29604

09/28/2025

বিএনপি নির্বাচন ইস্যুতে পিছিয়ে

শাহীন আবদুল বারী | Published: 2025-09-27 14:36:19

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখন নতুন রূপান্তরের দ্বারপ্রান্তে। দলকে সুশৃঙ্খল, আদর্শভিত্তিক ও আধুনিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা আজ সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। কিন্তু দলের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, পদ বাণিজ্যকারী কিছু অসাধু লোক অনুপ্রবেশ করেছে। এরা শুধু দলের ভাবমূর্তিই নষ্ট করছে না বরং জনগণের আস্থাও ধ্বংস করছে। দ্রুত এদেরকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

একটি রাজনৈতিক দলের আসল শক্তি হলো কর্মী।তারাই ভোটের মাঠে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়। এই কর্মীরাই মিছিলে লাঠি-গুলির সামনে থাকেন। তারা আদর্শ বুকে ধারন করে প্রয়োজনে জীবন দেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কর্মী ছাড়া দল ও নেতৃত্ব শূন্য।

৫ আগস্টের পর বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। দলের ভেতর জায়গা করে নিয়েছে হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীরা। এজন্য দায়ী হচ্ছেন দলের হাইকমান্ডের কিছু রাঘববোয়াল নেতা। এটি শুধু ঢাকার মধ্যে সীমিত নয়, বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারাও সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, দখল বাণিজ্য এবং মামলা বাণিজ্য। এছাড়াও সুবিধাবাদীরা চাঁদাবাজিতে অনেক দক্ষ। তাদেরকে ব্যবহার করে অনেক নেতাই এখন দখলবাণিজ্য ও চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছেন। যাদের ভাত খেতে কষ্ট হতো তারা এখন দামি গাড়িতে চড়েন। এসব কারণে দলের বদনাম হলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তাদের দরকার যেকোন উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার ১৯ দফা ভুলে গেছেন, তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি মানেননি এবং বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ ভুলে গেছেন তাদেরকে মনোনয়ন থেকে বাদ দেওয়াই জনগণের প্রত্যাশা।

বিএনপিকে মনে রাখতে হবে, ভোটাররা আর অন্ধ নন। তারা চায় শিক্ষিত, ভদ্র, মার্জিত, আদর্শবান, দুর্নীতিমুক্ত, কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব। অন্যদিকে, ত্যাগীদের সময়ের দাবি স্পষ্ট। তারা চায় দলে শুদ্ধি অভিযান, কর্মীবান্ধব নীতি, আদর্শবান নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি। এই পথে বিএনপি আবার হবে জনগণের হৃদয়ের সংগঠন।

এখন দলের মধ্যে বলিষ্ঠ শ্লোগান হচ্ছে- “কর্মীর শক্তি, আদর্শের প্রাণ, শুদ্ধি অভিযানে জাগুক বিএনপির সম্মান।" “দল নয় দখলদার, বিএনপি হবে কর্মীর অধিকার।”

গত ১৫ বছরে যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, মাঠে-ক্ষেতে-বিলে লুকিয়ে থেকেছে, জেল খেটেছে, মার খেয়েছে; এখন তাদের মূল্যায়নের সময় এসেছে। দেশব্যাপী দলের নেতাকর্মীরা কি পরিমাণ নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে তা একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া আর কারও বুঝার সক্ষমতা নেই।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে প্রশাসন ধরে নিয়ে শুধু মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। কারো নখ তুলে ফেলছে, কারো শরীর জুড়ে মারের দাগ এখনো শুকায়নি। অনেকে দলের জন্য আন্দোলন করে জেলে গিয়ে বিয়ে করেনি, অনেকে পড়াশোনা করতে পারেনি। আবার কেউ স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা বা মনের কথা বলতে পারেনি। দলের জন্য অকাতরে জীবন দিয়েছেন। বিএনপির অন্যতম নেতা চৌধুরী আলম ও ইলিয়াস হোসেন সহ অসংখ্য নেতাকর্মীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা মারা গেছেন নাকি বেঁচে আছেন কেউ তা জানেনা। তাদের পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে গেছে। অথচ গত ১৫ বছর যাদের গায়ে আঁচড় লাগেনি, তারাই এখন উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।

এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে দল সংস্কার করা হবে, হাইব্রিড, চাঁ'দাবাজ মুক্ত করা হবে। তিনি সবাইকে দল সংস্কারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দলের যেকোনো সিদ্ধান্তের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানান তারেক রহমান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে রাখতে বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি তারেক রহমানের এই হুঁশিয়ারি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুযোগ্য কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমান তার ফেইসবুক পোস্টে নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন যে, খালি পকেটে প্রোগ্রামে গিয়ে সারাদিন না খেয়ে পায়ের জুতা রাজপথে রেখে আসা সেই কর্মীকে খুঁজে বের করেন এবং মূল্যায়ন করেন।

