29983

11/01/2025

সিলেট-৩ আসনের অবহেলিত জনগোষ্ঠী ড. ফয়েজের পক্ষে

শাহীন আবদুল বারী | Published: 2025-10-31 15:21:57

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। সবাই মনোনয়ন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সিলেট-৩ আসনের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। সেখানে প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকায় প্রভাব থাকলেও এককভাবে কেউ ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পারেননি।

উল্লেখ্য যে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শ্বশুরবাড়ি সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত। এই আসনটি বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটার এবং সর্বস্তরের মানুষ চায় সিলেট-৩ আসনে একজন যোগ্য প্রার্থী দেয়া হোক। তবে স্থানীয় লোকজন পাঁচমিশালী কথা বলেছেন।

তারা বলেছেন যে, সিলেট-৩ আসনে ৬/৭ জন বিএনপি প্রার্থী রয়েছে। জামাতও চেষ্টা চালাচ্ছে আসনটি দখলে নিতে। অন্যসব দলগুলোও ফেস্টুন লাগিয়েছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। যদি বিএনপির হাইকমান্ড সঠিক প্রার্থী দিতে ভুল করে তাহলে জামাত সুযোগ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা ভেতরে ভেতরে জামাতকে সমর্থন দেয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া বিএনপির একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাপোর্ট দেয়ায় অভিযোগ উঠেছে। দলের নেতাকর্মীরা এতে ক্ষুব্ধ।

বিএনপির একাধিক নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, জনগণের কাছে কাইয়ুম চৌধুরী ও ব্যারিস্টার এম এ সালামেরও অনেক গ্রহণযোগ্যতা আছে। কাইয়ুম চৌধুরী জেলা বিএনপির সভাপতি। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এম এ সালাম।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, আওয়ামী লীগকে যদি নির্বাচন করতে দেয়া না হয় সেক্ষেত্রে বিএনপি এম এ সালামকে মনোনয়ন দিলে আমরা তাকেই ভোট দেব।

সরেজমিনে মিডিয়ার একটি টীম গত ২৫ অক্টোবর সিলেট-৩ আসনের বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা পরিদর্শন করে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। অসহায় ও গরীব মানুষের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক ছিলো না। ৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতারাও তাদের খোঁজ খবর নেননি। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। কারো কারো বিরুদ্ধে টেন্ডার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির মধ্যে কয়েকটি গ্রুপিং এর কথাও উল্লেখ করেন আপামর জনসাধারণ। তাই একজন যোগ্য, সৎ ও মেধাবী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিকট জোর দাবি জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এরইমধ্যে ড.ফয়েজ উদ্দিন এমবিই ভোটারদের আস্থা অর্জনে অন্যসব প্রার্থীর চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। একমাত্র তার সমর্থকেরাই তিনটি থানা সহ বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের মানুষের কাছে তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছেন।

তবে ড. ফয়েজ উদ্দিনের প্রচারণা থামাতে তার ফেস্টুন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এটির কারণ হিসেবে জনসাধারণের অভিমত হচ্ছে, সিলেট-৩ আসনে ড. ফয়েজ উদ্দিন এমবিই একমাত্র ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। তাই তাঁর প্রচারণায় প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে পোষ্টার ছিড়ে ফেলা, ফেস্টুন ভেঙে ফেলা সহ নানাভাবে বাঁধার সৃষ্টি করছে। এতে ড. ফয়েজ উদ্দিনের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে ১৭ বছর ধরে চা বিক্রি করেন লিটন নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, আমার একজন প্রতিবন্ধী সন্তান আছে। গত ১৭ বছরে কেউ আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেনি। বিএনপি থেকে এখন যারা নির্বাচন করতে চান তাদের কাছেও ছেলের চিকিৎসার জন্য কোন সাহায্য বা সহযোগিতা পাইনি।

ড. ফয়েজ উদ্দিন এর পোস্টার হাতে নিয়ে চা বিক্রেতা লিটন বলেন, শুনেছি স্যার অনেক ভালো মানুষ। কিন্তু স্যারকে আমরা এখনো দেখিনি। যদি স্যার গরীবদের বন্ধু হন তাহলে আমরা তাকেই ভোট দেব। আর যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। তবে দলের নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকলে ভালো কিছু সম্ভব হবে। আমরা বিপদে যাকে সামনে পাবো তার সাথেই থাকতে চাই।

স্থানীয় একটি সুপার মার্কেটের মালিক কুদ্দুস মিয়া বলেন, নেতাদের দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বিমাতাসুলভ আচরণ এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে যিনি থাকবেন তাকেই আমরা ভোট দেব।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সময়ের প্রাণবন্ত এই অঞ্চল আজ অবকাঠামোগত দুরবস্থা, প্রশাসনিক জটিলতা ও উন্নয়ন স্থবিরতার কারণে ভয়াবহ ভোগান্তিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে জনগণ আজ নাগরিক সুবিধা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা—সবক্ষেত্রেই মারাত্মক সংকটে।

