09/20/2025
শাহীন আবদুল বারী | Published: 2025-09-20 12:57:00
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ন্যায় বিচার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, খালকাটা, গণশিক্ষা, খাদ্য উৎপাদন ও গ্রাম স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম দেশবাসীকে আকৃষ্ট করেছিলেন। জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন একটি সচেতন ও শিক্ষিত যুব সমাজ তৈরি করতে। যেন তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অটল প্রহরী হয়। তিনি বলেছিলেন এই দেশ যুব সমাজ নেতৃত্ব দেবে। গ্রামের দরিদ্র পিতা-মাতার আশা-ভরসার স্তম্ভ হবে যুব সমাজ।
জিয়াউর রহমানের গড়া আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের আস্থার প্রতিচ্ছবি। জনগণের নির্ভরতা ও আশা ভরসার ঠিকানা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ঐক্যের শক্তি, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ও জনগণের ভালোবাসা তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান। তিনি জনগণের ভালোবাসা, বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম খুঁজে পাচ্ছে নতুন আশা। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও তিনি গণতন্ত্রের পথে অটল। আগামীর বাংলাদেশে তিনি হবেন জনগণের মুক্তির পতাকা-বরকত। তারেক রহমান মানেই সাহস, সংগ্রাম আর জনগণের অধিকার আদায়ের অঙ্গীকার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় সমাবেশে ভিডিও কলে বার বার নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য পেশ করে বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে খুবই কঠিন। নির্বাচনে আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে এমনটা ভাবলে দলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। এজন্য দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান। কিন্তু বিতর্কিতদের ভিঁড়ে দলের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীরা হারিয়ে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির ৩০০ আসনের প্রতিটিতেই মনোনয়ন নিয়ে গ্রুপিং চলছে। মনে হচ্ছে, হাত বাড়ালেই মনোনয়ন মিলবে। একেকটি আসনে ৪/৫ টি করে গ্রুপিং রয়েছে। এসকল গ্রুপিংয়ে গত এক বছরের বিএনপি হাইব্রিড নেতারা জায়গা পেয়েছেন। আর গত ১৭ বছরের ত্যাগী, নিষ্ঠাবান ও জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। হাইব্রিড ও সুবিধাভোগীরাই গত এক বছরে বিএনপির জনপ্রিয়তায় ধস নামিয়েছেন। এরা প্রকৃত পক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে যোগসাজশ করে ১৫ বছর টিকে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তারাই আওয়ামী লীগকে শেল্টার দিচ্ছেন। যে কারণে জামায়াত খুব নিমিষেই বিএনপির বিরোধিতা করার সুযোগ পাচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে এসব সুবিধাভোগী নেতাদের বিষয়ে বিভিন্ন সূত্রে অবগত হয়েছেন। দলের হাইকমান্ডের অনেক নেতাও এই তালিকায় রয়েছেন। বিএনপির ইমেজ যাতে কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয় সে জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান। কিন্তু তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে চাঁদাবাজি এবং নানা রকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন বিএনপির অসংখ্য নেতা। তারা জুলাই বিপ্লবের পর বিভিন্ন দখল বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। কোনভাবেই তাদেরকে বারণ করা যাচ্ছেনা।
গোয়েন্দা সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজতে জরিপ হচ্ছে। থাকবে তরুণ নেতাদের প্রাধান্য, ক্ষমতায় গেলে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপেক্ষা করে সারা বাংলাদেশে বিএনপির একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকান্ডে নিজেদের জড়িয়েছেন। স্থানীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রভাবশালী এবং কিছু কেন্দ্রীয় নেতার শেল্টারে দখলদারিত্ব, কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে দলের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে। এ জন্য এসব নেতার তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপির একাধিক বিশেষ টিম।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনোভাবেই বিতর্কিত কাউকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, যারা তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে দলের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করছেন তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তারা এলাকায় কিংবা দলে যত বড় ক্ষমতাধর হোক তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবেনা।
