April 25, 2024, 5:56 am


Siyam Hoque

Published:
2020-04-01 23:50:05 BdST

করোনা আক্রান্ত খুঁজতে দেশে দেশে ফোন ট্রাকিং


করোনার মহামারী ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এবার নাগরিকদের চলাফেরায় ডিজিটাল নজরদারি ও স্মার্টফোন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে।

সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ ও ক্রেডিট কার্ড কার্ড রেকর্ডও যাচাই করছে কেউ কেউ। কেউ আবার ব্যবহার করছে নাগরিকের স্মার্টফোনের তথ্য-উপাত্ত।

চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এমনকি ইউরোপের দেশগুলোতেও ব্যাপকভাবে চলছে এই ইলেক্ট্রনিক নজরদারি।

করোনাবিরোধী যুদ্ধে এগুলোকে বেশ ‘সহায়ক ও কার্যকর’ দাবি করছে সরকারগুলো।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুরু থেকেই সম্ভাব্য সব ধরনের অস্ত্র কাজে লাগিয়ে চীন। এক্ষেত্রে কিছু অঞ্চলে ফোন ট্র্যাকিং বেশ কার্যকর বলে দাবি করেছে দেশটির একদলীয় সরকার।

করোনাভাইরাসে যদি কেউ আক্রান্ত হয়ে যান, তাহলে তিনি কোথায় কোথায় গেলেন, কার কার সংস্পর্শে এলেন, সেটি নির্ণয় করা গেলে রোগের বিস্তার ঠেকানো সহজ হয়ে যায় বলছে দক্ষিণ কোরিয়া।

এ জন্যই দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ, স্মার্টফোনের লোকেশন সংক্রান্ত ডাটা, ক্রেডিট কার্ডে ক্রয়ের রেকর্ড জড়ো করেছে মুন জায়ে-ইনের সরকার।

ইতালিতে নাগরিকদের মোবাইল ফোন থেকে উৎসারিত লোকেশন সংক্রান্ত ডাটা বিশ্লেষণ করছে কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য, মানুষজন সরকারের লকডাউন নির্দেশ মেনে চলছে কিনা, তা পরখ করে দেখা। পাশাপাশি প্রতিদিন চলাচলের ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে।

সরকার সম্প্রতি এই ডাটা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষই দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটাচলা করছে না। এমন বেশ কয়েকটি দেশের নজরদারি প্রচেষ্টার চিত্র উঠে এসেছে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।

এএফপি জানিয়েছে, ইসরাইলে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের বহু পুরনো লোকেশন ডাটা ব্যবহার করা শুরু করছে।

তাদের উদ্দেশ্য, কোন কোন নাগরিক নিজের অজান্তেই ভাইরাসের সংস্পর্শে চলে এসেছেন, তা নির্ণয় করা। তবে লোকেশন ডাটা সংগ্রহ করা হয়েছিল সন্ত্রাস প্রতিরোধে ব্যবহারের কথা বলে।

ইউরোপের দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী শনাক্তের কথা বলে কোটি কোটি নাগরিকের স্মার্টফোনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ২ লাখ ৫ হাজার কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা শুরু করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।

এই তথ্য নিয়ে ডেটাবেস তৈরি করা হচ্ছে। ডেটাবেসে রয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা ও এলাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা তাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটারের বাইরে গেলেই সেই অ্যালার্ট পেয়ে যাবে সরকারি দফতর। আর তখনই ওই ব্যক্তিকে ফোন করে বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হবে।

আর এতে তিনি রাজি না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। অর্থাৎ নিয়ম মানতে সবাইকে বাধ্য করবে সরকার।

তেলাঙ্গানা, বিহার ও ওড়িশাসহ ভারতের আর্ বেশি কয়েকটি রাজ্য এই পদ্ধতি প্রয়োগের কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা