02/25/2025
বিশেষ প্রতিবেদক: | Published: 2024-05-16 12:52:17
এমএলএম প্রতারনায় নতুন নামে আর্বিভূত হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। আবাসন ব্যাবসার আড়ালে প্রতারনার নতুন কৌশলে সাউথ ইষ্ট ল্যান্ডমার্ক লিমিটেড । শ্যামলী রিং রোড আদাবর থানার বিপরীতে এ এপেক্স শোরুমের ৪র্থ তলায় তাদের অফিস। ফেসবুক প্রচারনা ও ওয়েবসাইডে গেলে দেখা যায় তাহারা এলিট সোসাইটি নামে প্রকল্প করে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ৩ বছরে ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফেরৎ দেয়া হবে এই মর্মে প্রচারনা চালাচ্ছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যার নাম প্রচার করা হচ্ছে তিনি হলেন সাভার আশুলিয়ার বনগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের নাম। জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দ্য ফিনান্স টুডে সাথে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল নাম্বার চাওয়া হলে জানানো হয় অনেক গুলো ধাপ হয়ে এমডি সাথে কথা বলা যাবে। সরাসরি তিনি কথা বলেন না, জিএম আরও বলেন বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলার এত সময় তার কোথায়?
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ কোটি পর্যন্ত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে। বিনিয়োগের ব্যাপারে অন-লাইন সেমিনার যুক্ত হতে হবে । একটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারী নিবে কিন্তু তাহারা কেন রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইন সেমিনারে অংশগ্রহণ করবে? এর থেকেই স্পষ্ট প্রতারণার বিষয়টি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সাভার হেমায়েতপুরে আলম নগরের পেছনে ও মিরপুর চিড়িয়াখানার বিপরীতে নদীর অপর প্রান্তে যে জমির কথা বলা হচ্ছে তা বাস্তবে তেমন কোন ভিত্তি নেই নাম কাওয়াস্তে কিছু জমি নিয়ে প্রকল্প শুরু করছে। কিন্তু হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি শত কোটি টাকা। মানি সিকিউরিটি হিসেবে ১ কাঠা জমি রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়াটাই একটা ধোঁকাবাজি। এমএলএম প্রতারণার নতুন কৌশল শত শত কোটি টাকা হাতে নেওয়ার ফন্দি। ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে তিন বছর পর ৩ বছর পর ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সকল প্রতারণাকে হার মানাচ্ছে।
জাতীয় গৃহায়ন ও কর্তৃপক্ষের সদস্য বিজয় কুমার মন্ডল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ জাতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের আবেদন ও তাদের কাছে নাই বা অনুমোদন ও দেয় নাই।এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তাহারা পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
এদের প্রকল্পের নাম এলিট সোসাইটি। এর অর্থ এবার এলিট শ্রেণীর নিকট থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি এ জাতীয় প্রতারণা হর হামেশা হচ্ছে ।
ইতোপূর্বে “দ্য ফিন্যান্স টুডে” ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লিমিটেড এর উপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। বাহিরে রিয়েল ষ্টেট ভেতরে এমএলএম। প্রতারণা করে হাতিয়েছে হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে দেখা গেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ প্রতারণার দায়ী প্রতিষ্ঠানটির এমডি গ্রেফতার হয়েছে। হাজার হাজার গ্রাহক প্রতারিত হয়েছে।বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ আছে। এ জাতীয় প্রতারনা থেমে নেই।
তেমনি ১টি প্রতারণা প্রতিষ্ঠান সাউথইষ্ট ল্যান্ড লিমিটেড।“দ্য ফিন্যান্স টুডে” প্রতিনিধি প্রথমে বিনিয়োগকারী হিসেবে কথা বললে স্যার স্যার সম্ভোধন করে। পরবর্তীতে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরিচয় দিলে জিএম অশোভন আচরণ করেন এবং ঐদ্ধত্বভাবে বলেন “গণমাধ্যম আমাদের কাছে কিছু না”। আপনি কে আমাদের সম্পর্কে জানার? আপনি কি আদালত?
“দ্য ফিন্যান্স টুডে” অনুসন্ধানীটিম গ্রাহক সেজে জিএম এর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগাযোগ করে তিনি তাদের ২টি প্রকল্পের কথা বলেন ১টি প্রিন্সিপাল সাউথসিটি ও এলিট সোসাইটির কথা বলেন। এক্ষেত্রে এজেন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী নেয়ার কথা বলেন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ জাতীয় এমএলএম প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে দেশের সাধারণ জনগণ প্রতারণা থেকে রেহাই পাবে না।
জাহিদুল ইসলাম তাদের ভুঁয়া প্রকল্প এদের সোসাইটির জন্য এজেন্ট খুঁজছে। এদের প্রশিক্ষিত কর্মীরা গ্রাহকদের প্রলোভন দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আবার নতুন নামে প্রতারণা শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে সিআইডি একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি আমাদের নজরে নাই। যেহেতু বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81