02/27/2025
নিজস্ব প্রতিবেদক | Published: 2023-12-29 18:35:09
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য না গড়ে নিজেদের ভাগ্য গড়েছে বিএনপি ও জামায়াত।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, হাহাকার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর শুধু যে একজন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করেছে তা নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিল, স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। শুধু তাই নয়, জয় বাংলা স্লোগান, ৭ মার্চের ভাষণ এমনকি জাতির পিতার ছবিও নিষিদ্ধ করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিস প্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা-সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে- এই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ সালে শুরু করেছিল। এরপর ১৩-১৪ একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আমি ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে।
তিনি বলেন, আজকে আমি বরিশালে উপস্থিত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, সেই লক্ষ্যে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলার। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে তা ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। তিনি অসহায়দের জন্য অকাতরে সব বিলিয়ে দেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিল।
‘এরপর অবৈধভাবে জিয়া, এরশাদ ক্ষমতায় আসে। তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ উন্নয়নে দেশের সোনালী সময় ছিল। দুর্ভাগ্য, চক্রান্ত করে ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। বরিশালে নেতাকর্মীদের যে নির্যাতন করা হয়েছিল তা অবর্ণনীয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ ছিল মানুষের সবচেয়ে বড় অন্ধকার যুগ। বরিশাল থেকে ২৫ হাজার লোক গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিএনপির দুঃশাসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ক্ষমতায় রেখেছে। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ একবেলা খেতে পারতো না। তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনামূল্যে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি। আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্প কলকারখানা চালিয়ে আসছি। ১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ১ কোটি ২ লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বরিশাল এক সময় ছিল শস্যভান্ডার। আবার আমরা সেই ভান্ডারের সুনাম ফেরাতে সাইলো নির্মাণ করছি। শস্যভান্ডার হিসেবে বরিশালের সুনাম ফিরিয়ে আনতে চাই। বরিশালে মেডিকেল খুলে দিয়েছি, এছাড়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বরিশালে পৌঁছে সার্কিট হাউসে যান। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রাম শেষে বিকেল ৩টা ৫মিনিটে জনসভায় যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও আছেন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু উদ্যানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশের কয়েকটি জেলায় জনসভা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বরিশালের এ সফর।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারত এবং এরপর আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81