03/13/2025
বিশেষ প্রতিনিধি | Published: 2025-03-03 17:30:19
রমিজ সিকদার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট এর সহকারী কমিশনার। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোজাম্মেল হকের ভাগ্নে বর্তমানে কাস্টমস টাঙ্গাইল বিভাগে কর্মরত।
উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে।
পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার চরখালি গ্রামের রমিজ সিকদার বড় হয়েছেন মামার বাড়ি বাগেরহাটের কচুবুনিয়ায়। কাস্টমস বিভাগে ক্যাশিয়ার পদে যোগদান করে বর্তমানে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতির সাথে সাথে তার ভাগ্যের চাকাও ঘুরে যায়। পিরোজপুরের চরখালি গ্রামে কয়েক কোটি টাকার সম্পদসহ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ব্যয়বহুল বাড়ী তৈরি করেছেন রমিজ সিকদার। সম্পূর্ণ বিদেশি ফিটিংস সমৃদ্ধ উক্ত বাড়িটি নির্মাণে যে পরিমান অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা একজন রমিজ সিকদারের সমস্ত চাকুরী জীবনেও আয় করা সম্ভব নয়; এমনটাই দাবী করছেন চরখালি গ্রামের সাধারণ জনগন।
রমিজ সিকদারের এক চাচা বলেন, আমাদের বংশের অনেকের সম্পত্তিই ক্রয় করেছে রমিজ সিকদার ও তার ভাই মনির সিকদার; যিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের খুলনা বিভাগের কর্মরত। দুই ভাই এলাকার অনেকের সম্পদ নিজেদের নামে কিনেছে। মূলত: রমিজ সিকদারের উপার্জিত অর্থেই এলাকায় কোটি কোটি টাকা সম্পদ কেনা হয়েছে।
শুধু পিরোজপুরের চরখালী গ্রামেই নয়, বাগেরহাটের কচুবুনিয়ায় মামা বাড়ীর এলাকায়ও কয়েক একর সম্পদ কিনেছেন রমিজ সিকদার।
কচুবুনিয়ায় রমিজ সিকদার দানবীর হিসেবে পরিচিত। কচুবুনিয়া গ্রামের ভ্যানচালক ওবায়েদউল্লাহ বলেন, উনি কাস্টমসের অনেক বড় কর্তা। এলাকায় অনেক সম্পদ ক্রয় করেছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাগেরহাটের ভিআইপি রোডে রমিজ সিকদার ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ কাঠার একটি প্লট কিনেছেন। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুন্নেছা নুন কলেজের পাশে ইষ্ট্যার্ন হাউজিং এর বিলাস বহুল এপার্টমেন্টে রয়েছে তার আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট। তার স্ত্রী রূপালী ব্যাংকে কর্মরত।
তার চাচা এই প্রতিবেদককে বলেন, রমিজ সিকদারের ঢাকাতে বাড়ি রয়েছে। উক্ত বাড়িতে তিনি বেড়াতেও গিয়েছেন। এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন ক্যাশিয়ার থেকে পদোন্নতি পেয়ে কমিশনার রমিজ সিকদারের এত অবৈধ সম্পদের আয়ের উৎস কি? এছাড়াও তার নামে-বেনামে সম্পদ ও ব্যাংক-ব্যালেন্স রয়েছে বলে জানা গেছে; যা দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে বের হয়ে আসবে।
দেশের চালিকাশক্তি রাজস্ব বিভাগে কর্মরত থেকে রমিজ সিকদারের মত লোকেরা দেশের বারোটা বাজিয়ে নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে নিয়ে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান। দুর্নীতি দমন কমিশন ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর নাকের ডগার উপর দিয়ে কিভাবে শত শত রমিজ শিকদারের জন্ম হয়?
এজাতীয় শত শত রমিজ সিকদাররাই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এনবিআরে কর্মরত থেকে দেশকে নাজুক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
“দ্য ফিন্যান্স টুডে” অনুসন্ধানী টিমের বিশেষ অনুসন্ধানে অসংখ্য দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আমলনামা ও অবৈধ সম্পদের তালিকা উঠে এসেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সদস্যদের শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এর তালিকা
অনুসন্ধানে পিলে চমকানো উঠে আসার পর সমস্ত ডিপার্টমেন্টের চিত্র যে কতটুকু ভয়াবহ তা অনুমান করতে গা শিহরিয়ে উঠেছিল অনুসন্ধানী টিমের। সরকারকে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দুর্নীতিবাজদের ধরে আইনের আওতায় আনতে দুদককে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
দেশে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81