নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:2022-03-01 04:58:18 BdST
খাল দখল নিয়ে কি বলছে স্থানীয় জনগন ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন? ধারাবাহিক সংবাদের দ্বিতীয় পর্বমহিশা খাল উদ্ধার করা হবেই: ডিএসসিসি; রেকর্ডে মহিশা নাম না থাকলেও সুবিস্তীর্ণ একটি খাল ছিলো: স্থানীয় জনগন
খাল দখল নিয়ে কি বলছে স্থানীয় জনগন ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন? এ নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক সংবাদের দ্বিতীয় পর্ব
গত পনেরোই ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং ডিএসসিসির তৎকালীন সময়ের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, ও বর্তমান প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ মিনু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এবং সার্ভেয়ার টিম সহ ৪৬ নং ওয়ার্ডে খাল দখলমুক্ত করার জন্য পরিদর্শনে আসেন।
প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ মিনু
উক্ত সময়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মেয়র শহিদুল্লাহ মিনু এক বক্তব্যে বলেন, ঐতিহ্যবাহী মহিশা খালটি দখল মুক্ত করবে ডিএসসিসি, হাইকোর্টের রায় কে সামনে রেখে এক সময়ের প্রবাহমান মহিশা খালটি দখল মুক্ত করে জনগনের সম্পত্তি জনগনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
রাসেল সাবরিন
ডিএসসিসি'র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা
অতঃপর ডিএসসিসি'র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, অন্যান্য খালের মতো এ খালটিও উদ্ধার করবে ডিএসসিসি। খাল দখলমুক্ত করার জন্য ডিএসসিসি'র সার্ভেয়ার টিম জরিপের কাজ শেষ করেছে, এবং জরিপ চালানোর সময় তাদের কে সিটি করপোরেশনের জমির দখল ছেড়ে দিতে মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দিতেও দেখা গেছে। সার্ভেয়ার গন যাদের দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করছেন তাদের মধ্যেও ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দখল ছাড়ার কথা বলতেই অনেক কেই বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে, আবার তাদের মধ্যে বেশ কিছু দখলদার দের বলতে দেখা গেছে সিটি করপোরেশন যদি পায়, ভেঙে নিয়ে যাক, আপত্তি নাই। কিন্ত বেশির ভাগই বলছে আমাদের সম্পত্তি সিটি করপোরেশনের হলো কিভাবে? ডিএসসিসি ও দখদারদের কাগজ পত্রেও দেখা যাচ্ছে ব্যাপক তারতম্য।
কিন্তু স্থানীয়দের যারা খালটির দখলে নাই তারা প্রত্যেকেই বলছে খালটির প্রবাহমান অস্ত্বিত্বের কথা, তাদের মধ্যে বয়স্ক একজন বলছেন এ খালটি এতোটাই বিস্তীর্ন ছিলো যে এখানে হাজারমনি নৌকা চলতো, এবং ১০ নং কালীচরণ সাহা রোড নিবাসি এক স্থানীয় বলেন এটি মহিশা খাল, ধোলাইখালের উপশাখা ছিলো। যদিও ডিএসসিসি সূত্রে দখলদার দের অনেকেই খালটির অস্তিত্ব অস্বীকার করছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় খালটির অস্তিত্ব যদি নাই থাকতো তাহলে এতো বিস্তীর্ণ জমি কোথা থেকে এলো। এ ব্যাপারে একেবারই মুখোমুখি অবস্থানে দেখা যাচ্ছে ডিএসসিসি এবং ডিএসসিসি সূত্রে খালটির দখলদারদের। স্থানীয় জনগনদের মধ্যে এ খালটির উদ্ধার নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন, যারা দখলে আছেন তাদের এক বক্তব্য, আর যারা দখলে নাই তাদের আরেক, প্রতিবেদন প্রকাশের পর খালটির আশপাশের এলাকায় দখলদার এবং অন্যান্যদের মধ্যে যেনো কোন উত্তপ্ত পরিস্থিতি না তৈরী হয় সেই সার্থে স্থানীয়দের মধ্যে যারা খালটির বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেছেন তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু ডিএসসিসি সূত্র বলছে অত্যন্ত দ্রুত সময়ে এ খালটি উদ্ধার করা হবে। খালের জমিটি উদ্ধার করে পরবর্তীতে কি করা হবে যানতে চাইলে ডিএসসিসি সূত্র বলে খালটি উদ্ধার করার পর যথার্থ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এলাকাবাসীর একাংশ বলছে একটি প্রশস্ত রাস্তা হলেই ভালো হবে, স্থানীয় জমির মূল্যো তাতে বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ মিনু বলেন এটা ডিএসসিসির ব্যাপার, আমার ব্যাক্তিগত কোন কিছু না, খালটি উদ্ধার করলে নিশ্চয়ই এখানে এমন কিছু করা হবে যাতে মানুষ উপকৃত হয় এবং দৃষ্টি নন্দন কোন কিছু করা গেলে হয়তো এলাকাটির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে, এবং জীবন যাত্রার মান ও বাড়বে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার গন দ্রুতো দখল
ছাড়ার নির্দেশনা দিলেও কতোটু কার্যকর হবে তাদের পদক্ষেপ এবং কি করবে ডিএসসিসি সূত্রের দখলদার? এ নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চলবে।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.