02/22/2025
ড. মমতাজ খাতুন | Published: 2025-02-17 11:05:37
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা একটি ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল। ১৯৬৬ সালের তৎকালীন আওয়ামী-লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান একই সালের ৫ ও ৬ ফ্রেরুয়ারী পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী-লীগের পক্ষে দলের সাধারন সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।এর চার বছর মাসে ১৯৬২ সালের ২৪ জুন যে নয়জন বাঙ্গালী নেতা পাকিস্তানে সার্বজনিন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তাঁদের একজন ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৬ দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিলো পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র।
ছয় দফাঃ-
১. শাসন তান্ত্রিক কাঠামোত্ত রাষ্ট্রের প্রকৃতি
২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে মাত্র দুটি বিষয় থাকবে—প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্য সব বিষয়ে অঙ্গরাজ্যগুলোর পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে।
৩. সারা দেশে হয় অবাধে বিনিয়োগযোগ্য দুই ধরনের মুদ্রা, না হয় বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে একই ধরনের মুদ্রা প্রচলন করা।
৪. সব ধরনের কর ধার্য করার ক্ষমতা থাকবে আঞ্চলিক সরকারের হাতে। আঞ্চলিক সরকারের আদায় করা রাজস্বের একটা নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
৫. অঙ্গরাজ্যগুলো নিজেদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার মালিক হবে। এর নির্ধারিত অংশ তারা কেন্দ্রকে দেবে।
৬. অঙ্গরাজ্যগুলোকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী গঠন করার ক্ষমতা দেওয়া।
এই ৬ দফারও একটি ধারাবাহিকতা ছিল।
১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব,১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ,১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিমলীগ গঠন। রাষ্ট্রেভাষা আন্দোলন ১৯৫৪ সালের প্রদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয় ১৯৫৮ সালে আইউব খানের সামরিক শাসন এ সবই ৬ দফার ভিত তৈরি করেছে।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি হরতাল পালিত হয়। পাকিস্তানি শাসকেরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।এ মামলায় শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান ।২২ জানুয়ারি প্রত্যেক বাড়িতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। ২৩ জানুয়ারি সন্ধারপরপর আসামী ছিলেন,১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সন্ধাআইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করা হয় মিছিল বের করা হয়।
১৯৭২ সালের ১০ জানুযারি বিজয়ের পূর্নতাঃ-
তৎকালিন আজাদ স্মরণকালের বৃহত্তম মশাল মিছিল শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বিজয়ের পূর্নতা প্রাপ্তি ঐ দিন শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের মিগারওয়ানী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে বিজয়ী বীর হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন।
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫৪ তম বিজয় দিবসে প্রত্যাশা দারিদ্র ও র্দুনীতি মুক্ত সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই।
সকলের কম বেশী জানা বিষয় হলেও আবারও লিখছি । যুদ্ধ ও বিজয় /পরাজয় ওৎপ্রোত ভাবে জড়িত শব্দ । বিজয় সংগ্রামের ধরাবাহিক প্রক্রিয়ায় অর্জিত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির আম্রকাননে নবাব সিরাজউদদৌলার পরাজযের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকে। বহু সংগ্রামে, আত্নত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমে ধর্মের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পাকিস্তান (পূর্বও পশ্বিম) স্বাধীন হয় আর ১৫ আগষ্ট ভারত ব্রিটিশের থেকে দখল মুক্ত হয়। এরপর পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকে পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ। শোষন বঞ্চনার রোশানল থেকে মুক্তিরজন্য এদেশের মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে। ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৫২ সালের ২১ ফ্রেরুয়ারী মিছিলকারীদের উপর গুলি চালায় সামরিক শাসক এতে শহীদ হন শফিক, রফিক, জব্বার, প্রমুখ ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর । উল্লেখযোগ্য নেতৃত্বে থাকেন আবুল কাশেম ফজলুল হক, খাজা নাজিম উদ্দিন হোসেন শহীদ সোহারাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামি খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান । বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাসন বিশ্ব ঐতিয্যের একটি। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত
এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষনা করেন যে এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তনে কে বাংলাদেশ নামে অভিহিত করা হবে। ১৯৬৯ সালের গন অভ্যুস্থানে, সামরিক শাসক ফিলড মার্শাল আয়ুব খানের ক্ষমতার ভিত্তি নড়ে যায়। নবম শ্রেনীর ছাত্র মতিউর রহমান ও আসাদের মৃত্যু আসহযোগ আন্দলন কে তরান্বিত করে। ৭০ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিরুস্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্থানী শাসকগোষ্ঠী নির্বা চিত নেতার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় মুক্তিযুদ্ধ অত্যাবাশক হয়। ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু
ইপিআরএর ডিকোডেড ওয়ল্যাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন, এবং উহা শাসক গোষ্ঠীর ওযল্যাসে সনাক্ত হয় ফলে পাকিস্তানী সেনারা নিরস্ত্র বাঙ্গালীরদের ওপর ঝাপিয়ে পরে শুরু করে নৃশংস গনহত্যা ঐ রাত্রেই পাকিস্তানি সেনারা বঙ্গবুন্ধ কে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রমাগত কঠোর আকাক্রমে পাকিস্তানী বাহিনী দিশেহারা হয়ে যায়।
১৯৭১ এর ডিসেম্বরে ঢাকার গর্ভনর হাউসে বোম্বিং এর ফলেই পাক সেনাদের মনবল শেষ হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ৯ মাস ব্যাপী রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনেন গৌরবের বিজয় । অতঃপর ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকার সোহরাওর্য়ী উদ্যানে বাংলাদেশ ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে আত্ন্যসম্পর্ন করেন পাকিস্তান বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার জেনারেল এ,এ, কে নিয়াজী। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় হয় বাংলাদেশের। আজ আমরা স্বাধীন, বিজয়ী । সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সকলের নিরাপদ সুখী সমৃদ্ধ আবাস ভুমি ।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81