02/27/2025
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: | Published: 2024-01-13 19:57:51
আ: করিম জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ১৯৯২৮৫১২৭৬৩০০০৯৮ টি,আই,এন নং-১৬১৫৬৪১৬০৫৩, রংপুর জেলার, গংগাচড়া থানার,ডাকঘর- সাউদপাড়া,মাটিয়ালাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ,পিতা আফসার আলী ও মাতা রওশন আরার সন্তান। অত্যন্ত দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে তার পিতা তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করিয়ে একজন প্রকৌশল হিসেবে পড়ে তোলেন। পারিবারিক ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে যে মেধাবী ও চৌকষ আ: করিম ছাত্র জীবন থেকেই তার জীবন যাপনে একটু আলাদা চরিত্রের অধিকারী ছিলো। চতুরতায় তিনি ছিলেন সিক্ত হস্ত। যার বাস্তব প্রমানের ছাপ লেগেছে কর্ম জীবনে। দরিদ্র পিতামাতার সন্তান আ: করিমের জীবন যাপনের ইতিহাসে অসৎভাবে অর্জিত অর্থ তাকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। “গোয়েন্দা ডায়রি” একজন মেধাবী প্রকৌশলীর সদ্য জেল হাজতে বাস এর সূত্র ধরে ব্যাপক অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধান কালে বেরিয়ে আসতে থাকে তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ যা রীতিমত পিলে চমকে উঠার মত ঘটনা।
নিজ এলাকার গরীব মানুষজনের নিকট থেকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় । গ্রামের সহজ-সরল লোকজন জানে না যে আউটসোর্সিং কি? তাহারা শুধু জানে সরকারি দফতরে ডিউটি। আর এ কাজে সহযোগিতা করে তারই আপন বড় ভাই হামদর্দ কর্মরত আ: রহিম সকল প্রকার প্রতারনায় সহযোগিতা করেছে । এরকম অসংখ্য লিখিত অভিযোগ ভুক্তভোগীরা রাজউকের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বরাবরে দাখিল করেছে। ৯০,০০০/= থেকে ১৭০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিজন আউটসোর্সিং চাকরি প্রার্থীর নিকট থেকে যা প্রতারণার সামিল। এরকম অসংখ্য প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার অসংখ্য প্রমান “গোয়েন্দা ডায়রির” হাতে আছে।
কর্মজীবনের শুরুতেই আ: করিম সরকার বিরোধী বিভিন্ন অপ-প্রচারে লিপ্ত হয় যার প্রমান মিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর এক অফিস আদেশে। অফিস আদেশ নং-২৫.৩৯.০০০০.০০৯.৩১.০০৭.১৮-২৩৯৮ তারিখ-১৪/০৮/২০১৮ ইং এ।
আ: করিম,সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল), ১১টি পরিত্যক্ত বাড়ীতে এপার্টমেন্ট নির্মান প্রকল্প, রাজউক তার ফেসবুক আইডি (MD.Abdul Karim) হতে ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩১ জুলাই-২০১৭, ১১ ও ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১৫ই মে ২০১৮, ৪ আগষ্ট-২০১৮ এবং আগষ্ট ২০১৮ তারিখে সরকার বিরোধী আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান এবং বিভিন্ন অপ প্রচার শেয়ার করা হয়। এতে রাজউকের ভাব মূর্তি মারাত্বক ভাবে ক্ষুন্ন হয়। তার এহেন আচার আচরন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরী বিধিমালা ২০১৩ এর ৩৭ (খ) বিধি মোতাবেক অসদাচরন ও ৩৭ (ছ) অনুযায়ী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কার্যে লিপ্ত হওয়ার সামিল।
বিগত ৮/৮/২০১৮ ইং তারিখে উক্ত প্রজ্ঞাপনে রাজউক চেয়ারম্যান মো: আ: রহমান স্বাক্ষরিক এক পত্রে রাজউক (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরী বিধিমালা ২০১৩ এবং ৪৩ (১) বিধি মোতাবেক আ: করিম সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) কে সাময়িক ভাবে বরখাস্তের আদেশ প্রদান করেন।
