দীর্ঘদিন পর আগামীকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে বরিশাল যাচ্ছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। এই সফরকে সফল করতে মাঠে তৎপর নেতাকর্মীরা।
দলের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাসে জল কম ঘোলা হয়নি দক্ষিনাঞ্চলের রাজনীতিতে। তবে সভানেত্রীর প্রশ্নে সব নেতারা এক টেবিলে। শেখ হাসিনাকে বরণ করতে জোর প্রস্তুতি চলছে।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, সর্ববৃহৎ একটি জনসভা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য আনুমানিক ১০ লাখ লোকের সমাবেশের চেষ্টা করছি আমরা।
দলীয় সভানেত্রীর বরিশাল সফর উপলক্ষে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের নেতাকর্মীরা। চার দিকে সাজ সাজ রব। বর্তমান সরকারের ১৫ বছরে দক্ষিণাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক। এবার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নানা দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বরিশালের বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অবকাঠামোগত কিছু দাবি আছে। এখানে বিদ্যুৎ ও কাস্টমসের পূর্ণাঙ্গ কার্যালয় এখানে দরকার আছে।
এফবিসিসিআই পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ বলেন, যত দ্রুত আমাদের দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হয় সেটি চাওয়ার থাকবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কারণ তেমন হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবে এবং আমাদের স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও অর্থনৈতিক খাতে ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে।
এদিকে, শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, জনসভায় প্রবেশের আগে প্রত্যেককে চেকিং করা হবে। বরিশাল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা অতিরিক্ত পুলিশের ফোর্স আনছি। সাদা পোশাকেও গোটা এলাকা নজরদারিতে রাখা হবে।
শুক্রবার বরিশালের জনসভা শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।