06/27/2025
নিজস্ব প্রতিবেদক | Published: 2025-06-27 14:49:19
একটি স্কুলের দশম শ্রেণির চার শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একজন শিক্ষকের দ্বারা। তাঁরা সবাই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রী। প্রত্যেকেই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। কারো বাবা পোশাক শ্রমিক, কারো বাবা চা বিক্রেতা। পরিবারগুলো অল্প আয়ে দিন গুজরান করে—তবু মেয়েরা যেন মানুষ হয়, শিক্ষিত হয়, স্বপ্ন দেখে—এই আশাতেই তাদের স্কুলে পাঠানো হয়।
কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো পিষে দিয়েছে মিজানুর রহমান মিজান নামের এক শিক্ষক। মানুষ কতটা নারী লোভী ও পাষণ্ড হলে এই ধরনের বর্বরতা চালাতে পারে তার প্রমাণ এই শিক্ষক।
মিজান ওই স্কুলের পার্ট-টাইম আর্ট ও কম্পিউটার শিক্ষক। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার প্রেমতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে ওই চার ছাত্রীর তিনজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় মিজানকেও। তাঁর বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার সেরাল পূর্বপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, সপ্তাহে একদিন শুক্রবার ক্লাস নিতেন মিজান। এই সুযোগে চার ছাত্রীকে ভালো আর্ট ও কম্পিউটার শেখানোর প্রলোভন দেখান। বিশ্বাসের বশে ছাত্রীরাও তাঁর মোহাম্মদপুরের বাসায় যায়। সেখানে তাঁদের আটকে রেখে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন মিজান।
একজন ছাত্রী সাহস করে কৌশলে পালিয়ে আসে এবং অভিভাবকদের ঘটনাটি জানায়। এরপর থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে। একই সাথে মিজানকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনার পর চারপাশে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে এসেছে। কোথাও কোনো প্রতিবাদ নেই। সোশ্যাল মিডিয়া, টেলিভিশন—সবই যেন নীরব। কিন্তু কেন এই নীরবতা?
কারণ এরা গরিব ঘরের মেয়ে। তাদের বাবারা পরিচিত কেউ নন, মিডিয়ার সামনে কথা বলার মতো মানুষ নন। এই মেয়েগুলো কোনো নামী স্কুল, ইংলিশ মিডিয়াম বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় বলে এদের পক্ষে কেউ প্রতিবাদ করেনি।
যদি এই ঘটনাটি কোনো তারকার সন্তান বা বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে নিয়ে ঘটতো তাহলে কি এতটাই নিশ্চুপ থাকত দেশ? মিডিয়ায় হেডলাইন হতো, প্রতিবাদ হতো রাজপথে, মুখ খুলত সবাই।
কিন্তু এই মেয়েরা যেন অদৃশ্য—যেন তাদের ওপর হওয়া বর্বরতা কোনো খবরই না। এই সমাজ কি কেবল ক্ষমতাবানদের প্রতি সংবেদনশীল?
সূত্রঃ সোস্যাল মিডিয়া
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81