06/16/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2025-06-15 21:38:03
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত আবারও নতুন এক বিপজ্জনক রেকর্ডে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যা দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। অর্থনীতিবিদরা একে ‘ব্যাংক খাতের গভীর অসুস্থতার প্রতিফলন’ বলে উল্লেখ করছেন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা থেকে বোঝা যায় মাত্র তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এই ঋণের হার এখন দাঁড়িয়েছে মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশে। যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তুলনায় বিপজ্জনকভাবে বেশি।
এক দশকে প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই জায়গা থেকে আজ তা প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ কোটির ঘরে পৌঁছেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রশ্রয়, অদক্ষ তদারকি ও শিথিল নীতির ফলে এই চিত্র তৈরি হয়েছে।
গোপন খেলাপি এখন প্রকাশ্যে
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন ধরে ঋণ পুনঃতফসিল, ভুল নীতিমালার কারণে রাজনৈতিক প্রভাবে অনেক খেলাপিকে নিয়মিত হিসাব দেখানো হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই সুবিধাগুলো স্থগিত হলে বাস্তব চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
শীর্ষ গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ
সরকারি দল ঘনিষ্ঠ কিছু গ্রুপ বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা অব্যবহৃত অথবা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকো সহ অনেক গ্রুপ এখন খেলাপির তালিকায়। কেউ কেউ জেলে, অনেকে বিদেশে পালিয়ে আছে। রাজনৈতিক আশীর্বাদ ও বিশেষ ছাড়ে এদের বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত হিসাবভুক্ত করা হয়েছিল।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা
ব্যাংকাররা বলছেন, গুটিকয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে গিয়ে গোটা ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে নতুন ঋণ বিতরণে গতি হ্রাস পাচ্ছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন অর্থায়ন থেকে এবং সাধারণ আমানতকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট বাড়ছে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81