03/15/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2025-03-15 11:41:48
‘বিআইডব্লিউটিএ'র নদী খনন প্রকল্পে সাগর চুরি' শিরোনামে গত ১৩ মার্চ প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার (ড্রেজিং শাখা) এর পক্ষে মোঃ শাহাদাত হোসেন (জনসংযোগ কর্মকর্তা)।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদটি তুলে ধরা হলোঃ
সারাদেশে নৌপথগুলোকে সচল রাখার লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে খনন করা হয়। দেশের নৌপথগুলো সংকুচিত হয়ে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৩২০০ কিঃমিঃ চলে এসেছিল। গত ১০/১৫ বছরে তা খনন করে প্রায় ৭৫০০ কিঃমিঃ এ উন্নীত করা হয়েছে। নৌপথগুলো খননের ফলে নৌপথে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপুল উন্নতি হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো কোনভাবেই রাজনৈতিক বিবেচনায় বা লুটপাট এবং অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়নি। শুধুমাত্র দেশের নৌপথ ব্যবস্থাপনায় উন্নতির জন্যই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ড্রেজিং খাতে ৮টি নয় ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এই ৩টি প্রকল্পে ২৩৬০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়া ৩টি প্রকল্প চলমান আছে যা আগামী আরো ৩/৪ বছরে শেষ হবে। ফলে প্রতিবেদনে উল্লেখিত ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার কথা যে বলা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।প্রতিবেদক কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।
বাস্তবে ২ হাজার ৩০০ শত কোটি টাকা বিগত ১০/১৫ বছরে ড্রেজিং খাতে ব্যয় করে নৌ পথগুলোকে ৩২০০ কিঃমিঃ হতে ৭৫০০ কিঃমিঃ- উন্নীত করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজিং ও হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সমন্বয়ে।
বিআইডব্লিউটিএ'র হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের জরিপান্তে ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের পরিমাপের ভিত্তিতে নৌ-পথগুলোর খনন করা হয়। এছাড়া বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার ড্রেজিং বিভাগে যোগদান করেন ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। এই সময়ে ড্রেজিং বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি কোন দরপত্র আহবান বা চুক্তি করেননি। ফলে এই পদে থেকে ওই সময়ে তার পক্ষে কোন দূর্নীতি করার সুযোগ ছিলনা। সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে যে সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে সকলকেই সেই সরকারের সাথে কাজ করতে হয় এটাই স্বাভাবিক।
প্রতিবেদনে তাকে এইচ টি ইমামের জামাতা উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে এইচ টি ইমামের সাথে রকিবুল ইসলামের কোন পরিচয়ই ছিল না। প্রতিবেদনে যে সকল সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার কোন ভিত্তিও নেই। শুধুমাত্র পূর্বাচলে সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ৫.০০ (পাঁচ) কাঠার একটি প্লট আছে। এছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর যাবৎ পারিবারিকভাবে প্রাপ্ত নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন। অন্যান্য সম্পদের বিষয়গুলো ভিত্তিহীন। নামে বেনামে তার কোন সম্পত্তি নেই।
একজন সরকারী কর্মকর্তার বিদেশ গমনে অবশ্যই সরকারী জিও-র প্রয়োজন হয়। তিনি সরকারী আদেশ ব্যতিত কোন সময়ই বিদেশে যেতে পারেননি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের কোন সামর্থ্যও তার ছিল না।
প্রতিবেদনে তার স্ত্রীকে একজন ঠিকাদার উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে গৃহিনী। ঠিকাদারী কোন লাইসেন্স তার নেই এবং কোন কাজ না করায় অবৈধ অর্থ সাদা করার কোন অবকাশই তার নেই।
সরকার ২৪টি নৌপথ খনন প্রকল্পে তাকে ২ (দুই) বছর প্রকল্প পরিচালক পদে রাখে। পরবর্তীতে তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়। আলোচিত ঐ প্রকল্পটি ৮ বছরে বাস্তবায়ন হয়। উক্ত প্রকল্পে তার পূর্বেও একজন প্রকল্প পরিচালক ছিলেন এবং পরে আরেকজন প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা নদী খনন প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ছাইদুর রহমান (নির্বাহী প্রকৌশলী)।
রকিবুল ইসলাম তালুকদার প্রধান প্রকৌশলী থাকাকালীন সময়ে কোন ড্রেজার ক্রয় করা হয়নি। বিআইব্লিউটিএ'তে যে সকল ড্রেজার ক্রয় করা হয়েছে বিগত সময়ে তিনি ড্রেজিং বিভাগের ড্রেজার ক্রয়ের সাথে বা পরিচালনার কোন দায়িত্বে ছিলেন না।
ড্রেজিং বিভাগের সকল কাজের জরিপ হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ হতে করা হয়। সরকারের নির্দেশে এসকল জরিপ চার্টের পর উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান মাটির পরিমান নিরূপণ করে। যা প্রকল্প পরিচালকগণ বা তার নিম্নের কর্মকর্তাগণ কর্তৃক মনিটরিং হয়। কোনভাবেই প্রধান প্রকৌশলী সম্পৃক্ত নয়। তাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। একইসাথে রকিবুল ইসলাম তালুকদারকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
বিতর্কিত ঐ প্রতিবেদনে এইচ.টি ইমাম, সোহায়েল আহমেদকে রকিবুল ইসলাম তালুকদারের আত্মীয় পরিচয় দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সরকারী কাজে সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ হতেই পারে। তবে তাদের কোন অতিরিক্ত সুবিধা বা কাজ দেয়ার কথা যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
অন্যদিকে, মহিদুল ইসলাম ও আজাহার আলী সরকার যথাক্রমে ২০১৭ ও ২০২১ সালে প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। আর রবিকুল ইসলাম তালুকদার প্রধান প্রকৌশলী হয়েছেন ২০২৩ সালে। তাহলে কিভাবে সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে রকিবুল ইসলাকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।
উপরের বর্ণনামতে, রকিবুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এতে তাকে হেয় করার জন্য প্রতিবেদন টি প্রকাশ করা হয়েছে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81