02/26/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2023-11-01 23:57:05
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস গতকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত শর্তহীন সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। রাজনৈতিক সংঘাত পরিহার করে সকল পক্ষকে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত একা নয়, এখন কূটনৈতিক পাড়ায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে একটি নতুন করে সংলাপের জন্য তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই আলাদা আলাদা ভাবে অনানুষ্ঠানিক আলাপ আলোচনা করছেন যেন দুটি রাজনৈতিক দল আলোচনার টেবিলে বসতে পারে। তবে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দুই দলই এখন তাদের নিজস্ব অবস্থানে অনড় রয়েছে।
বিএনপি বলেছে যে সংলাপের আগে তাদের কিছু শর্ত রয়েছে। সেই শর্ত পূরণ না হলে তারা সংলাপে যাবে না। বিশেষ করে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর যে মিথ্যা মামলা, হয়রানি সেই হয়রানি প্রত্যাহার করতে হবে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তাহলেই একটা সংলাপের পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসের কাছে বিএনপির নেতারা বলেছেন এখন যে অবস্থা বিএনপির নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেখানে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই। সংলাপের জন্য সরকারকেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এখন অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে এবং সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। বরং বিএনপি যেন নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশগ্রহণ করে সেরকম একটি বার্তা ইতিমধ্যে কূটনীতিকদের কাছে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা।
তারা বলেছেন, নির্বাচনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কাজেই সমঝোতা বা সংলাপ করতে গেলে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই করতে হবে।
বিএনপি মনে করছে যে সরকার এই ঘটনার ফলে সবচেয়ে বড় বেনেফিশিয়ারি। এখন সরকার বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে বিএনপিকে চাপে রেখে আগামী নির্বাচন সহজেই আওয়ামী লীগ করতে পারে।
তবে কূটনৈতিক মহল সেরকম একটি নির্বাচন চান না। বরং তারা মনে করেন যে এখনো সমঝোতার সময় আছে। তবে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের তাণ্ডব আত্মঘাতী তৎপরতার ফলে এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি চূড়ান্তভাবে বাক্স বন্দি হয়ে গেছে। এই দাবিতে
আর কোনো সংলাপ বা কোনো রাজনৈতিক সমাধান হবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এখন বিএনপিকে যেটি করতে হবে তা হলো তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নির্বাচনে যাওয়া এবং সেটি দলীয় সরকারের অধীনেই। সেই নির্বাচনে গিয়ে যদি বিএনপি সম্মানজনক আসন পায় তাহলে সেটি নিয়ে বিএনপিকে আবার নতুন করে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে কূটনৈতিকরাও বিএনপির তৎপরতায় হতাশ ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত। তারা হঠাৎ করে বিএনপি কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটালো তার উৎস সন্ধান করছেন এবং তার কোনো কার্যকরণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
বিভিন্ন কূটনৈতিকরা মনে করছেন যে বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ কেন পরিহার করল? সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। তবে তারা এখন বিএনপিকেই বেশি চাপ দিচ্ছেন বিএনপি যেন তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সংলাপের জন্য প্রস্তাব দেয় এবং সরকার যেন সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে। সেই জন্যই কূটনৈতিকরা তৎপরতা শুরু করেছেন। কূটনীতিকদের এই মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত সংলাপ হবে কিনা সেটি এখন দেখার বিষয়।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81