তিনি বলেন, হাইব্রিড নিয়ে দল ভারী করার প্রয়োজন নেই, একা পথ চলতে শিখুন। ১৭ বছর কিন্তু আমরা একাই ছিলাম। এখন থেকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেন বাবা। কেউ কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে দল থেকে বহিষ্কার এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির সাথে জামাতের পলিসি ও তফাত

বিএনপির কাছে মনে হতে পারে জামাত পিআর নিয়ে ব্যস্ত। বিষয়টা আদতে এরকম নয়। পিআর নিয়ে তারা একটা খেলা খেলছে। এর বাইরে জামাত এই মুহূর্তে ফুল স্কেলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের আইটি টীম ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলাভিত্তিক আলাদা নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। এর আওতায় আছে ফেসবুক পেজ, টিকটক একাউন্ট। এইসব একাউন্ট ঐসব জেলা এবং জেলার অডিয়েন্সকে টার্গেট করে বানানো হয়েছে।

তারা প্রতিটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে৷ তার নামে কোন নারীঘটিত স্ক্যান্ডাল আছে কিনা, তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিছু আছে কিনা, কার কোন ব্যাংকে কতো ঋণ আছে। শুধু তাই নয়, সম্ভাব্য প্রার্থীদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল পর্যন্ত তারা সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচনের আগে আগে কি ভয়াবহ স্মিয়ার ক্যাম্পেইন হবে বিএনপি সেটা কল্পনাও করতে পারবে না।

জামাত তাদের ভোটারদের এক জায়গায় জড়ো করছে। জামাতের আমির ঢাকায় যে আসন থেকে নির্বাচন করবেন ওই আসনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দলীয় ভোটারদের নিবন্ধন করিয়েছে। পাশাপাশি অনেককে ঠিকানা পরিবর্তন করে উক্ত আসনের ভোটার বানিয়েছে। এর মাধ্যমে ঐ আসন থেকে জামাতের আমীরকে নির্বাচনে জয়ী করার চেষ্টা চলছে। এই একই নীতি জামাত প্রয়োগ করছে তাদের টার্গেটকৃত অন্য আসনগুলোতেও।

জামাত নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে। মফস্বল ও স্থানীয় পর্যায়ে যেসকল মুরুব্বি বিএনপিপন্থী ছিলেন তাদেরকে বারবার নক করা হচ্ছে। মসজিদগুলোর নিয়ন্ত্রণ তারা নিয়ে নিয়েছে।স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নামে মামলা, মিছিল বন্ধে সবচেয়ে সক্রিয় ছিলো বিএনপি। এখন এই লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা রাতারাতি জামাত হয়ে গেছে। লীগের বিষয়ে নরম থাকার জামাতের এই নীতি এখন কাজে দিচ্ছে।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামাত বাংলাদেশ সচিবালয়, নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ, সরকারি অফিস-আদালত এবং প্রশাসন এর সর্বস্তরে তাদের নিজস্ব লোক বসিয়েছে। বিপরীতে বিএনপি তা পারেনি। এক্ষেত্রেও বিএনপি অনেকটা পিছিয়ে আছে। উপরন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করেছে জামাত। সোস্যাল মিডিয়াও জামাতের দখলে। এছাড়া অধিকাংশ মিডিয়ায় জামাত ও আওয়ামী দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে। বলতে গেলে বিএনপির মিডিয়া অনেকটাই দুর্বল। এজন্য বিএনপির মিডিয়া কভারেজ অন্য সব রাজনৈতিক দলের চেয়ে আনুপাতিক হারে কম হচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারক এবং মিডিয়া সেল এসব বিষয়ে অনেকটাই উদাসীন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, অতি সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটা বিশেষ জায়গা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়। সেখানে ড. ইউনুসকে নিউইয়র্কে চলাফেরা সীমিত রাখার একটা পরামর্শ দেওয়া হয় এবং জানানো হয় তিনি "অপ্রীতিকর" পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ ইউনুসের সফর উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সব জায়গা থেকে তাদের কর্মীদের নিউইয়র্কে একত্রিত করছে। একই সাথে ভাড়া করা হচ্ছে সেখানে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের কিছু বাঙালিকেও।

