03/19/2025
কূটনৈতিক প্রতিবেদক | Published: 2024-02-06 10:55:32
বাংলাদেশকে ক্ষুব্ধ করেছে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা। এর জেরে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানাবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। গতকালও থেমে থেমে সীমান্তের ওপার থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সব মিলিয়ে রাখাইনের দুই পক্ষের সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তে উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে গত দুই দিনে মিয়ানমারের ১০৬ জন সীমান্তরক্ষী বান্দরবানে পালিয়ে এসেছেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বান্দরবানে আশ্রয় নেওয়া ওই সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। আজ (গতকাল) সকালে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা তাঁদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। তাঁদের সীমান্তরক্ষীদেরও ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তাঁদের উড়োজাহাজ, নাকি নৌকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। গতকালও থেমে থেমে সীমান্তের ওপার থেকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সব মিলিয়ে রাখাইনের দুই পক্ষের সংঘাত বাংলাদেশ সীমান্তে উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে।
সীমান্ত পরিস্থিতি এবং তৃতীয় দেশ বা জাতিসংঘের যুক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত যথেষ্ট রক্ষিত আছে। তাঁরা যেহেতু পালিয়ে এসেছেন, তাই তাদের আশ্রয় দিয়েছি। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে আলাপ–আলোচনা চলছে, সেহেতু তৃতীয় পক্ষকে এখানে জড়িত করার কোনো প্রশ্ন নেই।’
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার নাফ নদী ব্যবহার করে নৌপথ দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া তাদের সীমান্তরক্ষীদের (বিজিপি) ফিরিয়ে নিতে চায়।
জানা গেছে, গতকাল সকালে নেপিডো থেকে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুইন উ ফোনে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় মিয়ানমারের প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলেন।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টেকনাফ থেকে নাফ নদী হয়ে মংডুতে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এ সময় তিনি জানান, রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই অব্যাহত থাকলেও মংডু এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81