03/20/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2023-07-29 03:52:25
বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের ছেলেমেয়েদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে। যেখান থেকে ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের ও বিদেশের কাজে মানব সম্পদ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে ।
সরকারের সেই প্রতিশ্রুতিকে অবজ্ঞা করে কিছু কলুষিত মনের শিক্ষিত মানব নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কোমলমতি কিশোর কিশোরীদের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।
এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার টেপড়া দশচিড়া গ্রামে অবস্থিত 'শিবালয় টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজ' এর বিরুদ্ধে ।
গত ২১/০৬/২০২৩ইং তারিখে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে জানা যায়, অত্র স্কুলে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য বন্ধকরণ বিষয়ক কমিটিতে আহ্বায়ক পদে নিয়োজিত জনাব সুনীল কুমার সরকার, ইন্সট্রাক্টর (ননটেক) রসায়ন ও নিরাপত্তা অফিসার। সদস্য সচিব জনাব মোঃ আনিসুর রহমান ইন্সট্রাক্টর (ননটেক) ইংরেজি ও একাডেমিক ইনচার্জ ।
কিন্তু উপরে বর্ণিত দুজনসহ জনাব মনসুর আহমেদ; এই তিনজন শিক্ষক সিন্ডিকেট করে স্কুলকে জিম্মি করে রেখেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগে বলে, "আমাদের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার জন্য কোন সাজেশন না দিয়ে সিলেবাস এর বাইরে প্রশ্ন করেছে। আমাদের প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে এবং বলে যে আমার কাছে প্রাইভেট পড়লে পাশ করিয়ে দেব আর যদি প্রাইভেট না পড়ো তাহলে আমাদের জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে দিতে হবে । আমাদের প্রাইভেট না পড়ার কারণে ও টাকা না দেওয়ার কারণে সব সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এসব কিছু সমন্বয় করে আমাদের একাডেমিক ইনচার্জ জনাব আনিসুর রহমান ইনস্ট্রাক্টর ইংরেজি ও সুনীল কুমার সরকার ও জনাব মনসুর আহমেদ সিন্ডিকেট করে কলেজকে জিম্মি করে রেখেছে । এ অবস্থায় আমরা কি করতে পারি?"
তারা আরও বলে, "আমরা নিরুপায় হয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর কয়েকবার অভিযোগ পেশ করি। কিন্তু তাতে কোন ফলাফল না পেয়ে নিরুপায় হয়ে আমরা সকলে মিলে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করি। দেখি, যদি আমরা এ নির্যাতন থেকে রক্ষা পাই । আমরা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান । যেখানে আমাদের সংসার চালানোই কষ্টকর, পাশাপাশি পড়ালেখার খরচ তো আছেই। কিন্তু এর অতিক্রম হলে আমাদের পড়ালেখা ছেড়েই দিতে হবে।"
অভিযোগে ছাত্রছাত্রীরা আরো বলে, 'উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেবো' এমন তথ্য আনিসুর রহমান স্যার জানতে পারেন। অতঃপর তিনি ক্লাসে এসে আমাদের হুমকি দিয়ে বলে যান "ইউ এন ও সাহেব নবম গ্রেডের কর্মকর্ত। আমরাও একই গ্রেডে চাকরি করি।"
এছাড়াও স্কুলের মেধা তালিকায় ১ম সারির শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার থেকে ট্যাবলেট দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও দুর্নীতির আশ্রয় নেয় স্কুলের শিক্ষকগণ। যে ছাত্রটি সরকারি ট্যাবলেট পাওয়ার যোগ্য, তাকে ট্যাবলেটটি না দিয়ে নীতিবহির্ভূতভাবে অন্য শিক্ষার্থীকে তা দেওয়া হয়।
এরকম না জানি কত অভিযোগ জমা হয়ে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের ছোট্ট হৃদয় । আরো কত দুর্নীতি আছে অত্র স্কুলের সুশাসনের অন্তরালে ।
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, 'অতিসত্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথার্থ ব্যবস্থা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে কলুষমুক্ত করে গ্রামের অসহায় ছেলেমেয়েদেরকে স্বাচ্ছন্দে পড়ালেখার সুযোগ দেওয়া হোক।'
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81