03/20/2025
বিশেষ সংবাদদাতা: | Published: 2023-10-10 17:18:10
০ বিপুল অবৈধ সম্পদ
০ চলছে গোপনে বিক্রির চেষ্টা
বিশেষ সংবাদদাতা:
চাকরি করতেন সামরিক বাহিনীতে। সেটি ছেড়ে নাম লেখান ব্যবসায়ীর খাতায়। সফলও হন। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন গার্মেন্টস কারখানা। নারায়ণগঞ্জের ঢাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কাঁচপুর এলাকায় ৪৩ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের বিশাল এক কমপ্লেক্স । প্রতিষ্ঠা করেন ‘ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ’। এসব ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন হতো শার্ট, সোয়েটার, ডেনিম, নিট পোশাক। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে তৈরি পোশাকের অর্ডার আসতে থাকে একচেটিয়া। রাত-দিন কাজ চলে ফ্যাক্টরিগুলোতে। সন্ধ্যায় যখন ফ্যাক্টরি ছুটি হতো তখন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে লেগে যেতে তীব্র যানজট। হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক নেমে আসতো রাস্তায়। এক সিনহা গ্রুপে ফ্যাক্টরিতেই চাকরির সুবাদে ভাগ্য বদল হয়েছে অনেক শ্রমজীবী মানুষের। আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে হাজার হাজার পরিবারে। যারা সাব-কন্ট্রাক্টে সিনহা ওপেক্স’র কাজ করতে চাইতো সেসব গার্মেন্টস মালিকদের লাইন পড়ে যেতো সিনহা টেক্সটাইলে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতেন। চোখ ধাঁধাঁনো এমন একটি গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক আনিসুর রহমান সিনহা। দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো যার নাম। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও খুলতে হয়েছিলো সিনহা ওপেক্স’র অফিস। সেই আনিসুর রহমান সিনহা হঠাৎ করেই হয়ে গেলেন ঋণ খেলাপি। প্রতিষ্ঠানগুলো একের পর এক হয়ে গেলো ‘রুগ্ন’। যারা তার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন তাদের এখন মাথায় হাত। তার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার বিল পাওনা। শ্রমিকদের বেতন বাকি। একের পর এক বন্ধ হয়ে যায় ওপেক্স সিনহা গ্রুপের ফ্যাক্টরি। বিশেষ করে যেসব ব্যাংক তাকে শত শত কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে তারাও হয়ে পড়েন দিশেহারা। কিন্তু কেন? এমন কি ঘটলো যে হঠাৎ করেই সিনাহ ওপেক্স গ্রুপের মতো বৃহৎ পোশাক শিল্প পরিবার বন্ধ হয়ে গেলো ? দৃশ্যমান কোনো কারণই খুঁজে পায় না। তবে এ প্রতিবেদক সেই কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। করেছেন ব্যাপক তথ্যানুসন্ধান। তাতে দেখা যায়, দেশের অনেক তৈরি পোশাক শিল্প যখন শনৈ শনৈ উন্নতি লাভ করছে তখন-দপ করেই বন্ধ হয়ে যায় সিনহা ওপেক্স গ্রুপ। দোহাই দেয়া হয়েছে শ্রমিক অসন্তোষের। কিন্তু এটি আসল কারণ নয়। কারণটি হচ্ছে, সিনহা গ্রুপের দায়িত্ব পেয়েছে দ্বিতীয় প্রজন্ম। ধূর্ত, চতুর আনিসুর রহমান সিনহার এখন বয়স হয়ে গেছে। তার সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার সন্তানের হাতে। কিন্তু সন্তান ঘৃণা করেন বাংলাদেশকে। তিনি যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত। তাই সেখানেই তিনি ব্যবসা স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেন। তিল তিল করে তোলা সিনহা ওপেক্স গ্রুপকে তাই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ক্রমে ‘রুগ্ন’ করে তোলা হয়। অথচ তার বিশাল বিত্ত বৈভব হয়েছে লাখো শ্রমিকের রক্ত-ঘামের বিনিময়ে। এসব সম্পত্তির বিপরীতে রয়েছে শত শত কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ। ঋণ শোধ না করে সম্পত্তি বিক্রি এবং সেই অর্থ হুন্ডিসহ নানা অবৈধ প্রক্রিয়ায় পাচার করা হয়েছে। বর্তমানে যৎ সামান্য স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে সেগুলোও গোপনে বিক্রি করে অর্থ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। ব্যাংক এবং পাওনাদারদের চাপে বয়োবৃদ্ধ আনিসুর রহমান সিনহা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করেন কম। কিন্তু গোপনে, লোক মারফতে একের পর এক বিক্রি করে দিচ্ছেন সমস্ত সম্পত্তি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিনহা ওপেক্স গ্রুপের মালিকের নামে ‘আনিসুর রহমান সিনহা।’ পিতা, হাবিবুর রহমান সিনহা। যারা এনআইডি নং- ৫৫৪৫৮৫৫৬৮৫, পাসপোর্ট নং-অ০১০৭১৩৯২। ‘ওপেক্সে সিনহা টেক্সটাইল মিলস’র চেয়ারম্যান হিসেবে আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডামে তার ঠিকানা দেয়া আছে, বাড়ি: ২১, রোড-৫৬, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আনিসুর রহমান সিনহার আপাত: দৃষ্টিতে কোনো বদনাম নেই। অথচ বাস্তবে তিনি ‘ হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল’। অত্যন্ত চতুর। তাকে আপাত: ধরার মতো আইন, সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নেই। অথচ কথিত এ শিল্পপতির ছিলো বিশাল আর্থিক অপরাধ সামাজ্য। তিনিপণ্য আমদানি-রফতানির আড়ালে আন্ডার ভয়েস-ওভার ভয়েসের মাধ্যমে অর্থ পাচার, কাস্টমস ও ভ্যাট ফাঁকি, সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি এবং শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ৫শতাংশ অর্থ আত্মসাৎ।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী তার মেয়ের পরিকল্পনায় সরিয়ে নিচ্ছেন অপরাধলব্ধ সকল অর্থ। দেশ থেকে অর্থ সরিয়ে নেয়ার সুদূরপ্রসারি লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন ২০১০ সাল থেকেই। অর্থ পাচারের কৌশল হিসেবে যুক্তরাজ্য, হংকং, চীন, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে খুলেছেন ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা টেক্সটাইয়ের অফিস খুলেছিলেন। কারণ একমাত্র অফিস খোলা বাবদ অর্থ ব্যয়ের জন্য অর্থ পাঠানোর অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়ে থাকে। বৈধপথে কোনো দেশে বৃহৎ অঙ্কের অর্থ পাঠানোর আইনি কোনো সুযোগ নেই। বিভিন্ন দেশে অফিস খোলার নামে অর্থ সরিয়ে নেয়ার পর সেসব অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে যুক্তরাজ্যে এখনও রয়েছে ‘ওপেক্স ফ্যাশন লিমিটেড’র একটি লিয়াঁজো অফিস। এই অফিস পরিচালনা করেন আনিসুর রহমান সিনহার মেয়ে তানজিয়া সিনহা।
আসিুর রহমান সিনহার আর্থিক রেকর্ড ঘেটে জানা গেছে, ব্যাংক এশিয়ায় ৩টি পরিচালক পদ ছিলো তার। এর প্রভাবে এই ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ঋণ। পরে একটি পরিচালক পদ বিক্রি করে দেন ৬০ কোটি টাকায়। ইস্টার্ণ ব্যাংকেও সিনহা ওপেক্স সৃষ্টি করেন বিশাল ঋণের দায়। পরে এ দায় অন্য ব্যাংক কিনে নেয়। বিভিন্ন ব্যাংকে তিনি ৪ হাজার ৭শ’ কোটি টাকার ঋণের দায় সৃষ্টি করেন। গত দুই বছরে এ অঙ্ক ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের জুনে এবি ব্যাংকের কাছে ওপেক্স গ্রুপের ঋণ ছিলো ৭০ কোটি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কাছে দায় ২শ’৫০ কোটি টাকা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পাবে ৭০ কোটি টাকা। পূবালী ব্যাংকে ঋণ ১৭৫ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৬০ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংকের কাছে ঋণ ১৫০ কোটি টাকা। ট্রাস্ট ব্যাংক পাবে ১২ কোটি টাকা। এরকম অন্তত: এক ডজন ব্যাংকের কাছে তিনি সৃষ্টি করেছেন ঋণের দায়। এ টাকা পুনরুদ্ধারে কোনো কোনো ব্যাংক মামলাও করেছে। কিন্তু টাকা আদায় হচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলো।
চেষ্টা চলছে অবৈধ সম্পদ বিক্রির:অধিকাংশ সম্পদই আনিসুর রহমান সিনহা বিক্রি করে দিয়েছেন। যৎসামান্য সম্পদ যা রয়েছে তাও বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছেন। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ থেকে তিনি যে ভাড়া পাচ্ছেন তাও তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
তার বর্তমান তার সম্পদের একটি তালিকা এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যায়,
(১) ৪০/৮, গুলশান নর্থ এভিনিউ, ‘সিকারা জলছবি টাওয়ার’ (বিএফসি বিল্ডিং)র ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন থাকলেও পরবর্তীতে তিনি রাজউকের আইন লঙ্ঘন করে আরও ৬ তলা অতিরিক্ত করে ২০ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। এখান থেকে তিনি ভাড়া পাচ্ছেন।
