02/25/2025
শাফিন আহমেদ | Published: 2021-05-06 21:29:56
মহামারী কোভিড-১৯ যখন বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে তখন বিশ্ববাসীর নিকট একটাই ভরসা তা হলো- করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা। কিন্তু সমস্যা হলো সারা পৃথিবীতে যে পরিমান জনসংখ্যা রয়েছে সেই জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে হলে যে পরিমান টিকা প্রয়োজন তা উৎপাদন করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় শুরু থেকেই সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত জনসংখ্যা অনুপাতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অনেক কম। এর পিছনে প্রধান কৃতিত্বের দাবীদার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষনিক তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে পার্শবর্তী দেশ ভারত এখন করোনায় বিপর্যস্ত। ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সরকার বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে পবিত্র-মাহে রমজান মাসেও মাসব্যাপী দেশজুড়ে লকডাউন অব্যাহত রেখেছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ২য় ডোজের করোনার টিকা চলছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশী হতাশার খবর হলো, দেশে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ আর এক সপ্তাহ চলবে। আসন্ন ঈদের আগেই শেষ হচ্ছে আপাতত দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । এক্ষেত্রে ১ম ডোজ নেও্য়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না দেশের ১৬ লাখ মানুষ।
সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে টিকা পাওয়ার কথা ছিলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না পাও্য়ার কারনে এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কয়েকদিন পূর্বে ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল, যারা অক্সফোর্ডের টিকার ১ম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ অক্সফোর্ডেরই নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, ১ম ডোজ নেও্য়ার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে টিকা সংগ্রহনের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ।
সরকার অক্সফোর্ডের টিকা গ্রহনেরে চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি অক্সফোর্ডের উৎপাদিত ১০ মিলিয়ন টিকা বাংলাদেশে সরবরাহের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে দেশের শীর্ষ স্থানীয় আইটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যোনা ইনফোটেক লিঃ, হেলোক্সিন প্রাইভেট লিঃ এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে একটি চিঠি দিয়েছে। সরকার যাচাই সাপেক্ষে তড়িৎ পদক্ষেপ হিসেবে অ্যাস্ট্রোজেনেকার অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন (A2D1222) সংগ্রহ করতে পারে।
ফ্যোনা ইনফোটেক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেব কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে সরকারের পাশে দাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছি দেশের অন্যতম তথ্য প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যোনা ইনফোটেক লিঃ।
সরকারের সহযোগিতা পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অক্সফোর্ডের অ্যস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক্ রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা গত ২৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, সচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়কে পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করেছি ।
তিনি গনমাধ্যমের সুনির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের আলোকে জানান, "আমরা মূলতঃ দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার সুযোগটা গ্রহন করতে চাই। বাংলাদেশ সরকারের যে কোন সময় এই ভ্যাকসিন লাগতে পারে এই মর্মে ১০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন মৌখিকভাবে বুকিং করা আছে যেটি তারা আমাকে জানিয়েছেন।"
"উনাদের দেয়া তথ্য মতে, সব ঠিক থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে সর্ব প্রথম Letter of Authorization (LoA)" & Letter of Intent (Lol) ইস্যু করতে হবে। এর পর নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে Special Air Shipment এর মাধ্যমে বাংলাদেশে এটি পৌছে দেওয়ার প্রুতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
দাম কত হবে এবং এটির যুক্তিকতা কতটুকু?
তারা যে রেটটা দিয়েছেন সেটি হলো ২৪.২ ইউএস ডলান পার হিউম্যান ডোজ। আসলে এই দাম নিয়ে আমি ব্যাক্তিগতভাবে অনেকবার উনাদের সাথে দর কষাকষি করেছি তবে তারা যেটি জানিয়েছেন সেটি হলো বর্তমান বিশ্ব বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা বাংলাদেশকে সেরা দামটিই অফার করেছেন। যেখানে বিশ্বের প্রায় ৬০ টি দেশ এই দামে ভ্যাকসিন কিনছে এবং প্রায় ৮০টি দেশ তাদের "Letter of Authorization (LoA)" & Letter of Intent (Lol) ইস্যু করেছেন।
তবে আমি মনে করি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিৎ দেরি না করে অচিরেই এটার বাজার দর ও গুনগতমান যাচাই করে প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাব গ্রহন করা যায়।
টিকার গুনগতমান ও সংরক্ষণ পদ্ধতি কি হবে?
গুনগত মান প্রশ্নে তারা আমাকে যেটি জানিয়েছেন যে, এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরি ভ্যাকসিন হচ্ছে এই "অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনটির প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে এবং এটি এফডিএ এবং ইইউর অনুমোদনপ্রাপ্ত। তারা এটির পাঠানোর সময় একটা বিশেষায়ীত তাপমাত্রার বক্সে প্রক্রিয়াজাত করে পাঠাবে যেটি ব্যবহারের আগ পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81