02/25/2025
সঞ্জয় দত্ত | Published: 2022-06-27 02:43:22
বিদ্যুৎ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। হেন কাজ নেই যা বিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়া করা সহজ হয়। কিন্তু মুশকিল হয় তখন যখন নিজেদের ভুলের কারণে বা সিস্টেম ত্রুটির কারণে মাস ফুরালে গুণতে হয় অতিরিক্ত টাকা। বিদ্যুৎ খরচ কমানোর কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ নিয়ে খুঁটিনাটি
বর্তমানে দেশে দুই উপায়ে বিদ্যুৎ প্রদান করা হয়ে থাকে। একটি পোস্টপেইড, অন্যটি প্রিপেইড।
পোস্টপেইড সিস্টেম হল, যখন খরচের পর টাকা পরিশোধ করা হয়, আর প্রিপেইড তার বিপরীত৷
বাংলাদেশ পাওয়ার ডিভিশন ওয়েবসাইটের সর্বশেষ সূত্রমতে, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫২টি এবং ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫,৫৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। মাথাপিছু হিসাবে যা প্রতি ঘন্টায় ৫৬০ কিলোওয়াট।
বিদ্যুৎ খরচ বাড়ার কারণ
কারণ হিসেবে প্রথম কথা হলো, মূল্য বাড়লে খরচ তো বাড়বেই। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে কার্যকর হওয়া বিদ্যুতের নতুন দাম পূর্বমূল্যের সাথে পাইকারি গড়ে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট) ৪০ পয়সা এবং খুচরা ৩৬ পয়সা বৃদ্ধির আদেশ জারি হয়।
এছাড়াও আমাদের খেয়াল ঘাটতির কারণেও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। যেমন, বিদ্যুৎ মূল্য নির্ধারণে সুনির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করা হয়। সাধারণ গ্রাহকের ক্ষেত্রে ০-৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ মূল্য ৪ টাকা ১৯ পয়সা, ৭৬-২০০=৫ টাকা ৭২ পয়সা, ২০১-৩০০=৬ টাকা, ৩০১ - ৪০০ = ৬ টাকা ৩৪ পয়সা, ৪০০ – ৬০০ = ৯ টাকা ৯৪ পয়সা এবং তারপর ১১ টাকা ৪৬ পয়সা দরে চার্জ করা হয়।
এখন কেউ যদি ইউনিট ধরে লক্ষ্য নির্ধারণ করে না রাখে, তবে তার বিদ্যুৎ বিল বাড়তেই থাকবে। আরও কিছু কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হতে পারে বিদ্যুতের অপচয়। দিনের বেলা লাইটের সুইচ অন রাখা, অপ্রয়োজনে টিভি-ফ্যান চালু রাখা, ফ্রিজ ওভারলোড করা, ইত্যাদি।
বিদ্যুৎ খরচ কমানোর উপায়
অনেকসময় সংযোগ ত্রুটির কারণে খরচ বাড়তে পারে, সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসে বিষয়টি অবগত করা জরুরি।
নিয়মিত ফ্রিজের কনডেন্সার পরিষ্কার করা, দরজা ঠিক করে লাগানো, গরম খাবার ফ্রিজে না রাখা, অপ্রয়োজনীয় থালাবাসন ফ্রিজ থেকে সরিয়ে ফেলা, ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে বোতলে পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে রাখা, ফ্রিজের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম না রাখাসহ ইত্যাদি উপায়ে বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনা যায়।
গরমে এসির ব্যবহার কমাতে টাইমার সেট করে ঘুমোতে যাওয়া যায়। এতে কক্ষ শীতল হবার পরপরই এসি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খরচ কমে।
জানলার পর্দা ভারী রাখুন। এতে বাইরের তাপমাত্রা ঘরে কিছুটা কম প্রবেশ করে, ফলে এসি বা কুলার খুব কম সময়ে কক্ষে শীতলতা আনে।
কাজ ছাড়া সবধরনের সুইচ অফ রাখা বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বেশ সহায়ক হয়।
পানির কল ছেড়ে রাখলে মোটরের ব্যবহার বাড়ে, ফলে বিদ্যুৎ বিলও বৃদ্ধি পায়।
সাধারণ বা সস্তা দরের বাতির চাইতে এনার্জি বাতি কম ওয়াটের হওয়ায়, এর ব্যবহারে খরচ কমে।
বাসা তৈরিতে পশ্চিম দিকে কিচেন এবং দক্ষিণে শোবার কক্ষ দিলে, প্রাকৃতিক আলোর ব্যবহার বাড়ে, এতে বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনা সম্ভব।
অপচয় কমিয়ে ব্যবহারে মনোযোগী হতে পারলে যেকোনো কিছুই সাশ্রয়ী হয়।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81