গত সরকারের সময় থেকে শুরু হওয়া এই অবহেলা এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকারের অদক্ষতা ও উদাসীনতায় জনরোষ দিন দিন বাড়ছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, রাস্তাঘাটের ভয়াবহ অবস্থা এবং নগরীর ভেতরে জলাবদ্ধতা এখন সাধারণ মানুষের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি সেক্টরেই চলছে দখল বাণিজ্য। হিংসা ও অহংকার এতোটাই বেড়েছে যে এখানে নেতৃত্বের কোন্দলে ডুবছে বিএনপি।

এদিকে, জামায়াতে ইসলামী রয়েছে একটা সুযোগের অপেক্ষায়। এক সময় জাতীয় পার্টির যথেষ্ট দাপট ছিলো। এখন তাদের তেমন ভোট নেই। এনসিপির নেতারা অনেক বদনাম কুড়িয়েছেন।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সিলেটের মানুষ আলেম ওলামাদের খুব সম্মান করেন। কিন্তু ভোটের বেলায় নিজ নিজ দলের প্রার্থীকেই ভোট তারা দেয়। এখন বিএনপির জোয়ার এসেছে। কিন্তু যাদের বদনাম আছে তাদেরকে মনোনয়ন দিলে ভরাডুবি হবে নিশ্চিত।

এদিকে, সিলেট থেকে ঢাকাগামী ৬ লেন মহাসড়কের কাজের ধীরগতি সিলেটবাসীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ। বর্তমানে সড়কটি এতটাই নাজুক অবস্থায় যে ১৫–১৬ ঘণ্টায়ও ঢাকায় পৌঁছানো যায় না। ফলে রাজধানীর সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। অটোরিকশা চালিত বাইক প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করায় সবসময় যানজট লেগেই থাকে।

রহিম মিয়া নামে স্থানীয় এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, নেতারা ভোটের সময় হলে বুকের সাথে বুক মেলায়। যখন ভোট শেষ হয়ে যায়, আর আমাদের খবর নেয় না। আমরা তাদের কাছে কোন সহযোগিতা চাইলে তাদের চামচাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এবার শুনেছি বিএনপি থেকে জনবান্ধব নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। তারেক রহমান আমাদের জামাই। তিনি যেন সৎ, যোগ্য ও জনমানুষের নেতাকে মনোনয়ন দেন, আমরা শুধু এটাই চাই। সেক্ষেত্রে অধ্যাপক ডাঃ আলাউদ্দিনের ছোট ভাই ড. ফয়েজকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিবেন বলে আমরা আশাবাদী।

সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। অধিকাংশ থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামের লোকজন বিদেশে থাকলেও তেমন কোন মিল-ফ্যাক্টরী নেই। অদ্যাবধি কোন নেতা বা ব্যবসায়ী এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্থাপনা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ না করায় বেকারত্বের হাড় বাড়ছে বলে মনে করেন বালাগঞ্জবাসী।

এখানে, সরকারি বা বেসরকারিভাবে মনোযোগের অভাবে মানুষ নানা সমস্যা ও বঞ্চনায় দিন কাটাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা জাতীয় অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখলেও সিলেটবাসী তার সুফল থেকে বঞ্চিত। স্থানীয়ভাবে যারা দিনমজুর; তাদের জীবন-জীবিকার পথ একেবারেই দুর্বিষহ। এই কারণে গরীব অসহায় মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। চাষাবাদের পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি ও দিনমুজুরের কাজ করে জীবন যাপন করেন অনেকেই।

এই আসনে আরেকটি জটিল সমস্যা হচ্ছে, সিলেট বিমানবন্দরে প্রশাসনিক জটিলতা ও
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে নতুন কোনো এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এতে প্রবাসী ও সাধারণ যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এছাড়াও সিলেট-৩ আসনের একটি অংশ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হলেও স্থানীয় জনগণ মৌলিক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জন্মনিবন্ধন, সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন, রাস্তা মেরামত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এহেন পরিস্থিতি নিরসনে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে মানুষের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা এবার ভোটের আগে এই হিসাবটিও বুঝে নিতে চান।

ছদ্মবেশে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য খাতে এখানে ভয়াবহ সংকট বিরাজমান। গরীবদের চিকিৎসক সংকট, ঔষধের অভাব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অবহেলার কারণে সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। বিগত সরকারের আমলে চিকিৎসা সেবার তেমন কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি।

ফেঞ্চুগঞ্জ এর তরুণ সমাজের দাবি, সিলেট-৩ আসনে ড.ফয়েজ উদ্দিনকে মনোনয়ন দিলে অপরাধ প্রবণতা থাকবে না। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ নানা অপরাধে তরুণ সমাজ জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় ছাত্রদল নেতা রোমন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া এই ধারা রোধ করা সম্ভব নয়।

