02/24/2025
আবু তাহের বাপ্পা | Published: 2020-06-03 00:33:48
মিথ্যা ও সাজানো ধর্ষণ মামলায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পার গেন্ডারিয়া এলাকার নিরীহ দিনমজুর মো: শামীম (৩৩) ও মোঃ দুলাল (৩২) কারাবরণ করছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গত ১৬/০৫/২০২০ ইং তারিখে পুলিশের ৯৯৯ এ অভিযোগের সূত্র ধরে কথিত বিলকিস (২৬) নামে একজন নারী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পারগেন্ডারিয়া এলাকার খেজুরবাগে (মিঠু মিয়ার বাড়ী) ধর্ষিত হয়।
এই মর্মে অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দেয়। ইকুরিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ শাহাদাৎ হোসেনের কোর্টে লিখিত অভিযোগে দেখা যায় যে, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থলের উল্লেখ এবং বিবরনে গরমিল পাওয়া গিয়েছে।
পরে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে আসামীদেরকে কোর্টে চালান দেয়। আদালত আসামীদ্বয়কে জেল হাজতে প্রেরণ করে। যার জিডি নং-৪৫৫ তাং- ১৬/০৫/২০২০ ধারা ৫৪ কার্যবিধি।
উল্লেখ্য যে, পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ভিকটিম বিলকিস (২৬) ঢাকা মেজিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। কিন্তু গনমাধ্যমের তদন্তে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্ট্রার ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কোথাও এবং ১৬ তারিখ থেকে পরবর্তী ৪ দিনেও এ নামের কোন রোগীর ভর্তির তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নাই।
অথচ ১৬/০৫/২০২০ ইং তারিখের পুলিশ প্রতিবেদনে ভিকটিম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত পারগেন্ডারিয়া এলাকাটি মাদকের আখড়ায় পরিনত হয়েছে।
১৬/০৫/২০২০ ইং তারিখের অভিযোগকারী একই ঘটনার আবার ২০/০৫/২০২০ ইং তারিখে বিলকিস ও সুরভী নামের অন্য একজন মেয়েকে দিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়।
১ম মামলায যে দুইজন ব্যক্তি দুলাল ও শামীম কে আসামী করা হয়েছিল, পরবর্তী মামলায়ও দুলাল ও শামীমকে আসামী করা হয়েছে। যার মামলা নং- ০৫ তাং- ২০/০৫/২০২০ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ এর (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯ (১)/৩০ ধারা।
দুটো মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন। উক্ত ঘটনায় অভিযোগকারী সুরভী ঢাকা মেডিকেল ১৬/০৫/২০২০ - ২০/০৫/২০২০ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু গনমাধ্যমে এ জাতীয় কোন তথ্যপ্রমান পাওয়া যায় নাই।
উক্ত ঘটনার কিছুদিন পূর্বে ০২/০৩/২০২০ ইং তারিখে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মাদকসেবী ও মাদক কারবারীর অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারনে নিরীহ একটি ছেলেকে মারধর করছিল। তখন ঐ স্থানে দাড়িয়ে থাকা মোঃ শহীদ (২৩) এর প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা শহীদকে এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুষি ও চাকু মারে। পরবর্তীতে ঐ এলাকার নৌ-পুলিশে কর্মরত কনষ্টেবল যিনি শহীদের মামাতো ভাই; সন্ত্রাসীদের ধরে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে।
পরে পুলিশ শহীদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা নেয় এবং আসামীদেরকে কোর্টে চালান দেয়। যাহার মামলা নং- ৮, তারিখঃ ০২/০৩/২০২০ ইং, ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোর্ট। আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসেই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে শহীদের মামাতো ভগ্নিপতি দুলাল (৩২) ও তার আত্মীয় শামীম (৩৩) এর নামে মিথ্যা ধর্ষনের অভিযোগ এনে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে দিনমজুর শামীম ও দুলাল জেল খাটছে।
করোনাকালে উভয়ের পরিবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছে।
স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর একটি গ্রুপ দুলাল এর বাড়ী ঘর ভাংচুর করে স্বর্নালংকার, টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ব্যক্তি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকার নিরীহ লোকজন মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।
পুলিশ একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আসামীদের ধরার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই।
প্রতিবেদক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছে ও ধর্ষনের অভিযুক্ত স্থানে গিয়ে বাড়ীর মালিকের সাক্ষাৎ গ্রহনকালে বাড়ীর মালিক ধর্ষনের মত কোন ঘটনা আমার বাড়ীতে ঘটে নাই বলে উল্লেখ করে।
উক্ত বাড়ীতে নীচ তলা ও দোতলা মিলে প্রায় ৪/৫ টি পরিবার বসবাস করে। একেকটি পরিবার একেকটি রুমে বসবাস করে। কোন প্রতিবেশী এমন কোন ঘটনার প্রমান দিতে পারে নাই। যার প্রমানস্বরূপ অডিও/ভিডিও সাক্ষাৎকার একাধিক গনমাধ্যমের নিকট সংরক্ষিত আছে।
ঘটনার সূত্র ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন হবে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81