03/16/2025
Siyam Hoque | Published: 2020-04-07 04:06:06
কভিড-১৯ সংক্রমণজনিত ভুল তথ্য ও গুজব সরিয়ে নিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির আরও বিস্তৃত ব্যবহার শুরু করেছে ফেসবুক। একই সঙ্গে করোনার বিস্তার সংক্রান্ত বিশ্ব তথ্য কেন্দ্রও চালু করেছে করেছে তারা; যেটি খুব শিগগিরিই বিশ্বজুড়ে উন্মুক্ত হবে। বর্তমানে নির্ধারিত কয়েকটি দেশ থেকে এসব দেখা যাচ্ছে।
ফেসবুকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি ফেসবুকের নিজস্ব তথ্য প্রদান সাইট 'ফেসবুক নিউজরুমে' প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দিকে ব্রাসেলস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ ম্যাগাজিন 'পলিটিকো'র প্রতিবেদনে ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গের বক্তব্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচার প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশের সরকারি তরফ থেকে গ্রাহকের এমন সব ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হচ্ছে যেগুলো ওই ভুল তথ্য সংক্রান্ত পোস্টের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফেসবুক ভুল তথ্য সম্বলিত পোস্ট অবশ্যই সরিয়ে দেবে এবং দিচ্ছে। কিন্তু পোস্টের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় ব্যবহারকারীর এমন তথ্য বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে চাওয়া উচিত নয়।
কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়ছে ফেসবুক: ফেসবুকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ফেসবুক দুইভাবে কভিড-১৯ এর মহমারি ঠেকাতে লড়ছে। প্রথমত ফেসবুক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ যেসব আর্ন্ত্মজাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে কভিড-১৯ সংক্রান্ত সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রচার করছে সেগুলোর লিংক একদম বিনা খরচে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন আকারে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া ফেসবুকের নিউজ ফিডে কভিড-১৯ সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্য সংযুক্ত রাখা হচ্ছে। এখান থেকে যে কোন ব্যবহারারী চাইলেই তথ্য পেতে পারেন। এরই মধ্যে কভিড-১৯ সংক্রান্ত্ম সঠিক তথ্য সম্বলিত বিশ্ব তথ্য কেন্দ্র চালু করেছে ফেসবুক। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রদত্ত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রচারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এই তথ্য কেন্দ্র বর্তমানে নির্ধারিত কয়েকটি দেশ থেকে ব্যবহার করা যাচ্ছে। খুব শিগগিরিই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই তথ্য কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ভুল তথ্য অপসারণ সম্পর্কে বলা হয়, ভুল তথ্য অপসারণ ফেসবুকের নিয়মিত কার্যক্রম। বর্তমানে কভিড-১৯ সংক্রান্ত ভুল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বিস্তুৃত ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। এ প্রযুক্তিতে অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রচার করা তথ্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া যেসব তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ স্বীকৃত সূত্রের তথ্যের সঙ্গে মিলছে না, এমন তথ্যও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রাহক যেসব পোস্ট সম্পর্কে রিপোর্ট করে থাকেন, সেক্ষত্রেরে কভিড-১৯ সংক্রান্ত পোস্টগুলোর রিপোর্ট দ্রুত যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য ৪৫টি ভাষাভাষীর ফেসবুকের বড় একটি কর্মী বাহিনী দিনরাত কাজ করছে।
জাকারবার্গ যা জানালেন: ফেসবুকে গুজব প্রচার সম্পর্কিত 'পলিটিকো'র প্রতিবেদনে ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। ফেসবুক প্রধান জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ফেক নিউজ বা গুজব সবচেয়ে বেশি প্রচার হচ্ছে ফেসবুকের বিভিন্ন 'প্রাইভেট গ্রুপ থেকে'। এ কারণে এসব গ্রুপের বিষয়ে অন্য ব্যবহারকারীদের রিপোর্টকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছে, তেমনি সরকারিভাবে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ আসছে সে বিষয়টিকেও প্রধান্য দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফ থেকে গ্রাহকের পোস্টের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন সব ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হচ্ছে। এ ধরনের তথ্য চাওয়অ উচিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, অগনিত ব্যবহারকারীর ফেসবুক থেকে ভুল তথ্য সরিয়ে নেওয়ার কাজটি খুবই কঠিন এবং জটিল। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই কোন ধরনের ভুল তথ্য প্রচার হতে দিতে চায় না। এ জন্য প্রতিনিয়তই ফেসবুকের কর্মীরা আরও অগ্রগতির জন্য কাজ করছেন। বিশেষ করে কভিড-১৯ সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রচার রোধে আরও হালনাগাদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বিস্ত্মৃত করা হয়েছে। ফেসবুকের প্রচেষ্টার সঙ্গে ব্যবহারকারীরা সচেতন হলে কাজটি আরও সহজ হবে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81