02/26/2025
তালহা জুবাইর মাসরুর | Published: 2024-03-30 03:40:16
তরমুজ বয়কট, দাম বেশি, কাটলে ভিতরে লাল হয় না- এই নিয়ে জল ঘোলা কম হলো না। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হলো তরমুজ চাষী ও কৃষকরা।
মাটিতে যে তরমুজ হয় জাতভেদে সেগুলো পরিপক্ক হতে কমপক্ষে ৯০ দিন বা তিন মাস সময় লাগে। শীতের পরপরই তরমুজ লাগানো হয়- অর্থাৎ এইবার গরম আগেভাগে আসায় জানুয়ারির শুরু থেকেই তরমুজের চারা/বীজ লাগিয়েছে অনেক কৃষক। সেক্ষেত্রে মার্চের শুরুতে বা মাঝামাঝি সময়ে তরমুজ ভালোভাবে পাকার কোনো সুযোগই নেই।
মার্চের শুরুতেই রোজা যেহেতু চলে এসেছে আবার আড়তদারেরা যেহেতু মাঠ ধরে একবারে তরমুজ কেনে কৃষকের কাছ থেকে। সেজন্য রোজায় বিক্রি ভালো হবে বলে অপরিপক্ক তরমুজই ক্ষেত থেকে নিয়ে বিক্রি শুরু করেছে এইবার। ফলে, যা হবার তাই হলো। তরমুজের মতো পুষ্টিকর এই ফলের দাম পড়ে গেলো। এই যে এখন তরমুজ পাকার বয়সে চলে এসেছে, তবুও দাম নেই, ফেসবুক প্রচারণায় তরমুজের ক্রেতাও কম।
তবে এখন তরমুজ কিনুন নিশ্চিন্তে। কাটলে লাল ও মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক। এপ্রিলেও চোখ বন্ধ করে তরমুজ কিনতে পারবেন। একটু দেখে-শুনে গোলগাল দেখে কিনলে ভালো হবে। মাঝারি সাইজের তরমুজের স্বাদ ভালো হয়। পারলে বিক্রেতাকে তার পছন্দমত বেছে কেটে দিতে বলবেন। দেখবেন সে ভালোটা বেছে দেবে।
‘তরমুজ বয়কট, তরমুজ কিনবো না’ ইত্যাদি স্লোগানে গরিব কৃষককে বিপদে ফেলার কোনো মানে হয় না। যদি দেশকে ভালোবাসেন তবে দেশের গরিব কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য পারলে একটু বেশি দাম দিয়ে কিনবেন। এটাও এক ধরনের ঋণ শোধ, এক ধরনের দান।
তরমুজ কেনো খাবেন?
এবার আসা যাক তরমুজের পুষ্টিগুণে। তরমুজ কেনো খাবেন? যদি জানতেন তরমুজের পুষ্টিগুণ তাহলে তরমুজের এই ভরা মৌসুমে প্রতিদিন তরমুজ খেতেন। তরমুজের কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো-
তরমুজে থাকা লাইকোপেন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, সেই সাথে থাকে আঁশ। তাই তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে।
তরমুজে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যা হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা কোলিন মাংসপেশির মুভমেন্ট, দেহকোষের মেমব্রেন গঠন, মস্তিষ্ক গঠন ও নার্ভের কার্যকারিতা বাড়াতে বেশ সহায়ক।
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। তাই এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে এটি তীব্র গরমেও আপনার শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবে না। ত্বক ভালো রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন সি।
তরমুজে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মাসলের সুস্থতা বজায় রাখে। তরমুজ ভিটামিন সি ও বি৬ সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
খুব সামান্য ক্যালোরি আছে তরমুজে। এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়। ফলে ডায়েট যারা করেন তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এটি।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে তরমুজে থাকা ভিটামিন এ। আর মনে রাখবেন তরমুজ হলো আবেদনময়ী একটি ফল।
লেখক: প্রজেক্ট ডিরেক্টর, টিস্যুকালচার ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81