সরকারের গৃহীত ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম একটি কর্মসূচী হলো টেকসই উন্নয়ন। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে অবকাঠামো ও নির্মান খাত।

গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের অধীনে গনপূর্ত অধিদপ্তর দীর্ঘ দুই যুগ যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল, বাসভবন নির্মান ও রক্ষনাবেক্ষনে নান্দনিকতার পরিচয় দিয়ে আসছে। যা নির্মান ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সফলতার মূর্ত প্রতীক।

গৃহায়ন ও গনপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার অত্যন্ত দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও সুনামের সাথে তার চৌকস ব্যবস্থাপনায় অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজিয়েছেন।তার অক্লান্ত পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা ও কঠোর নজরদারির কারনে গনপূর্ত অধিদপ্তর আজ সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মকান্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে।

২৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মোহাম্মদ শামীম আখতার গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই মোহাম্মদ শামীম আখতার গনপূর্ত অধিদপ্তরের সব বদনাম ঘোচানোর পাশাপাশি ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বিতর্কিত প্রকৌশলীদের মোখিক ও লিখিতভাবে সতর্কবার্তা প্রেরনের পাশাপাশি শাস্তিমূলক বদলী করেন। ঠিকাদারী সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে নিয়ম মেনে সব ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

দেশব্যাপী গনপূর্ত অধিদপ্তরে ১৩৮৩৪ জন স্থায়ী/অস্থায়ী, ক্যাডার ও ননক্যাডার কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। অতীতের সকল সময়ের তুলনায় অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড এখন অনেক গতিশীল। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় গনপূর্তের প্রকৌশলীগন এখন অনেক দক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানের অবকাঠামো নির্মানে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন।

বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন দৃষ্টিনন্দন, নান্দনিক ও মানসম্মত অবকাঠামো গড়ে উঠছে। সরকারের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গনপূর্ত অধিদপ্তর অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলেছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে করোনা মহামারী ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও গনপূর্ত অধিদপ্তর দেশব্যাপী সরকারি স্থাপনা, বাসভবন নির্মাণ এবং রক্ষনাবেক্ষনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।

সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে যেভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেই তুলনায় গনপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ ও অত্যন্ত গতিশীল ছিলো যা শুধুমাত্র দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারনেই সম্ভব হয়েছে। মুষ্টিমেয় যে সমালোচনা চাউর আছে তা ব্যক্তি পর্যায়ে পাওয়া না পাওয়ার হতাশার প্রতিফলন।

সীমিত সম্পদ ও বাজেটকে সামনে রেখেই সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আর এই কাজটিই করছে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে। 

গনপূর্ত অধিদপ্তর সরকারের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রকল্প বাস্তবায়নেও ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেশের নির্মানশিল্পের জন্য মাইলফলক।

দেশের সরকারি ভবন স্থাপন, রক্ষনাবেক্ষন, নির্মান সামগ্রীর গুনগত মানের স্থিতিশীলতা, কেপিআই স্থাপনা নির্মান, বিভিন্ন স্থাপনার নকশা ও ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল নকশা প্রস্তুতকরণ, বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ ও ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহের পুনঃ নির্মান, রক্ষনাবেক্ষন ও সংস্কার, পাবলিক উদ্যান সমূহের উন্নয়ন, রক্ষনাবেক্ষন, সিডিউল অব রেটস প্রনয়ন গনপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন।

গনপূর্ত অধিদপ্তরের অবদানের মধ্যে রয়েছে জাতীয় উন্নয়ন ও নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সকল ধরনের ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো নির্মান। 

দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেধাবী জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গনপূর্ত অধিদপ্তর দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। যা আগামীদিনের যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম।

যেখানেই প্রকল্প ও উন্নয়ন সেখানেই কোন না কোনও স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা হাসিল ও অনিয়মের গন্ধ খুজে বেড়ায়। গনপূর্ত অধিদপ্তরও এর বাইরে নয়। শত প্রতিকূলতা ও দুষ্টচক্রের লাগামহীন নেতিবাচক প্রচারনাকে পিছনে ঠেলে দিয়ে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে গনপূর্ত অধিদপ্তর যা সরকারের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ও সোনার বাংলা বিনির্মানে সহায়ক হবে।   

সরকারের নির্মাণ সংস্থার পাশাপাশি দেশের নির্মাণশিল্পের গতি, মান ও কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে থাকে গণপূর্ত অধিদপ্তর। গণপূর্ত অধিদপ্তর ২০০২ সাল থেকে ওয়েবসাইট পরিচালনা করে আসছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিটিজেন চার্টার ওয়েবসাইটে রাখা আছে। এটি স্টেকহোল্ডারদের উন্নততর সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করবে।