02/25/2025
নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী | Published: 2023-06-16 06:02:53
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজবাড়ীর গরু খামারীরা। গরুর যত্ন নিতে রাত দিন পরিশ্রম করছেন তারা। বাহারী নাম রেখে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন অনেক খামারী। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ হবে কীনা তা নিয়ে চিন্তিত খামারীরা।
রাজবাড়ী জেলায় সাড়ে ৬ হাজার খামারে ৫৫ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে।
রাজবাড়ী জেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা 'দ্যা ফিন্যান্স টুডে'কে জানান, এ বছর কোরবানীর ঈদে রাজবাড়ী জেলায় ৫০ হাজার গবাদিপশুর চাহিদা থাকলেও কোরবানীর জন্য প্রায় ৫৫ হাজার গবাদিপশু প্রস্তত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৩০ হাজার, ছাগল বিশ হাজার এবং মহিষ ও ভেড়া মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার।
আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে প্রাকৃতিক উপায়ে বড় আকৃতির গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। এই বছর হলইস্টান ফিজিয়ান জাতের ৩৫ মন ওজনের রাজবাড়ীর রাজা সহ বড় আকৃতির ২০টি গরু প্রস্তুত করেছে রয়েল এগ্রো ফার্ম নামের একটি খামার। ২২ মণ থেকে ৩৫ মণ ওজন পর্যন্ত গরু রয়েছে এই খামারটিতে।
এই বছর রাজবাড়ীর রাজা নামে ৬ ফুট উচ্চতা ও সাড়ে তের ফুট লম্বা হলইস্টান ফিজিয়ান জাতের সাদা কালোর মিশেলের এই গরুটির ওজন ৩৫ মণ (১৪০০ কেজি)। এই গরুটির দাম চাওয়া হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। এরকম ২২ মণ থেকে শুরু করে ৩৫ মণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ২০টি বড় আকৃতির গরু মোটাতাজা করেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার রয়েল এগ্রো ফার্মটি।
তাদের এখানে প্রাকৃতিক উপায়ে লাগানো ঘাস, ছোলা, ভুষি, ডাল সহ বিভিন্ন খাবার খাইয়ে এই গরু গুলো মোটাতাজাকরন করা হয়েছে আসন্ন কুরবনীর ঈদকে সামনে রেখে। কোন ধরনের কেমিক্যাল বা বাজারের ফিড জাতীয় খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত ছিল খামার কর্তৃপক্ষ। ফার্মটিতে ২৩ মণ, ২৫ মণ ও ২৮ মণ পর্যন্ত ওজনের পাকিস্তানি সিন্ধি, শাহীওয়াল ও ফিজিয়ান জাতের সাদা, কালো, লালচে মিশ্র বর্ণের এ গরু গুলো মোটাতাজাকরন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বড় আকৃতির গরুর খবর শুনে অনেক ক্রেতা দূর দুরান্ত থেকে আসছেন গরু কিনতে ও দেখতে।
দাম দেখছেন, কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কিনবেন বলে জানান ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। গত কয়েক বছরের মত এবছরও অনলাইনে গরু বিক্রয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে ক্রেতারা অনলাইনের মাধ্যমেও গরু ক্রয় করতে পারছেন।
রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলাতেই এবছর ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরন হয়েছে। তবে বড় খামার গুলো বড় আকৃতির গরু লালন পালন করেছেন ঈদ উপলক্ষে।
জেলার কয়েকটি গরুর খামারে গিয়ে দেখা গেছে খামারীদের ব্যস্ততা। রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ি ইউনিয়নের খালেক ডেইরি ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, গরুর যত্ন নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা। প্রচন্ড গরমের কারনে বারবার পানি দিয়ে খামারের গরুগুলোকে গোসল করানো হচ্ছে। নিয়মিত খাবার দেয়া হচ্ছে এবং নিবিড় পরিচর্যা করা হচ্ছে।
খালেক ডেইরি ফার্মের মালিক আব্দুল খালেক মন্ডল জানান, তাদের ফার্মে ৪৫টির মত গরু আছে। প্রতিদিন ৬ হাজার টাকার খাবার দিতে হয় গরুগুলোকে। খড়, ঘাস, ভুষিসহ অন্যান্য খাবার খাইয়ে গরুগুলোকে তাজা রাখেন। সম্প্রতি গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। কমে গেছে দুধের দাম। যেকারণে কোরবানীর হাটে গরু বিক্রি করে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে সংশয় আছে। এই কারনেই ভারতীয় গরু আমদানি না করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান এই জেলার খামারিরা।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81