02/25/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2023-06-06 02:55:53
সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দৈনন্দিন অফিসিয়াল কাজে দায়িত্ব পালনের স্বার্থে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বক্ষনিক সহায়তার জন্য বেসরকারি আউটসোর্সিং কোম্পানির কাছ থেকে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। বিশেষ করে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে এই রীতি এখন অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে চলছে। বেসরকারি আউটসোর্সিং কোম্পানির কাছ থেকে জনবল নিয়োগের ফলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রকল্পের কাজে গতিসঞ্চার হয়েছে।
সাধারণত সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা নিজেদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ে ট্রেড ইউনিয়ন পরিচালনা করে থাকে। এর ফলে প্রায়শই সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষ রূপ নেয় আন্দোলন ও ধর্মঘটে। এতে বিঘ্নিত হয় সরকারি কার্যক্রম। আবার অনেক সময় বিভিন্ন দপ্তর ও প্রকল্পে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালনের জন্য জনবলের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা দিবারাত্রি কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করে থাকে। সরকার দৈনন্দিন কাজে গতিশীলতা আনয়নের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিলেও প্রভাবশালী মহল, মন্ত্রী, এমপি ও রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে কাজ নিয়ে থাকে। এরকম শত শত অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
বর্তমানে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের জন্য আহবানকৃত দরপত্রে এমনও অনেক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে থাকে যাদের জনবল সরবরাহ করার মত পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ও অবকাঠামো নেই। নেই কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তবুও রাজনৈতিক বিবেচনা ও প্রভাবশালী মহলের প্রভাবের কারনে প্রায়শই কর্তৃপক্ষ তাদের সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে বাধ্য হয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সবচেয়ে বেশি আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
সম্প্রতি কাজের সুবিধার্থে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২৪২ জন নিয়োগের একটি চাহিদাপত্র মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করে। সেই মোতাবেক বিগত ০৫/০১/২০২৩ ইং তারিখে জনবল নিয়োগের জন্য একটি দরপত্র আহবান করা হয়। সর্বমোট ২১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করে।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, উক্ত দরপত্রে সর্বোচ্চ ৯২.৫ নম্বর পেয়ে ১ম স্থানে রয়েছে মোস্তফা এন্ড কোং। ৯১ নম্বর পেয়ে ২য় স্থানে রয়েছে রেডিসন এবং ৯০ নম্বর পেয়ে ৩য় স্থানে আছে আরাব সিকিউরিটি সার্ভিসেস।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেকের পুত্র রাহাতের নাম ভাংগিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল উল্লেখিত দরপত্রে সর্বোচ্চ বিডারকে বাদ দিয়ে ২য় ও ৩য় স্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার পায়তারা করছে। অথচ এত ছোট একটি কাজে মন্ত্রীর পরিবারের কোনো সদস্যের হস্তক্ষেপ কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
যদিও একটি মহল দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রীর পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও সত্যিই যদি মন্ত্রীর পরিবারের কেউ উক্ত দরপত্রে হস্তক্ষেপ করে থাকে তবে তা অত্যন্ত দু:খজনক হবে।
সামনেই জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। এই সময়ে একটি মহল মন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে।
তথ্যসূত্র বলছে, প্রশাসন শাখার অন্ততঃ দুই জন কর্মকর্তা এ জাতীয় অপপ্রচার করে নিজেদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার পায়তারা করছে। এরফলে হয়তো কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হবে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর সুনাম। বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় কোনভাবেই এটিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81