02/23/2025
Nirmal Barman | Published: 2018-02-15 20:39:47
বিদ্যমান পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘চলমান এসএসসি পরীক্ষা ও আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষা সম্পর্কে আগাম কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, বিদ্যমান পদ্ধতিতে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয়। ৩০ হাজার মানুষের সম্পৃক্ততায় প্রশ্নপত্র তৈরি ও বিতরণ করা হয়। এর মধ্য থেকে যদি একজন অসৎ হন তাহলে পুরো ৩০ হাজার মানুষের সততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্নফাঁস রোধে আদালত উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা জারির প্রতিক্রিয়ায় সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখনও আদালতের রায় হাতে পাইনি। জানি না সেই আদেশে কী আছে। শিক্ষামন্ত্রী পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেটে গেছেন। তিনি ফিরে এলে আমরা একসঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। ইতোমধ্যেই ঢাকা বোর্ডের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছি আদালত থেকে আদেশের নকল কপি তুলতে। তা দেখে আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তা অবশ্যই পরিপালন করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার বর্তমান পদ্ধতি পরিবর্তনে আমি নিজে কাজ করছি। একটি উপায় আমরা অবশ্যই বের করবো এবং বিশেষজ্ঞদের এ কাজে সম্পৃক্ত করবো। নতুন পদ্ধতিতে আগামী বছর থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যে পদ্ধতি নিয়ে জনমনে আর কোনও প্রশ্ন থাকবে না।’
এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব বলেন, ‘এমসিকিউর অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে তা কতটুকু ভালো উদ্যোগ সে বিষয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। এই পদ্ধতিটি খুবই ঝামেলা করছে। এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমি মনে করি, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে এমসিকিউ অনেকাংশে দায়ী।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস কোথা থেকে হয় তার মূলে আমরা এখনও পৌঁছাতে পারিনি। তদন্ত সংস্থার সদস্যরা সমস্যার মূলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা নিশ্চয়ই এর একটা সুরাহা বের করে ফেলবেন।’
পরীক্ষা বাতিল করা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তাছাড়া প্রশ্নফাঁসের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার বিষয় আছে। কারণ, পরীক্ষা শুরুর কতো আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, কতজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে—তা মূল্যায়নের বিষয় আছে। কমিটির সদস্যরা এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন। কমিটি সুপারিশ করলেই আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’
কমিটি সাবজেক্টভিত্তিক রিপোর্ট দেবে নাকি সমন্বিত রিপোর্ট দেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে কমিটি রিপোর্ট একসঙ্গেও দিতে পারে আবার খণ্ডিত আকারেও দিতে পারে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে কেন্দ্র কমিয়ে আনা যায় কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আইটি বিষয়টি খুবই জটিল। হাই পাওয়ার এক্সপার্ট ছাড়া এ বিষয়টি বোঝা সহজ নয়। তাই চলমান এসএসসি ও আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আগামী বছর থেকে নতুন একটি পদ্ধতি চালু করা হবে।’
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81