02/24/2025
মো. মাহবুবুর রহমান | Published: 2024-10-08 11:07:05
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আঞ্চলিক সার্কেল সিদ্ধিরগঞ্জ বিভাগের ড্রাইভার মো. জাহিদুল ইসলাম আরজু বর্তমানে অর্ধশত কোটি টাকার মালিক। তার এই আয়ের উৎস কি তা নিয়ে সর্ব মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কিভাবে এত টাকার মালিক হয়েছেন তা কেউ বলতে পারেনা। অফিস থেকে বের হওয়ার পর আরজু নিজেই সেজে যান ভ্যাট কমিশনার।
ড্রাইভার মো. জাহিদুল ইসলাম আরজুর সম্পদের বিবরণে জানা যায়, মোহম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিং এর শিয়া মসজিদের বিপরিতে কাচাঁ বাজারে তার চারটি দোকান আছে। যার দোকান নাম্বার হলো ১৬,১৭,১৮ ও ১৯। তিনি দোকান গুলো সিটি করপোরেশন থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক। দোকান গুলো পরিচালিত করছেন তার আপন ভাই টোকন। দোকানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং পাখির খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করা হয়। আর.কে রেন্ট-এ-কার নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো আছে। রেন্ট-এ-কার এর গাড়ি গুলো কাস্টমস ও ভ্যাট অফিস গুলোতে মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া দেয়া হয়েছে। মোহম্মদপুরের মোহম্মদিয়া হাউজিং এর রোড নম্বর-২ এর ৪৭ নম্বর “মেঘ বাড়ি” নামেমোহাম্মদিয়া আর্কেড নামক বিল্ডিং এর ৬তলায় ডবল ইউনিটে ৩০ হাজার টাকা বাসা ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন। তিনি এই এলাকায় লাট ভাই নামে পরিচিত। তাকে কেউ ড্রাইভার হিসেবে চেনে না। বসিলা গার্ডেন সিটি ও আরাম টাউন হাউজিং সিটি প্রজেক্টে ৬ কাঠার উপর বিলাস বহুল দশতলা এপার্টমেন্ট রয়েছে তার। আরজুর তিন ছেলে ও এক মেয়ে সবাই ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করে। বড় ছেলে ইউল্যাবে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তিনি এলাকার মানুষের কাছে সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। চলার জন্য চারটি মোটর সাইকেল আছে। যার নাম্বার- আর-১-৫। একেক টি গাড়ির বাজার মূল্য ৬ লাখ টাকা করে। এক্স নোহা আছে দশ মডেলের ৫ টি। ৬ মডেলের নোহা আছে দুইটি। আরজুর বিস্তারিত সকল বিষয় নিয়ে আগামী পর্বে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করা হবে।
আরজুর আয়ের উৎস ঃ ১২ বছর নরসিংদী জোনে কর্মরত থাকা অবস্থায় (শিল্পাঞ্চল খ্যাত) তিনি মূলত: তার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে জানা যায়। প্রতিটি ফ্যাক্টরী থেকে তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের নিয়মিত মাসোহারা আদায় করতেন। নরসিংদীতে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ছিলেন মূর্তমান আতংক। সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেলেও সে সমানতালে তার অবৈধ কর্মকান্ড অব্যহত রেখেছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ড্রাইভার হওয়ার কারণেই তিনি মাসোহারা আদায় করছেন। বিচক্ষণ এই ড্রাইভার গণমাধ্যমকে থোরাই কেয়ার করেন। তার এমন আচরণে ব্যবসায়ীদের কাছে ভ্যাট কমিশনারকেও হার মানিয়েছেন। আগামী পর্বে ড্রইভার মো. জাহিদুল ইসলাম আরজুর অবৈধ সম্পদের গল্প উঠে আসবে গোয়েন্দা ডায়রি’র অনুসন্ধানে। নিয়মিত আপডেট পেতে গোয়েন্দা ডায়রি’র সাথেই থাকুন।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81