02/25/2025
সৈয়দ মাহবুব আহসান শিমুল | Published: 2022-06-05 21:41:16
এবছর তাপমাত্রা কেমন? নিশ্চয়ই বলবেন আঁতকে ওঠার মতো। আসলেই তাই। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বসবাসের জন্য বিশ্ব বেশ কঠিন হয়ে উঠছে। প্রকৃতির প্রতিশোধে অসহায় মানুষ। অথচ এসবের জন্য আমরাই দায়ী। একদিকে আমরা বিরূপ জলবায়ুর প্রভাবে হাঁসফাঁস করছি, অন্যদিকে পরিবেশবিরোধী কাজও চলমান রাখছি।
প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আবার ফিরতে হবে প্রকৃতির মতো করে প্রকৃতির কাছে।
পৃথিবীজুড়ে ঘনিয়ে আসছে পরিবেশ সংকট। মানবসৃষ্ট যন্ত্রসভ্যতার গোড়াপত্তন থেকেই চলেছে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মানুষের নির্মম কুঠারাঘাত। ফলত বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন বিশ্বব্যাপী অনুভূত হচ্ছে।
পৃথিবীজুড়ে ঘনিয়ে আসছে পরিবেশ সংকট। মানবসৃষ্ট যন্ত্রসভ্যতার গোড়াপত্তন থেকেই চলেছে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মানুষের নির্মম কুঠারাঘাত। ফলত বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন বিশ্বব্যাপী অনুভূত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান ওয়াচ-এর ২০১০ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স (CRI) অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির বিচারে প্রথমেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে বাংলাদেশে একাধারে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, সমুদ্রগর্ভে ভূখণ্ড বিলীন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, অতি বৃষ্টি, অতি বন্যা, অতি খরা, অতি শৈত্য, অনাবৃষ্টি, চর সৃষ্টি, নদী ভাঙন, পানির স্তর নিম্নগামী, এসিড বৃষ্টি প্রভৃতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনরোধে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন বন্ধ করাসহ প্লাস্টিকপণ্য বর্জন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, কয়লা-জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরিত হয় (গ্রিল, কাবাব) এমন খাদ্য বর্জনসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের ব্যবহার (যেমন- সাইকেল) ও পায়ে হেঁটে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বেশি বেশি গাছ লাগানো। এর বিকল্প দ্বিতীয়টি নেই। নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদের উচিত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশ বিপর্যয়গুলো মোকাবিলা করা। আসুন সোচ্চার হই এবং জলবায়ু পরিবর্তনের করাল গ্রাসের হাত থেকে বাঁচি।
পরিবেশ সংকটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা এখন ভীষণ লক্ষ করছি। অনেক প্রভাবের মধ্যে বর্তমানে অন্যতম একটি হলো বজ্রপাত। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এটায় যেভাবে একের পর এক মৃত্যুসহ ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে, তাতে পরিস্থিতি এমন যেন, এটি একটি এক ধরনের দুর্যোগ হিসেবেই আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। বজ্রপাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অতীতের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাছপালা কমে যাওয়া ও পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বজ্রপাতের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই বৃদ্ধি জলবায়ুগত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানের পরিবর্তনের ফল তা সহজেই বলা যায়। বজ্রপাতের ঘটনা প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে তালগাছের চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু যদি ও এব্যবস্থা সময়সাপেক্ষ। এখন কৃষকদের সচেতন করা এবং এলাকায় বড় বড় গাছগুলোকে সংরক্ষণ করা। এই দুর্যোগে প্রাণনাশের ঝুঁকি লাঘব করবে।
বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার কমাতে সরকারের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে জনগণকেও। ঝড়-বৃষ্টির সময় বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি বজ্রপাত প্রতিরোধের নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81