03/17/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2024-06-06 16:01:28
পৃথিবীর কোথাও কালো রঙের টাকার অস্তিত্ব নেই। এরপরও কালো টাকার কথা প্রায়ই শোনা যায়। বিশেষ করে বাজেট আসলেই কালো টাকার বিষয়টি ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসে। মূলত অবৈধভাবে অর্জিত টাকাই কালো টাকা, যাকে অপ্রদর্শিত সম্পদও বলা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে কালো টাকার পরিমাণ কত, তার সঠিক হিসেব নেই। তবে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির তথ্যমতে, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৫০ বছরে পুঞ্জীভূত কালো টাকা ও দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৪৪ লাখ কোটি টাকা বলে ধরা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে খুব একটা সাড়া দেয় না কালো টাকার মালিকরা।
রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সুযোগ রাখা হচ্ছে কালো টাকা সাদা করার। তবে এবার কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতদিন ব্যক্তিপর্যায়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলেও আসছে বাজেটে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও এই সুযোগ দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
এ ছাড়া ধনীদের ওপর কর বাড়ানো এবং সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়িতে শুল্ক বসানোর মতো সাহসী পদক্ষেপ যেমন নেওয়া হচ্ছে, তেমনি শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক বসানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তও থাকছে এই বাজেটে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর ধারাবাহিকভাবে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের কর দেওয়ার মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে। ‘অর্থ আইন, ২০২০’ এর মাধ্যমে এ সুযোগ আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে তুলনামূলক অনেক বেশি অঙ্কের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে এবং কর আদায়ও হয়েছে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না দিলে সেই টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায় বলে মনে করে এনবিআর।
২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা বলছে, ২০০২-০৩ সালে বাংলাদেশে কালো টাকা ছিল মোট জিডিপির ৩৭ দশমিক সাত ভাগ। ২০১১ সালে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কালো টাকা নিয়ে একটি জরিপ করে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে ২০১০ সালে কালো টাকার পরিমাণ ছিল জিডিপির ৬২ দশমিক ৭৫ ভাগ, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81