অপর এক স্মারক নং চিঠিতে নং-২৫,০৯,০০০০০৯,৩১,০০৭,২৮-২৩৯৯ তাং ৮/৮/২০১৮ পরিচালক প্রশাসন ডঃ মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন (যুগ্ম সচিব) রাজউক ডিআইজি সিটি এসবি মালিবাগ ঢাকা কে আব্দুল করিম এর ফেসবুক আইডি MD.Abdul Karim এর সঠিকতা যাচাই করুন ও তার বক্তিগত পরিচিতির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করে।
অপর এক আদেশে স্মারক নং রাজউক/প্রঃ শাঃ/ বিঃ মাঃ। ০৫/২০১৮/১১৬ নং তারিখ ১৫/১/২০২০ রাজউক চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদ নুর আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে সমস্ত স্বাক্ষ প্রমাণ ও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্যতা পায়, তারপরেও কারণ দর্শানোর জবাব পর্যালোচনা ও নবীন কর্মকর্তা হিসেবে তাকে একই বিধি মালায় বিধি ৩৮ (১) (ক) এর (অ) ও পরিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তর আদেশ প্রত্যাহার করত “তিরস্কার” লঘুদন্ড আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য যে সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ে বিধিমালার ৪৩ (৪) বিধি অনুযায়ী শুধু মাত্র খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হন।
চাকরির জীবনের শুরু থেকে ১৫/১/২০২০ ইং এর পূর্বে দুই বছর শুধু খোরাকি ভাতা পেয়েছে ২০২০ এরপর তিনি একজন সহকারে প্রকৌশলী (সিভিল) এ কর্মরত। বর্তমানে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অধীনে রাজউক এর নিজ বেতনে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। একজন জুনিয়র কর্মকর্তা বর্তমানে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের গাড়িতে চড়েন।যার রেজিষ্টেশন নং ঢাকা মেট্রো ঘ-১২৩৪০৯ রাজধানী আফতাব নগরে রয়েছে তার প্লট ও ফ্লাট রাজউক, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি: সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কিছু অসৎ প্রকৌশলীদের সাথে মিলে কোটি কোটি টাকার প্লট ও ফ্ল্যাটের ব্যবসা রয়েছে তাদের।
তাদের ইতিহাস এখানেই শেষ নয়, রাজধানীর বিজয়নগর এর হোটেল ৭১ ও ফার্রস হোটেলে রয়েছে প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের নির্দিষ্ট রুম। যেখানে বসে উক্ত সিন্ডিকেট ফেনসিডিল, গাঁজা, মাদক, জুয়াসহ নানাবিধ অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এমন একাধিক তথ্য প্রমাণ গণমাধ্যমের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। আ: করিমের নিজ এলাকায় রংপুরে প্রচুর সম্পদ ক্রয় করেছে। নারায়ণগঞ্জের মিজিমিজি এলাকায় শ্বশুরের সাথে সম্পদ ক্রয় করেছে যেখানে ৮ তলা ভবন নির্মাণ করেছে।
এবার সর্বশেষ চমকপত্র ঘটনা হলো সদ্য ২৮/১২/২০২৩ ইং তারিখে সি, আর, মামলা নং- ২৯০৬/ ২০২৩ দন্ডবিধি ধারা ৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড এর ৬০ লাখ টাকা আত্নসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সি, আর ,আমলী আদালত গুলশান থানা, ঢাকা। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের গুরুত্বর, এমতাবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় আদালত আসামীর জামিন না-মঞ্জুর করে। আসামিকে c/w মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য যে তার বিরুদ্ধে মামলার বাদি দিবাকর চন্দ্র রায় (৪৩) পিতা নেপাল চন্দ্র রায় ঠিকানা, সত্বাধিকারী এলিট কন্ট্রাকশন, রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স কাম কার পার্কিং গুলশান, ঢাকা সি,আর,মামলা নং-২৯০৬/২৩ গুলশান,ধারা ৪০৬/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্তের জন্য ডিসি ডিবি গুলশান বরাবরে প্রেরণ করে। ডিসি ডিবি গুলশান কার্যালয়ের স্মারক নং (গো:গুল:বি:) (সি আর ২০২৩) ৪০৪ তারিখ ২৪/০৮/২০২৩ খ্রী: মুলে মামলাটির তদন্তভার কাজী শরিফুল ইসলাম বিপি-৬৯৮৮০১০২২০, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্র),ক্যন্টমেন্ট জোনাল টিম,গুলশান গোয়েন্দা বিভাগ কে প্রদান করে।
তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা কাজী শরীফুল ইসলাম বিপি-৬৯৮৮০১০২২০, চেয়ারম্যান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রতিবেদন প্রদান করে। উক্ত প্রতিবেদনে দেখা য়ায় বিবাদী মো: করিম (৩৪), পিতা-আফসার আলী, সাং -বনানী নিবাস, ফ্লাট নং-২০২, রোড নং-১৭, থানা-বনানী, ঢাকা সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদীর নিকট হইতে ২১/০৩/২০২১ তারিখের ব্যাংকের মাধ্যমে ৫,০০,০০০/ (পাঁচ লাখ) টাকা,২১/০৪/২০২১ইং তারিখে ব্যাংকের মাধ্যমে ৫,০০,০০০/ (পাঁচ লাখ) টাকা, ২৫/০৫/২০২১ ইং তারিখে নগদে ২০,০০,০০০/= (বিশ লাখ) টাকা ও ২৭/৭/২০২২০ইং তারিখে নগদে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লাখ) টাকা সর্বমোট-৬০,০০,০০০/= টাকা বিভিন্ন অজুহাতে ধার হিসেবে গ্রহন করে।
উক্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষ্য প্রমাণ আদালত আ: করিমের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং বিগত ১/১/২০২৪ ইং তারিখের সি,এম,এম আলাদতের মহোদয়ের স্বাক্ষরিত বিশেষ আবেদনের প্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় আপষের শর্তে ১,০০০ (এক হাজার) টাকা বন্ডে বিজ্ঞ কৌশলী এবং একজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় আসামীর জামিন আগাম ধার্য্য তারিখ ৩০/০১/২০২৪ ইং পর্যন্ত মো: সাদ্দাম হোসেন মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গেজেট অতিরিক্ত নভেম্বর ১৪, ২০১৮, ৩৯ নং এ (২) উপধারা কোন কর্মচারী দেনার দায়ে কারাগারে আটক থাকিলে অথবা কোন ফৌজদারী মামলায় গ্রেফতার হইলে বা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র গৃহিত হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উপরক্ত আটক গ্রেফতার বা অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন হইতে তাহাকে সামরিক বরখাস্ত করিতে পারিবে।
কিন্তু আ: করিম, বর্তমানে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) বহাল তবিয়তে আছে।
মোঃ আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন এর অভিযোগ ছাড়াও গ্রামের সহজ সরল মানুষের নিকট থেকে রাজউকে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। উক্ত অভিযোগের লিখিত কপি রাজউক কর্তৃপক্ষের নিকট জমা পড়েছে। যার কপি গণমাধ্যমের ও হাতে আছে। অথচ যাদের নিকট থেকে চাকুরী দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এদের অধিকাংশই দিনমজুর ও হতদরিদ্র। সবাইকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এটা এক ধরনের প্রতারণা। আ: করিমের ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট নং ১০-১৫১-৫৬১৬১। উক্ত একাউন্ট ছাড়াও তার আরো নামে বেনামে অসংখ্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে।
আ: করিমের বিষয়ে গোয়েন্দা ডায়রির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে যা পরবর্তীতে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তার নিকট বন্ধু-বান্ধবের সাথে কোটি কোটি টাকা ব্যবসায়ের তথ্য আছে। তার বন্ধু পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহেল এর ঠিকাদারী লাইসেন্স এর ব্যাংক একাউন্টে জমি বিক্রয়ের তিন কোটি টাকা জমা করা হয়েছে।এছাড়াও ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তাদের সাড়ে ৭ কাঠার উপর আফতাব নগরে বহুতল ভবন এর কাজ নির্মানাধীন রয়েছে।
তথ্য সূত্র: অনুসন্ধানী জাতীয় সাপ্তাহিক “গোয়েন্দা ডায়রি”
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81