়েই নামতে হবে ভোটের মাঠে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) আবদুচ ছালামের মেয়াদে ১০ বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকায় চট্টগ্রাম শহরে ৩০টি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এর বাইরে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলমান কিংবা প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে।

একনাগাড়ে ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পুরো সময়জুড়ে আবদুচ ছালামের ওপর ছিল প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক আস্থা। এই সময়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া সব প্রকল্পেই একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন ছালাম। জাতীয়ভাবে আলোচিত কর্ণফুলী টানেল, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, আউটার রিং রোড, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ের মত সব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের ভার তার হাতেই তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

চসিক নির্বাচনে তার আগ্রহের কথাও সবারই জানা। চসিক নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে সিডিএর দায়িত্ব থেকে ছালামকে সরিয়ে সিটি নির্বাচনের জন্য বিশেষ কোনো ছক আঁকা হয়েছে কিনা তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

ছালাম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর লোক হসেবে পরিচিত। মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন ছালাম। নওফেলের সঙ্গেও তার দারুন সম্পর্ক। নওফেল চসিক মেয়র পদের জন্য আগ্রহী না হলেও স্বাভাবিকভাবে তিনি নিজের কাছের কোনো লোককে এই এই পদে দেখতে চাইবেন। সেক্ষেত্রে সালামই হতে পারেন তার প্রথম পছন্দ।

ছালাম তার ঘনিষ্ঠদের বলছেন, মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি। তবে এই বিষয়ে দলীয় প্রধান যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই মাথা পেতে নেবেন তিনি।

উল্লেখ্য যে, গত এক দশকে চট্টগ্রাম শহরের অনেকগুলো সড়ক ছালামের সময়ে এক লেন থেকে চার লেনে উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রামে উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রথম উদ্যোগও তিনিই নেন। এমনকি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজটি শুরুর ক্ষেত্রেও তার উদ্যোগই ছিল সবচেয়ে বেশি।

সিডিএ চেয়ারম্যান থাকাকালে আবদুচ ছালাম ৩০টিরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এর মধ্যে ১৫টি সড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সাগরিকা সড়ক, ঢাকা ট্রাংক রোড, পাঠানটুলি রোড, সদরঘাট রোড, ফিরিঙ্গিবাজার রোড, আন্দরকিল্লা জংশন থেকে লালদীঘি পর্যন্ত সড়কের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, সিরাজদ্দৌলা সড়ক, বহদ্দারহাট থেকে গণি বেকারি পর্যন্ত সড়ক, অলি খাঁ মসজিদ থেকে অক্সিজেন পর্যন্ত সড়ক, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, ডিসি রোড, অক্সিজেন থেকে কুয়াইশ সড়ক ও বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়ক।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন, প্যারেড ময়দান সংস্কার, বহদ্দারহাট জংশন ও দেওয়ানহাটে ওভারপাস নির্মাণ, অনন্যা আবাসিক প্রকল্প, কল্পলোক আবাসিক প্রকল্প, মেহেদীবাগ অফিসার্স কোয়ার্টার, বিপণি বিতান নতুন ভবন, সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিডিএ গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা ও ভবন নির্মাণ, সল্টগোলায় কর্মজীবী নারীদের জন্য দেশের প্রথম ডরমিটরি নির্মাণ, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ও অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং অক্সিজেনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা