March 28, 2024, 2:59 pm


সামি

Published:
2020-02-16 23:35:02 BdST

মালয়েশিয়া সরকারের ফাঁদে ৭ হাজার কোটি টাকা হারালো বাংলাদেশিরা


এফটি বাংলা

অভিবাসন ব্যবস্থার কথা বলে মালয়েশিয়াতেও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরাদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। আর এই প্রতারণায় সঙ্গে তৎকালীয় দেশটির সরকার সরাসরি জড়িত ছিল।

এসব অভিবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধারে আন্দোলন শুরু করেছে মালয়েশিয়ার মানব পাচার বিরোধী কাউন্সিল।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম কিনিতে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, দেশটির তৎকালীন সরকার রি-হিয়ারিং প্রোগ্রামের নামে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ২ বিলিয়ন রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা) হাতিয়ে নিয়েছে। আর এই প্রতারণামূলক কাজটি করা হয়েছে তিনটি ভেন্ডর কোম্পানির মাধ্যমে। এত অর্থ নেওয়ার পরেও অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে পারেনি তারা।

এমন পরিস্থিতিতে ওই তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে মালয়েশিয়ার মানব পাচার বিরোধী কাউন্সিল।

এ দিকে ফ্রি-মালয়েশিয়া টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈধতা না পাওয়া অভিবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা।

২০১৬ সালে ‘রিহায়ারিং প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার। প্রকল্পটি শেষ হয় ২০১৮ সালে। তিনটি ভেন্ডর কোম্পানির মাধ্যমে প্রকল্পটি পরিচালনা করে দেশটির কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। তারা প্রতিজন অভিবাসীর কাছ থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা) জমা নেয়।

ওই প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৪ হাজার জন অভিবাসীর কাছ থেকে টাকা জমা নেওয়া হলেও ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার অভিবাসীকে। মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাকি ৬ লাখ ৩৪ হাজার অভিবাসীকে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়নি। পরবর্তীকালে টাকা ফেরত না দিয়েই এসব অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বেসরকারি ওই সংস্থার পরিচালক জোসেফ পল মালাইমফ বলেছেন, টাকা দিয়েও এসব অভিবাসী বৈধতা পাওয়া তো দূরের কথা, উল্টো নিজেদের পাসপোর্টও হারিয়েছেন। টাকা আর পাসপোর্ট দুটোই ভেন্ডর কোম্পানিগুলো ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকার কোনো দায় নিতে চায় না। আবার ভেন্ডররাও সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে।

এদিকে আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে আসছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান। ৬ দিনের এই সরকারী সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যান ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এর সাথে দিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার বাজার পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকা
ও কুয়ালালামপুর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের এই বৈঠকে উক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রসংগটিও উঠতে পারে বলে ধারনা
করা হচ্ছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা