02/25/2025
অনলাইন ডেস্ক | Published: 2021-09-13 17:06:46
করোনার কারণে ঘরবন্দি জীবন পেরিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ফিরেছে তাদের প্রিয় ক্লাসরুমে। তাই রোববার তাদের মাঝে ছিল ঈদের আনন্দ। সেই আনন্দের ঢেউ লেগেছিল সারাদেশের সব বিদ্যায়তনে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়, টানা ১৭ মাস পর ফের খুলেছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকরা সাদরে বরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে ফুল ও চকলেট দিয়ে বিদ্যালয় ফটকে ছাত্রছাত্রীদের বরণ করা হয়। তাদের সবার মুখে ছিল মাস্ক, চোখে খুশির ঝিলিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হাত ধুয়ে, স্যানিটাইজ করে সুশৃঙ্খলভাবেই নিজ বিদ্যাপীঠে প্রবেশ করে তারা। ক্লাস শেষে সারিবদ্ধভাবে শৃঙ্খলার সঙ্গে আবার বের হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিদ্যালয়ে যাওয়ার উত্তেজনায় শনিবার রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেনি অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে সব শিক্ষাঙ্গনের আঙিনায়। অবশ্য সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে ক্লাস শুরু না হওয়ায় গতকাল প্রথম দিনে বিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি সবাই। এদিকে স্কুল-কলেজ খোলায় রাজধানীর রাস্তায় সকাল থেকেই গাড়ির চাপ ছিল বেশি। পুরান ঢাকা, শান্তিনগর, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর বাইরে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা হয়। শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ ও হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরেও স্কুলে-স্কুলে আনন্দঘন পরিবেশের চিত্র পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বন্যার কারণে দেশের ১৪টি জেলার অন্তত সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল ক্লাস শুরু করা যায়নি। বরিশালের বাবুগঞ্জের দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ পানিতে ডুবে থাকায় সড়কে মাদুর বিছিয়ে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। আর টাঙ্গাইলের নাগরপুরের আলোকাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় পাশের একটি বাড়ির উঠানে ক্লাস নেওয়া হয়। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর বড় অংশই গতকাল খোলেনি। তবে স্কুল ও কলেজের মতোই গতকাল খুলে দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানেও কড়াকড়িভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে দেখা গেছে। এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কভিড-১৯ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, তা জানাতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81