(২) সিনহা ওপেক্স টেক্সটাইল (কাঁচপুর) এ তিতাস গ্যাস ব্যবহার করে ৭০ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করেননি। এভাবে তিনি সরকারি অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করে ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় স্ফীত করেছেন।
(৩) আনিসুর রহমান সিনহার মালিকানাধীন সারাদেশে বিএফসি চেইন রেস্টুরেন্ট কোটি কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছে।
(৪) ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ২০৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এ অর্থ তিনি যে প্রকল্প দেখিয়ে নিয়েছেন সেই খাতে খরচ না করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন ব্যাংকটির কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার সহযোগিতায়।
(৫) নারায়ণগঞ্জ, কাঞ্চনে অবস্থিত ‘সাত্তার জুট মিল’স বিজেএমসি’র আইন-কানুন লঙ্ঘন করে কেবিসি গ্রুপের মালিক মাহবুবুর রহমানের কাছে ৩শ’ ৭০ কোটি টাকা বিক্রি করে দেন। বিক্রয়লব্ধ টাকা তিনি বিদেশ পাচার করেন। বিক্রিতে দলিল মূল্য কম দেখিয়েও তিনি সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ করেন।
(৬) রংপুরে ১২ শ’ একর জমিতে সিনহা এগ্রো ও একাধিক আলুবীজ হিমাগার স্থাপন করে কৃষকদের অন্তত: ১শ’ ১০ কোটি টাকা লোকসান দেখিয়ে পুরো টাকা লোপাট করেন। লোপাটকৃত অর্থ বিদেশ পাচার করেন।
এমনিভাবে তিনি নানা কৌশলে সরকারের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অধিকাংশ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। দেশে নামে বেনামে গড়েছেন বিপুল সম্পদ। রাজধানীর গুলশানে তার একক নামেই রয়েছে কয়েকটি বাড়ি, প্লট ও বাণিজ্যিক ভবন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
(১) প্লট নং-২৪, রোড-১১৩, গুলশান-২, ঢাকায় রয়েছে ‘কনভেনটিনা হোটেল’। ২০ কাঠা প্লটের ওপর নির্মিত এ হোটেলের বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত: দেড় হাজার কোটি টাকা।
(২) ৪০.৮, গুলশান নর্থ এভিনিউ, গুলশান-২ এ রয়েছে ‘সিকারা জলছবি টাওয়ার’। ২০ কাঠা প্লটের ওপর নির্মিত ২০ তলা এ ভবনটির বর্তমান বাজার মূল্য ২২শ’ কোটি টাকা।
(৩) গুলশানে আরো একটি বাড়ি নম্বর-৭০, রোড-৫৪, গুলশান-২, ঢাকা।
(৪) ৩০ কাঠা প্লটের ওপর নির্মিত ভবন। বর্তমান বাজার মূল্য ৩ হাজার কোটি টাকা।
(৫) প্লট নং-৩৪,৩৬,৩৮,৪০, খিলক্ষেত নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার কবি ফররুখ সরণিতে অবস্থিত একেকটি প্লটের আয়তন ১০ কাঠা করে। মোট ৪০ কাঠার এই প্লটগুলোর বর্তমান মূল্য প্রায় ২শ’ কোটি টাকা।
(৬) ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড সংলগ্ন নিকুঞ্জতে আরও রয়েছে ৮টি প্লট। এখানে প্রতি কাঠা প্লটের দাম ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ হিসেবে রাজউকের এই প্রকল্পে ৮০ কাঠা প্লটের মূল্য প্রায় ৪শ’ ৮ কোটি টাকা।
(৭) ঢাকার গুলশান-২ এ রোড-৫৬ , বাড়ি নং-২১ এ রয়েছে ২০ কাঠার ওপর বহুতল বাড়ি। এটির মূল্য ৮শ’ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরেও তার নামে-বেনামে রয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর।
দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকা তিনি এসব দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোকে রুগ্ন শিল্পে পরিণত করেছেন অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি করোনা পরিস্থিতিকে ব্যবহার করেছেন। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি করে দেয়ার ফলে ৪৫ হাজার শ্রমিক শুধু বেকারই হননি। দেশের অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে।
অভিযোগ রয়েছে, মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন আনিসুর রহমান সিনহা। এ ঘটনায় তাকে হেফাজতের তান্ডব মামলার আসামি করা হয়েছিলো। টাকার জোরে সেই মামলা তিনি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। এসব বিষয়ে কথা বলতে তার প্রচারিত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেন নি।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81