সিলেট-৩ আসনের তরুন প্রজন্মের মাঝে শিক্ষা খাতে স্থবিরতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এই নির্বাচনী এলাকায় দুটি কলেজের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলেও এখনো ক্লাস চালু হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এসব বিষয়ে একমাত্র রাজনীতিবিদ ড. ফয়েজ সুষ্ঠু সমাধান করতে পারবেন বলে দলমত নির্বিশেষে বিশ্বাস করছেন।

গত ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই। তিনি জানান, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং তার সমর্থকরা প্রচারণায় অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন এসব অপরাধ দমন ও রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করি। সিলেটের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে উন্নয়ন কার্যক্রমে সমতা আনতে হবে এবং জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সচেতন মহলের মতে, সিলেটের প্রতি অবহেলার চক্র ভেঙে ন্যায়সংগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়ভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রবাসী আয়, পর্যটন সম্ভাবনা ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ সিলেটকে এখন প্রয়োজন সত্যিকারের সরকারী অগ্রাধিকার।

ফেঞ্চুগঞ্জে ড. ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র ফেষ্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কয়েকটি স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র ফেষ্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

এলাকার মানুষের অভিযোগ, ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী (নম্বর ৬১৪) করার পরও প্রশাসন কাউকেই এখনো গ্রেফতার করেনি। এছাড়াও আরো তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিলেট-৩ আসনে ড. ফয়েজ উদ্দিনের পরিবার হচ্ছে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি পরিবার। তাদের অবদান জিয়া পরিবারের কাছেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক ডাঃ আলাউদ্দিন ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত বিশ্বস্ত সিপাহশালার।

সিলেট-৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র পক্ষে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, লিফলেট ও ফেষ্টুন লাগিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন উঠোন সভা ও গণসংযোগ করা হচ্ছে। তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

গত ২৫ অক্টোবর ফেঞ্চুগঞ্জ সরেজমিনে দেখা যায়, থানাধীন কুশিয়ারা নদীর সেতুর উপর, চানপুর বাজার এবং উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র ফেষ্টুন ছিড়ে ফেলে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এছাড়াও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অন্যান্য স্থানেও পোস্টার ও ফেষ্টুন ছিড়ে ফেলার দৃশ্য চোখে পড়ে। এসব ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র ভাই মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের নিকট সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।

ড. ফয়েজ উদ্দিনের সমর্থকেরা জানান, অন্য সব প্রার্থীর চেয়ে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই এর জনসমর্থন ক্রমেই বাড়ছে। আমরা যেহারে প্রচারে নেমেছি তা দেখে অন্য প্রার্থীদের সহ্য হচ্ছেনা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর ৩১ দফা বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ: নির্বাচনী আসন-২৩১

সিলেট-৩ আসনে মোট ৩টি উপজেলা রয়েছে। এই উপজেলাগুলো হচ্ছে, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ।

এই আসনের অন্তর্গত থানার সংখ্যা ৪টি, যথাঃ দক্ষিণ সুরমা (এসএমপি), মোগলাবাজার (এসএমপি), ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ।

এই আসনের অন্তর্ভূক্ত ইউনিয়নের সংখ্যা ১৯টি। এর মধ্যে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় মোট ৮টি ইউনিয়নঃ মোল্লারগাঁও. তেতলী, সিলাম, লালাবাজারজালালপুর, মোগলাবাজার, দাউদপুর ও কামালাবাজার।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় মোট ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ, মাইজগাঁও, ঘিলাছড়া, উত্তর কুশিয়ারা ও উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন।

বালাগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৬টি ইউনিয়ন। দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন, পূর্ব গৌরীপুর, পশ্চিম গৌরীপুর, বালাগঞ্জ সদর, বোয়ালজুর ও পূর্ব পৈলনপুর।

এই আসনের অন্তর্ভূক্ত সিটি ওয়ার্ডের সংখ্যাঃ মোট ৬টিঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৮, ২৯, ৩০, ৪০, ৪১ ও ৪২ নং ওয়ার্ড সিলেট-৩ আসনের সাথে সংযুক্ত রয়েছে।

সিলেট-৩ আসনে জনমানুষের আশার প্রতিক হয়ে উঠেছেন ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই। সততা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক নেতৃত্ব ও মানবসেবারর মিশিলে গড়ে উঠা তার জীবনকাহিনী সিলেটবাসীর হৃদয়ে গভীরভাবে স্থান করে নিয়েছে স্থান করে নিয়েছে।

সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা মনে করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্যই এই আসনের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য ড. ফয়েজ উদ্দিন এমবিই কে মনোনয়ন দিয়ে জনমানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।


Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman

Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81