02/26/2025
ঐতিহ্যের ঢাকা ডেস্ক: | Published: 2024-04-03 12:37:36
সেহরি খাওয়ার জন্য প্রতি রাতে রোজাদারদের ঘুম ভাঙানো গান গাওয়া পুরান ঢাকাবাসীর ঐতিহ্য কাসিদা নামে পরিচিত এই সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে । রমজান মাসে শেষ রাতে পুরান ঢাকায় গলির ধারে বয়স্করা অপেক্ষা করতেন। তাঁদের হাতে থাকত খুরমা কিংবা অন্য কোনো মিষ্টান্ন। জানালার ফাঁক গলে উঁকি দিতেন নারীরা। দূর থেকে ভেসে আসত সমবেত কণ্ঠ, ‘বাহারে সাওম গুজরি যা রাহি হ্যায়, দিলে সায়েমপে বাদলি ছা রাহি হ্যায়’ (কাসিদা)। পুরান ঢাকার ষাটোর্ধ্ব বয়সী সবারই এই দৃশ্য চেনা। তবে এখন রমজানের রাতে পুরান ঢাকার গলিতে এমন দৃশ্য তেমন একটা দেখা যায় না। কাসিদার সুরে ঢাকাবাসীকে সেহরি জাগিয়ে তোলার রীতি হারিয়ে গেছে বললেই চলে। যেটুকু আছে, তা না থাকার মতোই।
পুরান ঢাকার একসময়কার পঞ্চায়েতপ্রধান মাওলা বখশ সরদারের বড় ছেলে আজিম বখশ স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো ও রকম কাসিদা হয় না। আগে প্রতি পাড়ায় কাসিদার দল থাকত। পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের মানুষ আমি। এলাকার ফরিদাবাদে দিগন্ত মজলিস নামে একটা সংগঠন ছিল। ওরা প্রতিবছর কাসিদার আয়োজন করত। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি, হ্যাজাক বাতি মাথায় নিয়ে এরা ঘুরত। হারমোনিয়াম সব দলের কাছে থাকত না। সাধারণত ২০-২৫ জনের দল হতো। দলের লোকেরা মাসের শেষে বাড়ি বাড়ি যেত। ওদের বকশিশ দেওয়া হতো।’কাসিদার প্রতিযোগিতাও হতো।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেক অবশ্য কিছু আশার কথা শোনান। তিনি জানান, এখনো কিছু দল আছে, যারা কাসিদা নিয়ে কাজ করে। দু-একটি এলাকায় এখনো রমজানে কাসিদা শোনা যায়। ঢাকাবাসী সংগঠন পুরান ঢাকার ইতিহাস ঐতিহ্যে সংস্কৃতি ধরে রখার জন্য দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছে যেনো আগামী প্রজন্ম পুরান ঢাকার ইতিহাস সংস্কুতি বিষয় জানতে পারে।
সম্পাদনায়: সালাহউদ্দিন মিঠু
তথ্য সহযোগিতায়:- ওল্ড ঢাকা জার্নালিস্টস ফোরাম
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81