02/24/2025
সামি | Published: 2020-09-29 05:01:35
আগামী নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ আজ করোনা সংক্রমণের ২০৫তম দিন পার করল। গত এক মাসে দেশে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। মানুষের হাসপাতালে নির্ভরতাও কমেছে। করোনার লক্ষণ বুঝে অনেকেই এখন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এরকম পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ করোনার সঙ্গে বসবাসে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আর একারণেই সরকার অনেক করোনা হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে।
করোনার জন্য করা বসুন্ধরা অস্থায়ী হাসপাতালও বন্ধ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পৃথক আবাসন সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, যেহেতু এখন করোনার প্রকোপ কমে আসছে এবং হাসপাতাল নির্ভরতাও হ্রাস পাচ্ছে এই পরিস্থিতিতে আমরা স্বাস্থ্য সেবায় স্বাভাবিক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
কিন্তু স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছে, সরকার করোনা চিকিৎসার সব কিছু গুটিয়ে ফেলে ভুল করছে। এর ফলে দ্বিতীয় ঢেউ হলে আবার সমস্যা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নভেম্বর-জানুয়ারিতে যদি নতুন করে করোনা শুরু হয়, সেক্ষেত্রে আবার নতুন করে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। এতে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, বাড়তে পারে মৃত্যু হারও।
সেজন্যই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউ আসবে এনিয়ে শুধু বক্তৃতা দিলে চলবে না, এজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন ‘প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরুর সময় আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। এবারও একই ভুল করছি।’
তিনি বলেন ‘প্রথমবার প্রস্তুতি না থাকার কারণে সংক্রমণ বেড়েছিল, চিকিৎসায় সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। এবারও আমরা একই ভুলের পথেই হাটছি।’
জাতীয় পরামর্শক কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এখন থেকেই সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন। এগুলো হলো:-
১. স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করতে হবে। দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের শৈথিল্য। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে।
২. হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে হবে। করোনা নেই, এজন্য হাসপাতাল বন্ধ করলে চলবে না। বরং প্রত্যেক হাসপাতালে আলাদা কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩. চিকিৎসকদের প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের আস্থায় রাখতে হবে।
৪. বেসরকারি হাসপাতালে নজরদারি বাড়াতে হবে।
৫. সারাদেশে অন্তত সব জেলায় কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এই প্রস্তুতিগুলো না নিলে আবারও ভুল করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81