03/20/2025
নেহাল আহমেদ | Published: 2023-07-02 15:50:42
ঈদ এলেই বিশেষ করে ঈদুল আজহা এলেই মৌসুমি কসাইদের কদর বেড়ে যায়। এক একজন কমপক্ষে দশ হাজার টাকা নিয়ে ঘরে ফেরেন।
রহমত নামে একজনকে জিজ্ঞেস করতেই বলেন, “আমরা ঈদে কে কোথায় কাজ করব তা ঠিক করা আছে। এখান থেকে আমাদেরকে কাজ বণ্টন করা হবে।” সাধারনত এক বছর আগেই তাদের ঠিক করা থাকে কাজ।
রহমতের বাড়ি কুষ্টিয়া। সেখানে ক্ষেতে খামারে কাজ করেন।
তার সঙ্গে থাকা আব্দুল ও পেয়ার আলীও রহিমের সঙ্গে কাজ করেন। তারা দুজনও পশু জবাইয়ের কাজ শেষ করে এখন বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানান।
মাংস বাজারের কসাই ইদ্রিস আলী বলেন, তার হাতে বিশজন যুবক ছিল। তারা অন্য পেশার সঙ্গে জড়িত হলেও ঈদে তার সঙ্গে কসাইয়ের কাজ করেছেন। প্রত্যেকেই বেশ সহযোগিত৷ করেছেন। এখন ভাল অংকের টাকা নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ী শহরের মজিবুর রহমান বলেন, ঈদের সময় কসাই পাওয়া খুবই কঠিন। মহল্লার এক যুবক তার গরুটি আরো কয়েকজন যুবককে নিয়ে তৈরি করে দিয়েছে। পারিশ্রমিক হিসেবে তাদেরকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়েছি।
মোবারক নামে এক ব্যবসায়ী জানান গরু কেনার পর থেকে দুদিন ধরে খুঁজেও কোথাও কসাই পাচ্ছিলাম না। পরে অবশ্য একটি গ্রুপকে দিয়ে গরু জবাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছি ৪০০০ টাকার বিনিময়ে। আগে গ্রামের মানুষ সমবেত হয়ে মাংস কাটা হতো। এখন আর সেই সম্প্রীতি নাই বলে জানান তিনি।
ধুনচী গ্রামের ব্যবসায়ী আরমান মিয়ার গরুর দাম পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাই কসাইকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন। চারজন কসাই তার গরু জবাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে।
চারজনই পেশাদার কসাই কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ‘জাত কসাই’, বাকি তিন তার সহযোগী।
মৌসুমি এসব কসাইরা কোরবানির গরু জবাই সংক্রান্ত দাম নির্ধারণ করেন গরুটি ঠিক কতো টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে।
শহরের চামড়া ব্যবসায়ী আকতার খান বলেন, অদক্ষ কসাইদের কারণে প্রতি বছর প্রায় আট শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়। এটা জাতীয় সম্পদ। সঠিক ভাবে চামড়া না ছাড়ালে চামরা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81