02/24/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2020-11-26 18:00:27
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরন এবং এ লক্ষ্যে মৎস ও পশু খাদ্যের মূল্য ও গুনগত মান নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
মৎস ও পশু খাদ্যের চাহিদা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেলেও শুল্ক স্টেশনগুলোতে (আমদানি নীতি ও আদেশ ২০১৫-২০১৭ এর ১৭ অনুচ্ছেদ) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক আমদানিকৃত মৎস ও পশু খাদ্যের গুনগত মান ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিমুক্ত কিনা তা নিশ্চিৎকল্পে যে ০৫টি বাধ্যতামূলক রাসায়নিক পরীক্ষা করতে হয় তার জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ল্যাব পোল্ট্রি রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টার (পি আর টি সি) চট্রগ্রাম সময়ের সাথে সাথে তার সক্ষমতা তো বাড়ায়ইনি বরং দিন দিন তাদের সেবার মান কমে যাওয়ায় আমদানিকারকরা নানাভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন।
এছাড়াও শুল্ক কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অসৎ উদ্দেশ্যে একই টেস্ট বিভিন্ন জায়গায় করিয়ে আমদানিকারকদের চরমভাবে হয়রানি করেই চলেছে।
ফলশ্রুতিতে আমদানিকারকদের কয়েকটি সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মৎস ও পশু খাদ্যের গুনগত মান যাচাই করার জন্য পি আর টি সির আদলে বেসরকারী খাতে একটি ল্যাব স্থাপনের জন্য অনুমতি প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় এবং এই খাতে বিনিয়োগের জন্য উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদান করে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফসল হিসেবে কয়েকজন সাহসী উদ্যোক্তা অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠা করেন 'মুসকাল' ল্যাব। এই ল্যাবটি শুধু দেশীয় মানে সীমাবদ্ধ না থেকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। সেবার মান বৃদ্ধি ও দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৫ জন সায়েন্টিস্ট সহ প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে।
বিগত ২৯-০৭-২০২০ ইং তারিখে ল্যাবটি পরিদর্শনপূর্বক লাইসেন্স প্রদানের জন্য পশুরোগ বিধিমালা/২০০৮ (বাংলাদেশ গেজেট; অতিরিক্ত সংখ্যা নভেম্বর, ০৪/২০০৮) এর বিধি ১৮ এবং বিধিমালার তফসিল ১৭ (চ) মোতাবেক উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হলে ডিরেক্টর, প্রশাসন ডঃঃ শেখ আজিজুর রহমানকে পরিদর্শন কমিটির প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ল্যাবটি সরেজমিনে পরিদর্শন দাখিল তথ্য লাইসেন্স প্রদানের বিলম্ব হওয়ায় গত ০৮-১০-২০২০ ইং তারিখে উদ্যোক্তাগন পুনরায় ল্যাবটি পরিদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করে।
উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২-১১-২০২০ ইং তারিখে চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ও তার প্রতিনিধি ল্যাবটি পরিদর্শন করেন এবং ল্যাবটি যে বিশ্বমানের ও এশিয়ার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ল্যাব; সে বিষয়ে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন।
সর্বশেষ আগামী ২৭-১১-২০২০ ইং তারিখে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত টিমের ল্যাবটি পরিদর্শন করার কথা থাকলেও মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রী মহোদয়ের খুলনা সফরের দোহাই দিয়ে উক্ত পরিদর্শন বাতিল করা হয় এবং এক সপ্তাহ পর পরিদর্শনের নতুন তারিখ দেয়া হবে বলে উদ্যোক্তাদের জানানো হয়।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উদ্যোক্তা এফটি টীমকে বলেন, 'গত ০১লা এপ্রিল, ২০১৯ সাল থেকে প্রতি মাসে ফ্লোর ভাড়া ও অন্যান্য আনুষংগিক বাবদ ০৫-০৭ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এছাড়াও ল্যাবটি বিশ্বমানের পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ০৭-০৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে উদ্যোক্তাগন এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। মৎস ও পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে মৎস ও পশুখাদ্য আমদানিকারকদের পাশে দাড়াতে উদ্যোক্তাবৃন্দ তাদের সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিলেও শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় লাইসেন্স প্রাপ্তিতে দেরী হওয়ায় ল্যাব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, অফিস ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি দিতে না পারায় সম্পূর্ণ অটোমেটেড এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে গড়া দেশের গর্বের এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হতে বসেছে।'
উদ্যোক্তাগন এই বিষয়ে মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রী মাধ্যমে জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং দ্রুততম সময়ে ল্যাবটির লাইসেন্স প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81