07/13/2025
নিজস্ব প্রতিবেদক | Published: 2025-07-12 17:17:10
ঋণ খেলাপীর দায়ে পূবালী ব্যাংকের পরিচালক ফাহিম আহমেদ চৌধুরীকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া অপর পরিচালক কবিরুজ্জামান ইয়াকুব ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধেও ঋণ খেলাপীর দায়ে তদন্ত চলছে। শিগগিরই তাদেরকেও অপসারণ করা হতে পারে।
ইতোমধ্যে ডলার কারসাজিসহ নানা অভিযোগে এই দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরীকে অপসারণ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, পূবালী ব্যাংকের পরিচালক ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরীকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ১৭ ধারার আওতায় প্রদত্ত নোটিশের শর্ত অনুযায়ী নোটিশ গ্রহণের (১৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ) ০২ (দুই) মাসের মধ্যে তিনি নোটিশে উল্লিখিত অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ১৮ জুন, ২০২৫ইং থেকে পূবালী ব্যাংকে তার পরিচালক পদ শূন্য হয়ে গিয়েছে।
নোটিশে উল্লিখিত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পাওনা ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ১৭(৫) ধারার বিধান অনুযায়ী তার নামে ধারণকৃত পূবালী ব্যাংকের শেয়ার সমন্বয়ের মাধ্যমে আদায় হবে এবং ১৭(৭) ধারার বিধান অনুযায়ী উক্ত ঋণ সম্পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরীর ধারণকৃত শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে না।’
গত ২৩ জুন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকে এই তথ্য দিয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পূবালী ব্যাংকের অপসারিত পরিচালক ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরীর কাছে ২০৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
অপর দিকে পূবালী ব্যাংকের আরেক পরিচালক কবিরুজ্জামান ইয়াকুব পূবালী ব্যাংকের বড় অংকের ঋণ খেলাপী। চান্দ্রা স্পিনিং মিলে শত কোটি টাকা ঋণ খেলাপী হওয়ার পরও সেটা পরিশোধ না করে তিনি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে পূবালী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কবিরুজ্জামান ইয়াকুব পূবালী ব্যাংকের পরিচালক না থেকে তার ভাই শাহীনুজ্জামান ইয়াকুবকে পরিচালক পদে বসান।তিনিও এই প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপী। বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে পূবালী ব্যাংকের ওয়েব সাইট ও নথিপত্রে এখনও কবিরুজ্জামান ইয়াকুবকেই পরিচালক হিসেবে দেখানো রয়েছে।
এদিকে দুদকের একজন পরিচালক জানান, পূবালী ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতি, ডলার কারসাজিসহ নানা অভিযোগে দুদক অনেক অভিযোগ পেয়েছে। সেগুলো আমলে নিয়ে তদন্ত করছে। সাদ মুসা গ্রুপকে বিধি বহির্ভূত ঋণ দেওয়ায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমডি এবং পরিচালনা পর্ষদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এছাড়া অর্থ আত্মসাৎ ও ডলার কারসাজির অভিযোগে ব্যাংকের পরিচালক ফাহিম আহমেদ ফারুক চৌধুরী ও কবিরুজ্জামান ইয়াকুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলীকে শিগগিরই নোটিশ পাঠাবে দুদক।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81