02/25/2025
নেহাল আহমেদ | Published: 2024-07-10 17:51:20
এখন কুচাঁ মাছের প্রজননের সময়। অবৈধ জালে আটকা পড়ে কুচোঁর প্রজনন কমে যাচ্ছে বলে কুচোঁ সংগ্রহকারীরা জানান।
রাজবাড়ী থেকে কুঁচে মাছ রপ্তানি হচ্ছে। আর এই মাছ থেকে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা।
রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দীর্ঘ বছর ধরে ক্ষুদ্র পরিসরে রপ্তানি হচ্ছে এই মাছ। পরিমল সহ জেলার কয়েকজন নিয়মিত ভাবে ঢাকায় পাঠাচ্ছে। সেখার থেকে মিলে এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছেন।
বাংলাদেশের মানুষ কুঁচিয়া চিনলেও মাছ হিসাবে খেতে বেশিরভাগই পছন্দ করেন না। কিন্তু বিদেশে এটির অনেক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এর জনপ্রিয়তা আছে।
কুঁচে আহরণ ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি , বাগাদী পাড়া, পাংশা, গোয়ালন্দ, পাচুঁরিয়া , সহ বিভিন্ন এলাকায় কুঁচে সংগ্রহ হয় বেশি। সাধারণত জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতেই কুঁচে বেশি পাওয়া যায় বলে কুঁচে শিকারীরা পরিতোষ জানান।
অঞ্চল ভেদে কুঁচিয়া, কুঁচে, বাইন নামেই পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম মনোপটেরাস। কুঁচে ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। অ-গভীর খাল-বিল, হাওড়-বাঁওড়, পুকুর ও মাটির নিচে আবাস এদের।
কুঁচে রাক্ষুসে স্বভাবের। খাদ্য হিসেবে প্রধানত ছোট মাছ তাদের প্রধান খাবার হলেও শামুকও অন্যতম খাবার। কুঁইচা, কুইচ্চা, কুঁচে, কুঁচো ইত্যাদি নামে বিভিন্ন এলাকায় মাছটি পরিচিত। অনেকটা বাইন মাছের মত এই মাছটি সাধারণত পুকুর, হাওর, বাঁওড়, খাল বা ধানক্ষেতের তলদেশে বাস করে। অনেক সময় মাটিতে গর্ত করেও কুঁচিয়া বসবাস করে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অপছন্দ করলেও কৃষি তথ্য সার্ভিসে বলা হয়েছে, এটি শারীরিক দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, বাতজ্বর, পাইলসসহ অনেক রোগ সারাতে মহৌষধের মতো কাজ করে।
পরিমল সুজন জানান, তার ভাই এই ব্যবসা করেন। তারা পরিচিত একজনের মাধ্যমে কুঁচে মাছ রপ্তানির বাজারের সন্ধান পান। তিনি জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে বাগদীদের কাছ থেকে পাইকারদের মাধ্যমে কুচাঁ সংগ্রহ করেন। প্রতি কেজি কুঁচোে দাম ৩০০টাকা থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা।
এরপর তার ছোট্ট পরিসরের কারখানায় সংরক্ষণ করা হয়। পরে ঢাকা পাঠানো হয়। এই পণ্যের ক্রেতা প্রধানত চীন। তাছাড়াও কোরিয়া ও ভিয়েতনামে রপ্তানি করা হয়। সেখানে প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ১১ থেকে ১২ ডলার বিক্রি হয় সম্ভবত।
কুঁচে মাছ বুনো ও বাগদী সম্প্রদায়ের লোকেরা খাল, বিল ও পুকুর থেকে সংগ্রহ করলেও এখন অনেকেই এই কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। তাদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা দরে কেনা হয়। এরপর পানিভর্তি হাউজে মজুত করে রাখা হয়।
কুঁচে মাছ বিমানযোগে চীন, জাপান, কোরিয়া ও ভিয়েতনামে রপ্তানি করা হয়। সেসব দেশে প্রতি কেজি ভাল দামে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
তিনি জানান, এ অঞ্চল থেকে আরো বেশি পরিমাণ ও কুঁচে মাছ রপ্তানির সুযোগ আছে। অনেক দেশেই কুঁচে মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81