অন্যদিকে, নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা হবে। রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম। সেটাতেও কিছু সাইড বৈঠক হবার সম্ভাবনা আছে যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছাবার চেষ্টা করবেন। এই সাইড বৈঠকগুলোতে অংশ নেবার কথা ছিলো রাজনৈতিক দলগুলোর কূটনীতিক কোরের লোকজনের। কিন্ত আওয়ামী হুমকি মোকাবেলা এবং সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব হিসেব বিবেচনা করে এক পর্যায়ে সরকার থেকে জনৈক হুমায়ুনের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তার দেওয়া ফর্মুলা অনুসারে ইউনুসের সফরসঙ্গী হয়েছেন ছয়জন রাজনীতিবিদ। তারা কিছু সাইড বৈঠকে অংশ নিবেন। মূলত তাদের উপস্থিতির কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীরা নিউইয়র্কে অবস্থান নিবেন যাতে মাহফুজের সাথে ঘটা ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। প্রধান উপদেষ্টা "বিব্রত" না হন।

বিএনপি নামক দলটা তাদের মহাসচিবকে এমন একটা কাজে ব্যস্ত রাখছে যেখানে কুটনীতিক কোরের লোকজন যথেষ্ট। এই মুহূর্তে তাদের দলের মহাসচিবকে সবচেয়ে বেশি দরকার ঢাকায়। বিএনপির এই মুহূর্তে উচিত ফুলস্কেলে নির্বাচনী প্রচারণায় মন দেওয়া। রোহিঙ্গা ইস্যুর চেয়ে তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে আগামী নির্বাচন নিয়ে কাজ করা। আর ইউনুসের নিরাপত্তা এবং তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব তো আয়োজক দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর। বিএনপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কাজ তো এটা না!

বিএনপি নামক দলটি অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছে। বিশাল পলিসি পেপার তৈরি করছে। কূটনীতি নিয়ে কাজ করছে। দলটি সবকিছুই করছে। শুধুমাত্র রাজনীতিটা করতে পারছে না। বিএনপির পলিসি যত ভালোই হোক, জনগণকে খাওয়াতে বা বুঝাতে না পারলে এটা কোন কাজে আসবে না। যার প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন নির্বাচনে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোনঠাসা। তারা অপেক্ষায় আছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।

খুব সহজ একটা ডেমো

৩১ দফা নামে চমৎকার কিছু প্রস্তাবনা বিএনপির আছে। কিন্ত কার খেয়ে কাজ আছে ৩১ দফা মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুঝবে? বিএনপির অধিকাংশ নেতা ৩১ দফা কি তা পড়ে বুঝেছে কি? ৩১ দফার তো একটা আইডেন্টিটি থাকবে, নাম থাকবে, ব্র‍্যান্ডিং থাকবে। ৩১ দফা কি? এই ৩১ দফাকে বিএনপির দুই-তিনটা ওয়ার্ড দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। "দিন বদলের সনদ", " ডিজিটাল বাংলাদেশ", "সবার আগে বাংলাদেশ" এই টাইপের দুই - তিন ওয়ার্ডে নাম আনতে হবে। ৩১ দফা জনগণের জীবনে কি প্রভাব ফেলবে সেটা বলতে হবে, বুঝাতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএনপি এসব নিয়ে কোন কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে না। তাছাড়া বিএনপির মিডিয়া সেলে যারা আছেন তারাই বা কি করছেন। বিএনপি যেটা করছে, কোটি কোটি লিফলেট বিতরণ করছে। রাস্তা-ঘাট হাট-বাজারে ব্যানার টানিয়েছে। একেকটি আসনে ৪/৫ জন বা তারও অধিক নেতারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে গ্রুপিং করে মিটিং-মিছিলে ব্যস্ত। আদতে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কোন কাজই করছে না। বিএনপি নির্বাচন ইস্যুতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।

এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দলে মেধাবী, তরুণ প্রজন্ম এবং ত্যাগীদের জায়গা করে দিতে হবে। দলকে নির্বাচনের আগে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, শক্তিশালী নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণার রোডম্যাপ এবং প্রার্থী-সমর্থকদের কাজ নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরী করতে হবে। নির্বাচনের আগে দেশের মানুষের কাছে বিএনপির জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে ভোটারদের ঘরে ঘরে যেতে হবে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় পর্যায়ে কোন ইস্যুগুলো সামনে আনলে দলীয় প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত হবে সেগুলো এখনই নির্ধারণ করতে হবে।

মানুষ গত ১৫ বছর বিএনপির প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছিলো, এখন কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তা চিহ্নিত করা বিএনপির গুরু দায়িত্ব। অন্যথায় কোন অশনিসংকেত ঘটলে এর দায় বিএনপিকেই বহন করতে হবে।


Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman

Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81