02/26/2025
বিশেষ প্রতিবেদক: | Published: 2024-04-15 19:38:48
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের উপ-সচিব শারমিন ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত স্মারক নং- ৫৯.০০.০০০.১১০.০৫৩.২৩-১৭৬ তারিখ:- ১/০৪/২০২৪ ইং বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডার ভুক্ত কর্মকর্তাগন কে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮১ অনুযায়ী উপ-পরিচালক (সাধারন) পদ হতে পরিচালক (সাধারন) পদে পদোন্নতি পূর্বক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ৯ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন বিভাগে বদলি করা হয়। তথ্যসূত্র মতে পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর মোঃ মতিউর রহমান যোগদানের ফলে অধিদপ্তরে বর্তমানে উপকরণ ঘাটতির যে সংকট রয়েছে তা দ্রুত সমাপ্তি হবে এ প্রত্যাশা অধিদপ্তর জুড়ে।
দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন জেলায় উপকরণ ঘাটতির কারনে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম স্থবির হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে খাবার বড়ি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর যে মজুত রয়েছে অনতিবিলম্বে যদি তা পূরন করা না হয় তাহলে দেশের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম সেবা মারাত্বক ভাবে বিঘ্নিত হবে। ইতোমধ্যে বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালকের বিতর্কিত ভূমিকার কারনে ৩য় প্রজন্মের খাবার বড়ি সংগ্রহে জটিলতা দেখা দেওয়ার পর তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তর পর্যন্ত উক্ত টেন্ডার বিতর্ক নিয়ে শুনানী হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দ্য ফিন্যান্স টুডে কে নিশ্চিত করেছে।
ইতোপূর্বে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বিশেষ ও পরিচালকের মনোনীত কোম্পানী টেন্ডারে রেসপনসিভ না হওয়ার কারনে তিনি পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়।যা নিয়ে দেশ ব্যাপি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সর্বনিম্ন দরদাতা রেসপন্সিভ প্রতিষ্ঠান টেকনো ড্রাগস লিমিটেড মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে আদালতের বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সরোয়ারের বেঞ্চ, কেন সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করা হবে না তা জানতে চেয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (লজিষ্টিক এন্ড সাপ্লাই) এবং মহাপরিচালক বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি কে শোকজ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে দীর্ঘদিন যাবত উপকরণ ও সরবরাহ ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক জাকিয়া আখ্তার ঘুরে ফিরে ডিডি ফরেন প্রকিউরমেন্ট ও ডিডি লোকাল প্রকিউরমেন্ট এর দায়িত্ব পালনের কারনে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে আসছে। স্থানীয় ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের সাথে তার অত্যন্ত সখ্যতা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। অধিদপ্তর জুড়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলছে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকের কারনেই আজ পরিবার কল্যাণ সামগ্রীর সংকটের মূল কারন।
বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক জাকিয়া আখ্তার কে অন্যত্র বদলি করলে ঠিকাদার ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে। তা না হলে নতুন পরিচালকের পক্ষে এ সিন্ডিকেট ভাঙ্গাঁ কোন ভাবেই সম্ভবপর হবে না।
অনেকেই বলেছে কি এমন মধু আছে লজিষ্টিক শাখায় যে ঘুরে ফিরে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত উক্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে দায়িত্বে রয়েছে। অধিদপ্তরের স্বার্থে ব্যক্তি বিশেষ যেন গুরুত্বপূর্ণ না হয় এ প্রত্যাশা সকলের।
অপরদিকে অধিদপ্তর জুড়ে বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা জগদ্দল পাথরের মত বিভিন্ন বিভাগে ঘাপটি মেরে ৩০/৩২ বছর যাবৎ বসে আছে। সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্যদের অন্যতম একজন এম শাজাহান আলী। পরিচালক পরিকল্পনার ব্যক্তিগত সহকারী। তিনি ৩১ বছর যাবৎ অধিদপ্তরে চাকুরী করছেন। ইতিপূর্বে লজিস্টিক ইউনিটে পরিচালক লজিস্টিকস এর পিএ থাকার সময় ঠিকাদারদের নিকট হতে অবৈধভাবে অর্থ নেয়ার অভিযোগে তাকে পরিকল্পনা ইউনিটে বদলী করা হয়। এখানে তার রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। পরিকল্পনা শাখা হতে এনজিওদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে তিনি মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে পরিচালকের কাছে সুপারিশ করেন। তিনি পরিচালকদের পক্ষে মাঠ হতে সকল ওয়ার্কশপ/প্রশিক্ষনের জন্য পাঠানো বরাদ্দ হতে অডিটের কথা বলে টাকা সংগ্রহ করেন। যার ফলশ্রুতিতে পরিচালক গণ (৩ জন) তাকে র্যাপোর্টিয়ারে দায়িত্ব দিয়ে ট্রেনিং এ পাঠান। তিনি বিগত ২১-২২, ২২-২৩, ২৩-২৪ অর্থবছরে যত ওয়ার্কশপ/প্রশিক্ষণ হয়েছে প্রতিটিতে র্যাপোর্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু কোন প্রশিক্ষণের প্রতিবেদন জমা দেননি। কারণ তিনি মূলত ১৬ গ্রেডের সাঁটমুদ্রাক্ষরিক। আর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পালন করবেন। তাই রিসোর্স পারসনের ভাতা ২১০০ টাকা হলেও একজন র্যাপোর্টিয়ারের ভাতা ৪০০০ টাকা। যা তিনি কোনভাবেই এনটাইটেলড না। এই কারনে দুজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা রাগ করে ওয়ার্কশপ যাওয়া ছেড়ে দেন। তারা বলেন উনাকে রিসোর্স পারসন বানিয়ে আমাদের র্যাপোর্টিয়ার বানান। কিন্তু পরিচালকগণ তার কাজে সন্তুষ্টু থাকায় তার নামে এই অর্ডার করা জারি থাকে। একাধিক অর্ডারের কপি ফিন্যান্স টুডের হাতে রয়েছে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81