02/24/2025
মোস্তফা কামাল আকন্দ | Published: 2020-05-15 22:54:56
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি --অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য দেশের এই দুর্যোগকালীন সময়ে সীমিত পরিসরে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করার জন্য।
অন্তত ১৫ লক্ষেরও অধিক কর্মী এই মহান সেবায় নিয়োজিত এবং সেই সাথে প্রায় দেশের ১২ কোটি জনগণের আমানত সুরক্ষা করে আসছে। প্রতিভাবান এই যুব সমাজ নিজেদের জীবন ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে জন সেবায় সর্বদা নিয়োজিত।
কোন অবস্থাতেই এই কর্মী বাহিনীকে খাটো করে দেখার সুযোগ নাই। এরা শিক্ষায়, কর্মে , যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, যে কোন দুর্যোগে, অগ্রিম পরিকল্পনায় সবার প্রথমে সব সময় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরা কখনো কোন সুনাম কিংবা কোন স্বীকৃতির জন্য কাজ করে না বরং নি:র্স্বাথে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিবেকের তাড়নায় কাজ করে ।
সরকারের উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে এই জনগোষ্ঠী যা প্রমানের অপেক্ষা রাখে না।
এনজিওদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেরটি অথরিটি ( এম আর এ ) সনদপ্রাপ্ত এনজিও এর সংখ্যা ৭২৪ টি এবং এত কর্মরত কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার।
এছাড়া -পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ) , সমাজ কল্যাণ, সমবায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর , মহিলা উন্নয়ন অধিদপ্তর, ট্রাস্টি আইন আওতাধীন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানী, বিভিন্ন ক্লাব, এলাকাভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান সহ আরো অনেক ধরনের সামাজিক কার্যক্রম এর মাধ্যমে সব মিলিয়ে ১৫ লক্ষের অধিক কর্মী এই মহান সেবায় নিয়োজিত।
৮০ দশক থেকে গ্রামীন অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এককভাবে এনজিওরাই যাবতীয় কর্মকান্ড এখনো পরিচালনা করে যাচ্ছে । শিক্ষিত বিশাল এই কর্মী বাহিনী যখন কর্মরত অবস্থায় থাকে কখন রাত কখন দিন অনেক সময় হিসেবেও থাকে না।
কোন কর্মী মারা গেলে খুবই সামান্য আর্থিক অনুদান হয়ত মিলে কিন্তু সেটা এতই নগন্য বলতেও লজ্জা লাগে, আবার চাকুরীরত অবস্থায় কোন কোন নির্বাহীগণ নিজেদের মালিক বলেও দাবী করতে শুরু করেন।
আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, যে কোন এনজিওর মালিক হচ্ছে জনগণ আর আমরা হচ্ছি ঐ সম্পত্তির আমানত রক্ষাকারী মাত্র। আমাদেরও দু:খ বেদনা আছে কিন্তু আমরা ভুলে থাকার চেষ্টা করি কাজের মাধ্যমে।
বয়স সীমা শেষ হয়ে গেলে কিংবা চাকুরী চলে গেলে এদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী যৎসামান্য কিছু পায় অনেকেই আবার শূন্য হাতে ফিরে যায়। তখন ঐ পরিবারের কি অবস্থা হয় কেউ আর তার খোঁজ খবর রাখে না।
এমতাবস্থায় আমদের প্রাণের দাবী সকল পর্যায়ের এনজিও কর্মীদের বীমার আওতায় এনে কিছুটা হলেও স্বস্থিদায়ক পরিবেশ সৃস্টি করার ব্যবস্থা করুন ।
মোস্তফা কামাল আকন্দ – উন্নয়ন কর্মী
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81