02/25/2025
শাফিন আহমেদ | Published: 2024-05-15 12:07:27
ইসরায়েলের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপে প্রধানমন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদকৃত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে তারা লড়াই করছে। আমি আশা করি, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, জনসংখ্যার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে। যার মাধ্যমে আমরা একটি সমৃদ্ধশালী বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো। এ লক্ষ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, অতি সম্প্রতি আমরা জনসংখ্যানীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন নীতিতে ২০৪১ থেকে ২০৬১ পর্যন্ত যে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ অব্যাহত থাকবে তা কাজে লাগিয়ে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে কর্মদক্ষতা সৃষ্টি ও উন্নয়ন এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
তিনি আশা করেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠিতব্য ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’ এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে। জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’ এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন।
সরকারপ্রধান বলেন, শুরু থেকেই বাংলাদেশ ‘আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন’ বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয়ী। আমরা চাই সব দেশ বিশেষ করে উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো যাতে আইসিপিডি’র লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন করতে পারে, সেজন্য ইউএনএফপিএ (জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল)-সহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহী হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বিশ্বের সব মানুষের বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
তার সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছি। আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন’ বাস্তবায়ন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে আমরা আমাদের জনগোষ্ঠীকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে জাপান ও বুলগেরিয়া সরকার এ সংলাপের আয়োজন করছে। এতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল। ৪৮টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়েছেন। তারা জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন অর্জনে আগ্রহী।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81