02/24/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2020-08-15 17:49:30
একটা ভুল তথ্য অনেকেই জানেন। একটা মহল প্রচার করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করে তারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় তারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো না।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.)-এর এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য-স্বাধীনতার প্রথম দশক বইয়ে তিনি বলেন…
আমি ঢাকা ব্রিগেডের অধিনায়ক থাকাকালে মেজর রশিদ ও মেজর ফারুক প্রত্যক্ষভাবে আমার অধীনে কাজ করেছিল। আমি তাদের ভালোভাবেই জানি।
এরা দুজনেই পাকিস্তান আর্মিতে স্বল্পমেয়াদি (ছয় মাসের) প্রশিক্ষণে ১৯৬৫ সালে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার।
মেজর রশিদ ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ঢাকায় ‘ছুটিতে এসে’ মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে। মেজর ফারুক ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ বিজয়ের তিন দিন আগে যশোরে তত্কালীন মেজর মঞ্জুরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে।
আমি যখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, তখন মেজর ফারুককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমার কাছে ফাইল আসে।
সে পাকিস্তানের বাইরে মধ্যপ্রাচ্যে থেকেও ৯ মাসেও স্বাধীনতাযুদ্ধে যোগদান করেনি। দেশের স্বাধীন হওয়া যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর যশোরে মুক্তিবাহিনীতে সে যোগদান করে। এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমি তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হইনি। তাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেজর ফারুক সামরিক বাহিনীতে স্বীকৃতি পায়নি।
যদিও অনেক সিনিয়র অফিসার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আমাকে সুপারিশ করেছিলেন, কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি।
যেহেতু অ্যাডজুটেট জেনারেল হিসেবে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর, তাই আমি উক্ত সুপারিশ নাকচ করেছিলাম।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81