গত ৪ জুলাই থেকে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। নির্বাচন করতে পারেন এমন প্রার্থীদের বাড়ি এবং ব্যবসায়িক কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। কিছু প্রার্থী গোয়েন্দা সংস্থা গুলোকে নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়েছেন এবং কেউ কেউ কিছু বিষয় গোপন করার চেষ্টা করছেন। সংস্থাগুলো প্রথাগত সোর্স ও মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর কাছ থেকে বাকি তথ্যগুলো সংগ্রহ করছে। শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগভিত্তিক প্রার্থীদের এ তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বেশি প্রার্থী হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগের ৭০ আসনে ৫৮০ ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। এছাড়া ভোট করতে ইচ্ছুক এমন এক হাজার ৯৪১ জনের মধ্যে ৭০ জন ঋণখেলাপি হওয়ার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্রতিবেদন যাতে কোনো ধরনের নেতিবাচক না হয়, সেক্ষেত্রে কিছু প্রার্থী পুলিশের দারস্থ হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, মাঠপর্যায়ে যে তথ্য পাওয়া যাবে, ওই তথ্যগুলো এখানে লিপিবদ্ধ করা হবে।
এই বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানান, প্রার্থীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সারণি আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী বিভাগের এক পুলিশ সুপার (এসপি) এপ্রতিবেককে বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা করে সেগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অনেক বিতর্কিত নেতা আছে, যারা মনোনয়ন নিতে মরিয়া। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের।
সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪ আসনে ১২০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রতি আসনে গড়ে ছয়জন করে প্রার্থীর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের প্রতিবেদনে ওই বিভাগের অধিকাংশ প্রার্থীই তরুণ বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে ১৯৮ প্রার্থীর খবর পেয়েছে পুলিশ। ওই বিভাগে বিএনপির প্রার্থী বেশি বলে জানা গেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮ আসনে ৩৪৮ জন এবার ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেবেন বলে তালিকায় উঠে এসেছে। বরিশালে বিভাগের ২১ আসনে ১৪৭ জন ভোট করবেন বলে জানা গেছে।
খুলনা বিভাগের ৩৬ আসনে এবার ২১৬ জন ভোট করবেন। রাজশাহী বিভাগের ৩০ আসনে ১৮০ জনের ভোট করার কথা জানানো হয়েছে। ওই বিভাগে বিএনপির প্রার্থী বেশি বলে জানা গেছে। এছাড়া সিলেটের ১৯ আসনে ১৫২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী এবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের ২১ আসনে ১৪৭ জন ভোট করবেন বলে পুলিশের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের বায়োডাটায় প্রার্থীর পেশাগত পরিচয়, রাজনৈতিক ইতিহাস ও ভূমিকা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রভাব, কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড, বিচারাধীন মামলা বা আগের সাজা, মোবাইল নম্বর, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরন ও আর্থিক লেনদেন, বিদেশে যাতায়াত ও সম্পদের বিবরণ, অপরাধমূলক রেকর্ড, পুলিশের খাতায় থাকা তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সহিংসতায় জড়াতে পারেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন বানচাল করতে ফ্যাসিবাদের একটি গোষ্ঠী মাঠে সক্রিয় হতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মাঠপর্যায়ে টহল বাড়ানোসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করবে। পুলিশ বাহিনী মাঠে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে গত ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণা করেছেন। কিন্তু নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দেশীয় ও বিদেশীয় চক্র। কিছু ব্যাক্তি চাচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেয়া হোক। কিন্তু প্রধান নির্বাচন সাফ জানিয়েছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে চিন্তা করার কোন সুযোগ নেই।
এদিকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় দুই কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হবেন। বেশির ভাগ তরুণ চায়, তাদের কর্মসংস্থান, আধুনিক শিক্ষা, প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কিন্তু পিআর পদ্ধতি চালু হলে তারা রাজনীতিকে আরো জটিল,দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর হবে বলে মনে করেন। এতে তরুণরা গণতন্ত্র থেকে বিমুখ হয়ে পড়তে পারেন। ধর্মীয় সহিংসতা ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।
মনোনয়ন পাচ্ছেন না বিএনপির বিতর্কিতরা
