09/28/2025
শাহীন আবদুল বারী | Published: 2025-09-27 12:57:07
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ আংশিক) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে একক প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। পাশাপাশি বিএনপির প্রবাসী রাজনীতির দুই পরিচিত মুখ—কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সালাম এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেকও মনোনয়নের দৌড়ে সক্রিয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন প্রবাসী শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত নেতা ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই। সততা, যোগ্যতা, মেধা ও অভিজ্ঞতার কারণে তিনি এখন স্থানীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় উঠে এসেছেন।
বিএনপির এই চার নেতাই সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। এই কারণে তাঁরা এবং তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনী এলাকায় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের পক্ষে কর্মী-সমর্থকেরা নানা ধরনের অনুষ্ঠান ও সভা-সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।
স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনের মতো সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও আবদুস সালাম দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে ২০১৮ সালে এখানে দলীয় মনোনয়ন পান সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী। ২০২১ সালে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় শফি আহমদ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। এই অবস্থায় শফির স্থলাভিষিক্ত হতে বিএনপির অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এবার তৎপরতা বাড়িয়েছেন।
সততা ও যোগ্যতার প্রতীক ড. ফয়েজ উদ্দিনের জীবন ও কর্মজীবন তাঁকে অন্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করেছে। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিনয়ী, সৎ, নিষ্ঠাবান ও আস্থাভাজন হিসেবে সুপরিচিত। রাজনীতির মাঠে তাঁর কোনো বিতর্কিত ভূমিকা নেই। বরং দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা, শিক্ষাক্ষেত্র, মানবাধিকার রক্ষা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমান সময়ে বিএনপির সবচেয়ে বেশি দরকার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী। এই জায়গায় ড. ফয়েজ উদ্দিন এমবিই নিঃসন্দেহে এগিয়ে। উনার বিকল্প শুধু উনিই।
৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করেছেন। প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, কমিউনিটি উন্নয়ন, মানবাধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অভিজ্ঞতা অনন্য। সামাজিক সংহতি, জাতিগত বৈষম্যবিরোধী কাজ, শিক্ষা উন্নয়নসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে তিনি সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তাঁর শক্তিশালী পারিবারিক পটভূমি এবং গতিশীল নেতৃত্বগুণ স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁকে একটি আলাদা অবস্থান দিয়েছে। তৃণমূলের কর্মীরা বলছেন, এমন অভিজ্ঞ ও সৎ নেতাকে সামনে আনলে জনগণ বিএনপির প্রতি আরও আস্থাশীল হবে।
প্রবাসে থেকেও তিনি কখনো দেশের রাজনীতি থেকে দূরে যাননি। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তিনি সবসময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে সক্রিয় থেকেছেন।
যুক্তরাজ্যের সংসদ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও যোগাযোগ বিএনপির জন্য এক বড় সম্পদ হতে পারে।
সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন, এই শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংযোগ আগামীতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কঠিন সময়গুলোতেও ড. ফয়েজ উদ্দিন দল এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশে থেকেছেন। বিশেষ করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁর দৃঢ় অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি শুধু প্রবাসে বসে রাজনীতিই করেননি, বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ছিল আন্তরিক।
যদিও স্থানীয় মাঠ পর্যায়ে তিনি তুলনামূলকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন তবে ক্রমেই কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর চারপাশে সংগঠিত হচ্ছেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও তৃণমূল কর্মীদের উদ্যোগে তাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে ইতিবাচকভাবে।
স্থানীয় ভোটারদের একাংশ মনে করেন, “আমরা পরিবর্তন চাই, পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব চাই। ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই সেই পরিবর্তনের প্রতীক হতে পারেন। ইতিমধ্যে তাঁর বিনয়ী আচরণ, মার্জিত ভাষা ব্যবহার, সততা, দক্ষতা, আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। আমরা এমনই নেতাকে সংসদে দেখতে চাই।"
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি বিএনপি সত্যিই একটি নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য, ক্লিন ইমেজধারী এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রার্থী চায়। তবে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই-ই হতে পারেন সবচেয়ে যোগ্য মুখ। তাঁর সততা, দক্ষতা, আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
সিলেট-৩ আসন সব সময়ই দেশের রাজনীতিতে গুরুত্ববহ। এবারও এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। স্থানীয় নেতা, প্রবাসী নেতা—সবাই দৌড়ে থাকলেও বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই।
তৃণমূল থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন—সবখানেই তাঁর পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি এবং নেতৃত্বের স্বীকৃতি ড. ফয়েজকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি তিনি মনোনয়ন পান তাহলে কেবল সিলেট-৩ আসন নয়, বরং সারাদেশে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন।
ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই এই প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি সিলেট-৩ আসনের সর্বস্তরে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81