03/20/2025
নিজস্ব প্রতিবেদক | Published: 2024-01-08 01:50:09
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন আলোচিত প্রার্থী। এই প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার উল্লেখযোগ্য।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের পর এসব প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয় গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে। পরাজিত প্রার্থীদের বেশিরভাগই এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তাদের ভাষ্য, নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দলের বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমর্থিত ৬ প্রার্থীর মধ্যে দুই জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন (বরিশাল-২) ও জাসদের রেজাউল করিম তানসেন (বগুড়া-৪)। হেরে যাওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসানুল হক ইনু, ফজলে হোসেন বাদশা।
পিরোজপুর-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে হেরে গেছেন সাত বারের এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। রবিবার রাতে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন সঠিক হয়েছে।’
কুষ্টিয়া-২ আসনে ১৪ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন হাসানুল হক ইনু। জাসদের এই সভাপতি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমাদের দল থেকে বগুড়া-৪ আসনে রেজাউল করিম তানসেন জিতেছেন। নির্বাচন নিয়ে আমি এখন কী বলবো, সারা দেশের ফলাফল আসুক। সবকিছু মূল্যায়ন করার পর কথা বলবো।’
জাসদের কেন্দ্রীয় একজন নেতার দাবি, কুষ্টিয়া-২ আসনে প্রার্থিতা ১৪ দলীয় জোটের হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ হাসানুল হক ইনুর পক্ষে কাজ করেনি। এই কারণে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেখানে বিজয়ী হয়েছেন। ২৩ হাজার ৩৫৪ ভোটে হেরে গেছেন হাসানুল হক ইনু।
নির্বাচনে হেরে মুষড়ে পড়েছেন তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ নেতারা। দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনে এবং মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে সোনালি আঁশ মার্কায় প্রার্থিতা করে হেরেছেন।
রবিবার রাত ১০টার দিকে দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কোনও প্রার্থী জিতেনি। আর নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা বলবো না। আমাদের যারা প্রার্থিতা করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে দলের অবস্থান জানাবো।’
দলের মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের মন্তব্য, ‘আমার শরীরটা সুস্থ হলে চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে কথা বলে আমি কথা বলবো। নির্বাচন বয়কট করে লাভ নেই। বয়কটে কোনও উপকার নেই।’
মুন্সিগঞ্জ থেকে নির্বাচন করে হেরে গেছেন বিকল্পধারার বর্তমান এমপি মাহী বি চৌধুরী। তাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের কাছে।
অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। তবে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তার বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তাদের আরেক ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে পরাজয়ের পথে।
রংপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামানের কাছে হেরে গেছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান (রাঙ্গা)
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81