02/25/2025
নিজস্ব প্রতিবেদক | Published: 2021-05-04 22:56:50
হেফাজতে ইসলাম শুরুতে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করলেও সময়ে সাথে নিজেদের রাজনৈতিক মোড়কে মুড়িয়ে ফেলে। বিশেষ করে সংগঠনটির আমির আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর জুনায়েদ বাবানুগরীর নেতৃত্বে অর্থ ও রাষ্ট্রক্ষমতার লোভ চরমভাবে পেয়ে বসে সংগঠনটির। এরপর থেকে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী নানা ইস্যুতে জড়িয়ে ফেলে নিজেদের।
হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারের পর একে একে বেড়িয়ে আসছে সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাবলীগ জামাত ভাঙার পেছনেও হেফাজতের ইন্ধনের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। হেফাজতের সদ্য সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ একাধিক নেতাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
হেফাজতের একটি সূত্র বলছে, হেফাজতের একটি অংশ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে এবং ধর্মভিত্তিক একমাত্র শক্তি হতে অন্য ইসলামীক সংগঠনগুলোকেও টার্গেট বানাতে ছাড়েনি। বিশেষ করে তবলীগ জামাতে যে সমস্যার কারণে তাদের মধ্যে বিভাজন এবং ভেঙেছে তার পেছনে হেফাজতের ইন্ধন একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। আর এসব বিষয়গুলো এখন হেফাজতের অনেক নেতাই রিমান্ডে এসে মুখ খুলছেন যা নিয়ে খোদ হেফাজতের মধ্যেই এখন টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, "তাবলীগ জামাত ভাঙার ব্যাপারে নতুন তথ্য পেয়েছি। তাবলীগ জামাত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে। এতে ইজতেমার জৌলুস আগের চেয়ে কমে গেছে। তাবলীগ জামাতকে পরিকল্পিতভাবে ভাঙতে হেফাজতের কোনো কোনো নেতা দীর্ঘদিন কাজ করেছে, যাতে অরাজনৈতিক এই সংগঠন তাদের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়। এটা ছিল তাবলীগ জামাত ভাঙার অন্যতম উদ্দেশ্য। হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাবলীগ জামাত ভাঙার ব্যাপারে এমন বক্তব্য তারা দিয়েছেন।"
দিল্লি ও লাহোরের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৮ সালে বিভক্ত হয়ে পড়ে তাবলীগ জামাত। এ দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার আলেমদের একটি অংশ যুক্ত হয়ে পড়ে। তারা একটি পক্ষকে সমর্থন দেওয়ায় এ বিরোধ নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে মনে করছেন তাবলীগ জামাত সংশ্নিষ্টরা। বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের দু`পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাত বছর আগে শাপলা চত্বরে যেভাবে জড়ো হয়ে হেফাজত তাণ্ডব চালায়, একই কায়দায় এই রমজানে তারা কর্মসূচি করার ব্যাপারে সব প্রক্রিয়া শেষ করে। রমজানে বদরের যুদ্ধ হয়েছিল। তাদের ভাষায়, এ কারণেই তারা বড় ধরনের কোনো কর্মসূচির ছক কষে। আরেকটি শাপলা চত্বরের দিকে ধাবিত হয়ে তারা সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেওয়ার চক্রান্ত করে।
বিশ্লেষকর বলেন, হেফাজতের রাজনৈতিক অভিলাস এবং রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে আকাঙ্খা পেয়ে বসেছিলো তাই তারা নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য অনেক কিছুই করে। তবে সবচেয়ে বড় কথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা যে ষড়যন্ত্র করেছে তার জন্য সাধারণ মানুষের মথ্যেও এখন তাদের অবস্থান শূন্যের কোঠায়। এই পরিস্থিতিতে সরকার বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যখন প্রমাণের ভিত্তিতে হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার করছে তখন হেফাজতের মধ্যেই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হেফাজত এখন ভেঙেচুরে একটি অচল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81