03/14/2025
A H Khan | Published: 2018-09-02 21:36:02
সন্ত্রাসবাদ দমনের দোহাই দিয়ে যাদের আটক রাখা হয়েছে জাতিসংঘ অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেছে।
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লক্ষ মুসলমানকে বিভিন্ন বন্দীশিবিরে আটক রাখা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়ার পর জাতিসংঘ এই আহ্বান জানায়।
বেইজিং কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে তারা স্বীকার করেছে যে কিছু 'ধর্মীয় উগ্রপন্থীকে', তাদের ভাষায়, 'নতুন করে শিক্ষা' দেয়ার জন্য আটক রাখা হয়েছে।
ঐ প্রদেশে যে গোলযোগ চলছে তার জন্য চীন সরকার ইসলামপন্থী জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে থাকে।
এ মাসের গোড়াতে বর্ণবাদ বিলোপের ওপর জাতিসংঘের এক কমিটি বলেছে, তাদের হাতে একটি বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট রয়েছে যাতে বলা হয়েছে, "চীনা কর্তৃপক্ষ পুরো উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে একটি বিশাল আকৃতির কারাগারে পরিণত করেছে।"
এর জবাবে চীন বলেছে, উইগুররা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।
তবে তারা সাধারণত যেটা করে না, এবারই তারা স্বীকার করেছে যে: "ধর্মীয় উগ্রপন্থায় যারা প্রতারিত হয়েছে, তাদের জন্য সরকার পুনর্বাসন এবং নতুন করে শিক্ষার ব্যবস্থা করছে।"
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের কাছে তাদের প্রমাণ জমা দিয়ে বলেছে যে, বিপুল সংখ্যক মুসলমানকে বন্দীশিবিরগুলিতে আটক রাখা হচ্ছে এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড উইগুর কংগ্রেস তার রিপোর্টে বলছে, লোকজনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখা হচ্ছে এবং তারা ব্যাপকভাবে মারধরের শিকার হচ্ছে।
বেশিরভাগ বন্দীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা জানা যাচ্ছে না।
তাদের পক্ষে কোন আইনজীবীও নেই বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81