সময়োপযোগী, বাস্তব সম্মত, কঠিন পদক্ষেপ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। তারেক রহমানের কঠিন এই বাক্যটি দলের হাইকমান্ডের অনেক নেতার ঘাম ঝড়াচ্ছে। অনেক নেতা তাদের অতীতের কর্মকাণ্ড অনুধাবণ করা শুরু করেছেন। আবার অনেকের অতিত খতিয়ান বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে দলে যারা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির একজন নেতার সাথে আলাপকালে জানা যায়, পতিত সরকার আমলে যেসব নেতাকর্মী দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন তারা বেশির ভাগ মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। আবার অনেকে নিজের অপকর্মের জন্য মামলার আসামি হয়েছেন। এখন সবাই দাবি করছে, দলীয় মিটিং-মিছিল এবং দলের জন্যই তারা নির্যাতন নিপীযূষনের শিকার হয়েছেন। সূত্রমতে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী সহ হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আবার কেউ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপিদের সাথে হাত মিলিয়ে ঠিকাদারি, টেন্ডারবাজি, ব্যবস্থা-বাণিজ্য করেছেন। তারাই এখন মিটিং-মিছিলে সামনের সাঁড়িতে থাকেন। যদি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সঠিকভাবে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেন তাহলে দলের ভাবমূর্তি ইতিবাচক হবে। ত্যাগি ও নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীরা তাকিয়ে আছেন তারেক রহমানের দিকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ১৯টি উপাদেয় ও ৪টি মূলনীতি নিয়ে গঠিত। মহান আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ন্যায়বিচার সুষ্ঠ সমাজব্যবস্থা এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ে গনতন্ত্র। জিয়ার দক্ষ মননশীলতার জন্য তিনি একটি তলাবিহীন ঝুড়ির তূল্য দেশকে সুসংহত, সমৃদ্ধ, সুনির্ভর, দুর্বৃত্তপরায়ণমুক্ত ও উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করতে পেরেছিলেন।আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করতে পেরেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সকল দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও সুসম্পর্ক স্থাপন করতে পেরেছিলেন। শহীদ জিয়ার শাহাদাত বরণ করার পর তারই ধারাবাহিকতায় দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার আমলেও অভূতপূব' উন্নতি সাধিত হয়েছে। সবই সম্ভব হয়েছে দেশপ্রেমের জন্য। তাদের অনুসারীরা এখনো শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারেনি বলেই আজ বিএনপির হাইকমান্ড সহ জেলা-উপজেলায় গ্রুপিংয়ে নিমজ্জিত। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন এবং সর্বোপরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে পটপরিবর্তনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন আগামী নির্বাচন হবে খুবই কঠিন।
পতিত সৈরাচার সরকারের শাসনকালে জনমানুষের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষা করে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিরোধী দলের উপর জেল, জুলুম, গুম, খুন, হামলা, মামলার পাশাপাশি দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, সম্পদ লুন্ঠন এবং মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে বলেই পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ দেশের মানুষ আশাবাদী শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই পারবেন একটা সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে। যেখানে থাকবে না প্রতিহিংসার রাজনীতি, লুন্ঠন হবে না কারো সম্পদ হরণ, হবে না বাকস্বাধীনতা। নিজেদের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে জনমানুষের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে গঠিত হবে এক নতুন আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ। আগামী দিনে তারেক রহমানের সিপাহশালার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য জিহাদী সৈনিকরাই পারবে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে।
বিএনপির বিতর্কিত নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করে ত্যাগীদের প্রাধান্য দিতে হবে। জনপ্রিয়তা বাড়াতে মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। বাড়াতে হবে জনসংযোগ। মানুষের বিপদে-আপদে যেসব নেতাকর্মী পাশে থাকেন তাদেরকে সামনের কাতারে স্থান দিতে হবে। ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বের অভিযোগ আছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের তালিকা প্রকাশ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিকট দাবি জানিয়েছেন দলের পদ বঞ্চিত, মেধাবী, নিষ্ঠাবান ও জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81